পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JJBeBS L BBBBBeeDD BBSBBDD BuSBBB S প্লেটে। যেমন সক্রেটসের শিষ্য, প্লেটোর শিষ্যদের মধ্যেও তেমনি অ্যারিষ্টটল। তিনজনেবই অসাধারণ বুদ্ধি-মানুষের ইতিহাসে তিনজনেই এক একটা পাহাড়ের শিখরের মতন । কিন্তু প্লেটে। তার অ্যারিষ্টটলের মধ্যে মস্ত তফাৎ এই যে প্লেটো তার গুরু সক্রেটসের মতকে গ্রহণ করে তার দর্শন গড়ে তুলেছেন, অাব অ্যারিষ্টটল প্লেটোব মতবাদের ভুল ভ্রান্তি দেখিয়ে তাকে অস্বীকরি করবাব ও চেষ্টা কবেছেন । প্লেটোব প্ৰতি তার শ্রদ্ধা ছিল না একথ। মনে করলে কিন্তু ভুল হবে । দীঘ কুড়ি বৎসর ক1ল তিনি প্লেটোর সঙ্গে ছিলেন, তাই প্লেটোর সঙ্গে যেখানে তাব পাথকা, সেখানে ও প্লেটোল মতামত না জানলে ত্য বিষ্টটলেৰ কথা বোঝা সহজ নয় । হাসেলে প্লেটো এব. অ্যাবিষ্টটলের স্বভাবের মধ্যে মস্ত বড় একটা তফাৎ ছিল । নিজের আদর্শ রাজ্য থেকে সব কবিদেব তাড়াব1র বা বস্তা করলে ও তা দিতে প্লেটো নিজেই ছিলেন কবি । বাস্তবেব চেয়ে কল্পনার দিকে তার ঝোক ছিল বেশী, তাই সমস্ত জ্ঞানের মধ্যে তাঙ্কের দিকে ছিল তাব টান । অল অ্যারিস্টটল ছিলেন যাকে আমরা বলি কেজো মানুষ । যাকে ধরা যায়, ছোওয়া যায়, মাপা যায়, তাকে নিয়েই অ্যারিস্টটলের তা নন্দ । অ্যারিষ্টটল তাই অঙ্ক ছেড়ে ইতিহাস নিয়ে পড়লেন –নানা রকম জীব জন্তুর গঠন, তাদের জীবনধারার প্রণালীর হিসেব করে তিনি বাস্তবকে জানতে চাইলেন । প্লেটো ব্ৰহ্মকে জানতে চেয়েছিলেন, সে কথা আমরা অাগেই দেখেছি । তিনি বলেছিলেন যে ইন্দ্রিয় দিয়ে আমরা যা জানি, তা বদলায়, কিন্তু বদলের মধ্যে ও তার স্বরূপ ঠিক থাকে। তাই ব্ৰহ্মকে জানতে হলে জিনিষের স্বভাব বা স্বরূপকে জানতে হবে, তা নইলে আমরা পদে পদে মুস্কিলে পড়ব । জিনিষগুলি বদলায়, কিন্তু স্বরূপ বদলায় না, কাজেই স্বরূপেরও নিশ্চয়ই আলাদা সত্ত্বা আছে ৷ পর সাদা ঘোড়া, বাদামী ঘোড়া, কাল ঘোড়া—সমস্তই ঘোড়া । কাজেই স্বভাব বা স্বকাপ বিচার করলে কেবলমাত্র একটারই তিসাব পাই, অথচ সাদ ঘোড়া, কাল ঘোড়া এ গুলি প্রত্যেকই জন্তু হিসেবে অtলাদ । কেবলমাত্র তাই নয়। যে সাদা ঘোড়াটা তাজ দেখেছি— তিন বছর আগে তাৰ চেঙ্গাবা, তাব বয়স সবই আলাদা ছিল, তাথচ তখনে৷ তাকে বলেছি ঘোড়া, আজ ও তাকে সেই ঘোড়া বলেই জানি । তাই প্লেটো বল্লেন যে তুনিয়াল সমস্ত সাদা ঘোড়া কাল ঘোড়া বাদেও “ঘোড়া”ব একটা স্বরূপ বয়েছে, এবং দর্শনে আমব। বিভিন্ন জিনিষের সেই স্বরূপ’ বা স্বভাবকেই জানতে চাই । কথাটা নিশ্চয়ই তোমাদের খুব গোলমেলে লাগছে, তার লাগবাবই কথা । কিন্তু সতি খানিকট। ভাববাব কথা রয়েছে, একথা বুঝেছ তো ? প্রত্যেক দিনেব জীবনে আমরা ন। বুঝে কথাব বালহার করি—দর্শনের কাজ সে সমস্ত কথাব আসল মানে বের করা । গোলটেবিল, লম্বা টেবিল, তিনপেয়ে টেবিল চারপেয়ে টেবিল --টেবিল তো কত ধরণের কিন্তু সবগুলিকেই যে টেবিল বলি তার নিশ্চয়ই একটা মানে আছে । টেবিল তিন পেয়েও হতে পারে, চারপেয়েও হতে পারে, লোহারও হতে পারে, কাঠেবও হতে পারে, পাথরেরও হতে পারে । কাজে কাজেই টেবিলের যে সব গুণ বা লক্ষণ প্রথমে চোখে পড়ে, তার প্রত্যেকটাকে এক এক צ צ צס