পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- ( a ) পরে আনুমানিক লুনাধিক পাচলহস্ৰ ৰৰ্ষ হইল ভারতের উত্তৰ পশ্চিমস্থ গিরিবক্স অতিক্রম করিয়া ককেসীক নডিক “আৰ্য্য”-ভাষা-ভাষী জাতি ভারতে প্রবেশ করে। ক্রমে ধীরে ধীরে সমগ্র উত্তর ভারতে আর্য্য-সভ্যতা প্রাধান্ত লাভ কবে । মুণ্ডা প্রভৃতি আদিম “আইক” বা “প্রোটোঅষ্ট্রালয়েড"জাতিদের উচ্চস্তরের কতক অংশ আর্য্যসভ্যতা গ্রহণ করিয়া ক্রমে “হিন্দু" শ্রেণী ভুক্ত হইল ও তাহাদের অবশিষ্ট জাতিগুলি মধ্যভারত ও ছোটনাগপুরের পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে আশ্রয় লইল। কালে "আর্য্য-সভ্যতা” দক্ষিণভারতের দ্রাবিড় জাতিদের মধ্যেও পরিব্যাপ্ত হইল এবং কিঞ্চিৎ আর্য্যশোণিত দ্রাবিড় সমাজের উচ্চতমস্তবে প্রবেশলt = করিল। (৬) “আৰ্যী"দের ভারতে আগমনের পূৰ্ব্বেও পরে ভারতের উত্তর-পূৰ্ব্ব দিক হইতে পীতবর্ণ cwfcorff*tata wffwx (Mongolion al Ve11owrace tax) cefÈ-5)= (Tibeto Chinese) *if*f* কতকগুলি জাতি ভারতবর্ষে প্রবেশ কবিয়া ভাবতের বর্তমান উত্তর-পূর্ব সীমান্ত প্রদেশে (NorthEastern Frontier Province) s entiftএবং হিমালয় পৰ্ব্বতের দক্ষিণ প্রাস্তের কোনও কোনও স্থানে উপনিবেশ স্থাপন করিল। পরে ভারতের এই ছয়টি প্রধান জাতীয উপাদান ছাড়া আবও কয়েকটি নবাগত জাতি এদেশে আসিয়া ৰসৰাস কবিয়াছে। পুরাকালের ব্যাকটিয়ান ( গ্ৰীক ), হুন, শক, প্রভৃতি আগন্ধক জাতি ভারতের হিন্দু সমাজে বিলীন হইয়া গিয়াছে । পরে আরব, পাঠান, মোগল, ইহুদী, মক্রানি, মাপিলা, নেপালি, ভুটিয়া ও অল্পসংখ্যক নিগ্রোজাতীয় হাবসি এখানে আসিয়া এখন ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হইয়াছে। আর বম্বে ও গুজরাটের পাশীজাতি "थार्गा” श्मृि८मद्रहे थङि ननिई खालि । मुठबदि९পণ্ডিতেরা অনুমান কবেন যে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সমুদ্রকুলে এবং আসামের সীমান্ত প্রদেশে ইণ্ডোনেলিয়ান (Indonesion) ও মেলানেলিয়ান (Melanessian) জাতীয় উপাদানেরও সামান্ত চিহ্ন বর্তমান । Վ - ԳՀ শিশু-জঙ্গল্পতী এইরূপে ভারতের জাতীয় উপাদানগুলি বিশ্লেষণ করিলে আমরা দেখিতে পাই যে আমাদের এই পুণ্য-তীর্থ ভারতবর্ষ পৃথিবীর মূলজাতিদের (primary races o off:ffixco offo আবাসভূমি হইয়াছে। তোমবা আমাদের এই কথাটী বেশ ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পাবিবে তোমরা যদি কলিকাতা, বোম্বাই, দিল্লী, মাদ্রাজ, করাচি প্রভৃতি বড় বড় সহবে বেড়াইতে যাও এবং একটু লক্ষ্য কর তাহ হইলে দেখিতে পাইবে যে কত রংয়ের এবং কত বিভিন্ন পোষাকের নর-নারীই না পথ দিয়া চলাফেরা করিতেছেন। বিভিন্ন জাতীয় লোক বিভিন্ন রকমের পোষাক পরিতেছে, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলিতেছে। সত্য সত্যই যেন এক বিশাল জগৎ । যেমন নানা বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের Lলাকের ৰাস, তেমনি এই সব বিভিন্ন দেশেৰ লোকেবা একই ভাষায় কিন্তু কথা বলে না। তাহাবা নানা জলে নানা ভাষায কথা বলে । এই জন্যই ভারতবর্ষে প্রায় আড়াই শতের উপর ভাষা প্রচলিত। তোমাদেব কাছে আর একটি নূতন ও সত্য কথা বলিলাম তাহা এই যে এতদিন নৃতত্ত্ববিদ পণ্ডিতেরা বাঙ্গালী জাতিকে— Mongolo-Dravidian type «fors i ff* তাহা যে সত্য নহে—বাঙ্গালী জাতি আল্লাইন শ্ৰেণীব অন্তভুত তাহা ভুলিও না। ভারতবর্ষের নানা বিভিন্ন জাতির উৎপত্তি ও ইতিহাস যেমন ৰিচিত্ৰ, তেমনি ইছাদের রীতি-নীতি আচার অনুষ্ঠান, সামাজিক বিধান ও নানা রকমের। সাওতাল পরগণা, ছোটনাগপুর প্রভৃতি স্থানে বেড়াইতে গেলে এখনও সেই আদিমজাতির বংশধরদিগকে দেখিতে পাইবে । তাঁহাদের সাৰাই যেন বর্তমান জগৎ হইতে স্বতন্ত্র, তাহারা যেন সেই অতি আদিম কালেরই মানুষ রহিয়া গিয়াছে। অতি আদিম কালের জীবন-যাত্রার ধারা এখনও তাহাদের শোণিতের ধারার সঙ্গে বহিয়া চলিয়াছে । ইহাদের অনেক কথাই তোমরা পরে জানিতে পারিবে ।