পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-------------- ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী আমন্দে ক্রীড়া করে, এবং জ্যোতিঃ বিস্তার করে । মৃত্তিকার মধ্যে পৃথিবীর ভিতরে দুষ্ট ক্ষুদ্র প্রাণীগণ বাস করে, এবং নিৰ্ম্মল বায়ুতে প্রাণিগণ মুখে ভ্রমণ করে, শীতল জলে বহুবিধ জলপ্রাণী সুখে ও আনন্দে বাস করে । গভীর সাগর তলে স্ফটিকের মধ্য দিয়া চন্দ্র-স্বর্যাকিরণ নিয়ে প্রপেশ করিয়া সেই সুন্দর পুরী আলোকিত করে । প্রবাল বুক্ষ সকল উচ্চে উঠিয়া কত বণের ফল ও ফুল ধারণ করে । এই সৌন্দর্য্যের রাজ্যে জলপ্রাণীগণ আনন্দে বাস করে ; শঙ্খের উপর নাচিয়। বেড়ায় । এই অপূৰ্ব্ব স্থষ্টি সাগরজলে ও নদীগুলে আচ্ছাদিত থাকে । যাহারা এই জলপ্লাঙ্গে বাস করে, তাহান্ধের আকৃতি মহামূৰ্ত্তির ন্যায, কিন্তু মানুষের চেয়ে অনেক বেশ সুন্দর। কখনও কোন জলবালিকা খেলা করিতে করিতে সাগরবক্ষে ভাসিধা উঠিয়াছে, এবং নমুস্থ্যের দৃষ্টিপথে পতিত হইয়া তাঙ্গাদিগকে বিমুগ্ধ ও বিস্মযাপন্ন করিয়ছে ! তুমি উনডিনদ্বিগের নাম শুনিয়া থাকিলে—কিন্তু আর অধিক বলিবার fক প্রয়োজন ? স্বামিন, তোমার সম্মুখে একজন “উম ডিম দেণিতেছ ?” BBB BBB BBB BYBSBB BB BBS শুনিয়া নীরব হইয়া রহিলেন । পালিকা ধার্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া পুনরায় বলিতে লাগিল, “কিন্তু যদিও আমাদের আকুতি মঙ্গুষ্যের ন্যায়, তথাপি আমরা মন্ত্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হইতাম ! কিন্তু হায় ! আমাদের একটি মহ। অভাব, একটি দুঃখের কারণ আছে, আমাদের আত্মা নাই ! মৃত্যুর পর আমাদের আর কোন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই । আমরা যে ভূতে জন্মগ্রহণ করিয়াছি, তাহাতেই বিলীন হইয়া যাই —আমাদের আর চিহ্নমাত্র থাকে না । মনুষ্য মৃত্যুর পর পবিএ, অমর, অমস্ত অস্তিত্ব প্রাপ্ত হয় ; কিন্তু হায়! আমরা তাতাতে বঞ্চিত । আমবা ভৌতিক শক্তির দ্বারা পরিচালিত হই। এবং যত দিন জীলিত থাকি, সেই শক্তি আমাদের আজ্ঞার অধীন থাকে। কিন্তু মৃত্যু হইলে সেই জল, বায়ু, মৃত্তিকা, অগ্নির মধ্যে আমরা বিলীন হইয়া যাই। সুতরাং আমাদের কোন চিস্ত। কোন দুঃখ নাই, আমরা আনন্দে ও সুখে জীবন কাটাই । কিন্তু HOLO -~~ উলভি= আশা অনন্ত ; তাই জগতের যাবতীয় জীব আপন আপন অবস্থা হইতে উচ্চতর অবস্থা পাইবার অভিলাষী । আত্মা’ পাওয়া আমাদের নিতান্ত অসম্ভব অসাধ্য নহে। কথিত আছে, কোন জলপ্রাণী যদি মজুৰ্য্যের সহিত বিবাহ-বন্ধনে মিলিত হয়, তাহা হইলে সে আত্মা লাভ করিতে পারে । আমার পিত। একজন অত্যন্ত প্রতিষ্ঠাশালী জলরাজ। আমি তাহার একমাত্র অতি আদরের সন্তান । পিতার প্রবল আকাঙ্ক্ষা হইল যে তাহার কন্যা আত্মা লাভ করে । যদিও এই বাসন পূর্ণ হইলে আমাকে মহস্যের ন্যায় শোক হুঃখ ভোগ করিতে হইবে, তথাপি তিনি এই ইচ্ছা ত্যাগ করিলেন না, এবং যাহাতে উক্ত সফল হয়, তাহারই চেষ্টা করিলেন । এতদিনে পিতার সেই বাসনা পূর্ণ হইল, এতদিনে আমি "আত্মা’ লাভ করিয়াছি । যদি তুমি আমাকে ত্যাগ কর, তাহা হইলে আমার কি হইবে, তাহ! ভাবিলেও আমি আত্মহারা হই । কিন্তু তোমাকে আনি কিছু বলিব না । তুমি নিজেই তাত ভাবিয়া স্থির কর । যদি আমাকে চলিয়া যাইতে আজ্ঞা কর, আমি এখনই এই নদীজলে প্রবেশ করিব । আমার পিতৃব্য এই নদীতে বাস করেন, তিনি আদর কfরয়া আমাকে গ্রহণ করিলেন। যখন ক্ষুদ্র আত্মাবিহীন জলবাল ছিলাম তপন তিনিই আমাকে পিতার আজ্ঞামত বুদ্ধ ধীবরের নিকট দিয়া গিয়াছিলেন। এক্ষণে আত্মায় বিভূষিত হইয়া প্রেম ও সহিষ্ণুতায় পূর্ণ রমণী-সদয় লইয়া গুহে পিত। মাতার নিকট চিরজন্মের মত ফিরিয়া যাইব ।” হুন্ডর্যাণ্ড বিক্ষিত ও মুগ্ধ হইয়া এই সকল অপূর্ব কথা শ্রবণ করিতেছিলেন। উনডিনের শেষ কথায় দদয বিগলিত হইল। সেই পবিএ নিৰ্ম্মল অতুলনীয় সৌন্দর্য্য, সেই গম্ভীর বালিকামূৰ্ত্তি তাহার নয়নে সেই পবিত্র স্বৰ্গীয় নবপ্রাপ্ত পুণ্য আত্মার বিমল আলোক দেবিয়া হল এ্যাণ্ডের সকল সন্দেহ, সকল আশঙ্কা দুর হষ্টন। তিনি আত্মহারা হইয়া উনডিন কে গাঢ় আলিঙ্গন করিয়া তৎক্ষণাৎ বারবার শপথ কfরলেন,— “ইহজন্মে আমি তোমাকে পরিত্যাগ করিব না।” হুন্ডব্র্যাণ্ড জলকন্যাকে লইয়া গৃহে ফিরিলেন । গৃহে কিছুদিন সুখে কাটিল। কিন্তু হায়, তাহার পর