পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

来→· লক্ষ্মণাবতী নাম হইয়াছিল। ৰিজয়সেনই পোলের নামে গৌড়ের লক্ষ্মণাবতী নাম দিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয়। বাঢ়ের রাজধানী নবদ্বীপকে সে সময়ে বিজযপুর বলিত। উহা যে বিজয়সেনেব নামেই হষ্টষাছিল, এইরূপ অম্বুমান হইয থাকে । বিজয়সেনের সমষ হইতে উহা সেনলংশের বাজধানী হওষাই সম্ভব। পূর্ববঙ্গের বিক্রমপুর সেনবংশীয়দের প্রধান স্থান ছিল। বিজয়সেন অনেকদিন রাজত্ব করিয়াছিলেন। তাঙ্কণব সময হইতে একটি অঙ্গ প্রচলিত হওয়ায় উচ্চা লক্ষ্মণ সম্বৎনামে প্রসিদ্ধ। বিজযসেন পৌলেব নামে ঐ অন্দ প্রচলিত কবিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয । কাহারও কাহাবও মতে লক্ষ্মণ সম্বং লক্ষ্মণসেনেব রাজত্ব আবল্প হইতে প্রচলিত হইযাছিল। বিজযসেন বরেন্দ্রভূমিতে প্রস্থাম্বেশ্বব নামে শিবস্থাপনা কবিয তাহাব এক বৃহৎ মন্দিব নিৰ্ম্মাণ করাইযাছিলেন । তাহার সম্মুখে একট বৃহৎ সরোবরও ধনন করা হইয়াছিল। রাজশাষ্ঠী জেলাব দেবপাড়া গ্রামে সেই সরোবরের তীরে প্রদ্ধামেশ্ববেব মন্দিবেব ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। সেই মন্দিলের এক শিলাখণ্ডে বিজযসেনেব কীৰ্ত্তিকথা লিপিত झझेग्राश्लि । বল্লালসেনের কৌলীন্যমৰ্য্যাদা বিজযসেনের পুত্র বল্লালসেন আমাদেব দেশের লোকের নিকট বিশেষভাবেই পবিচিত। তাহার অনেক স্বকীৰ্ত্তিব কথা শুনিতে পাওযা যায। তিনি পিতাব সাম্রাজ্য স্থাপনের অনেক সহায়তা কবিয়াছিলেন। এমনকি বিজয়সেনেব রাজত্বেব শেষভাগে লক্ষ্মণসেনও কোন কোন কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। বল্লালসেন সেনবংশের রাজ্য স্বপ্রতিষ্ঠিত করিয়া উহার অভ্যস্তব ভাগেরও অনেক উন্নতি সাধন করেন। গৌড়, নবদ্বীপ এবং বিক্রমপুর-রামপালে এখনও তাহার অনেক কীষ্ট্রির চিঙ্গ দেখিতে পাওয়া যায়। বাঙ্গালা দেশ অনেকদিন হইতে বৌদ্ধ পালবংশীযদিগের অধীন থাকায় হিন্দুধৰ্ম্ম সেরূপ প্রবল হইতে পারে নাই। সেনবংশীয়ের আবার হিন্দুধৰ্ম্মকে সুপ্রতিষ্ঠিত করিষাছিলেন। বল্লালসেনই বিশেষভাবে তাহার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি অনিরুদ্ধ শিশু-ভগৱতী ভট্ট নামে একজন প্রসিদ্ধ পণ্ডিতের শিষ্য হন। বল্লালসেন “দানসাগর’ নামে একখানি ধৰ্ম্মশাস্ত্রের গ্রন্থ প্রকাশ করেন। অদ্ভুতসাগর নামে একখানি জ্যোতিষের গ্রন্থ তিনি লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, লক্ষ্মণসেনেব সময তাহা শেষ হয। তখন সমাজের মধ্যে অনেক গোলযোগ ঘটিয়াছিল। সেজন্ত বল্লালসেন পাৰ্ম্মিক ও সাধারণ লোকদিগকে মৰ্য্যাদা দিযা কুলীন নামে অভিহিত করিয়াছিলেন। যাহাদেব, আচার, বিনয, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপ, দান এই নষটি গুণ ছিল, তাহাবাই কুলীন হইয়াছিলেন। আদিশূরের সময়ে আগত পঞ্চব্রাহ্মণ ও পঞ্চক যস্তেব সস্তানদিগের মধ্যে যাহাবা ঐ নবগুণের অধিকালী হইয়াছিলেন, র্তাহারাই বল্লালসেনের নিকট হইতে কৌলীন্যমৰ্য্যাদা লাভ করেন। বল্লালসেন শূরবংশেৰ দৌহিত্র ছিলেন। সে জন্তই বোধ হয় আদিশূব যাহাদিগকে এ দেশে আনষ্টিয়াছিলেন ললাল তাছাদের সস্তান দিগকেই কৌলীন্য মর্যাদা প্রদান করেন। ব্রাহ্মণ বৈঙ্গ ও কাব্যস্তদিগের মধ্যেও কৌলীন্য মর্যাদা আছে । তাই বল্লালসেনেব দেওয়া নহে। যাহাবা প্রথমে কুলীন হুইযাছিলেন, তাছাদেব বংশেব লোকেরা এখনও কুলীন পলিযা কথিত হইয়া থাকেন। এইরূপে বল্লালসেন সমাজের শৃঙ্খলাস্থাপন কবায়, আজ পর্য্যস্তও সকলেব নিকট সুপবিচিত হইয়া আছেন। লক্ষমণসেনের রাজসভা বল্লালগেণেশ পব তাহার পুত্র লক্ষ্মণসেন বাঙ্গালার রাজা হন । পিতা ও পিতামহের প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্য রক্ষার জন্ত লক্ষ্মণসেনও অনেক চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি পিতামহের সময় হইতেই বাজকাৰ্য্যে ব্ৰতী কইষাছিলেন। লক্ষ্মণসেন যে সময়ে যুবরাজ ছিলেন সে সময়ে কলিঙ্গদেশ জয় কবেন বলিধা জানা যায । তিনি কাশী এবং কামরূপও জয় কবিযাছিলেন দক্ষিণ সাগবের তীরে পুরীধামে, বাবাণসী ক্ষেত্রেও প্রয়াগাতীর্থে লক্ষ্মণসেন যজ্ঞেব কষ্টিস্তম্ভের সহিত যুদ্ধের জয়স্তম্ভও স্থাপন করিয়াছিলেন বলিয়া উল্লেখ আছে। এইরূপে সকল দেশের রাজাকে বশে অানিয়া লক্ষ্মণসেন - Ֆe յՆ,