পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

来→→→→→→→→→→→→→→→ -िथ्e-झठान्झण्डंो - করে বাদ দিলে ও টেবিল টেবিলক্ট থেকে যায়। তাইতে প্লেটে বলেছিলেন যে “টেবিলক্স” বা টেবিলের “স্বরূপ" যেখানে আছে, সেটাই টেবিল, এ স্বরূপ না থাকলে টেলিল ও নাই । অ্যারিষ্টটল কিন্তু প্লেটোৰ এ যুক্তি মেনে নেন নাই । তিনি লল্লেন যে টেবিল ছাড় টেবিলেব স্বরূপ নাই । টেলিল যদি কাঠের না হয়, তলে লোহাব হলে, লোহাপ না হয়, তবে পাথবেল হবে, তা ও না হয় তলে টান, তানা, সাসা—কোন ও না কোন একটা কিছু দিয়ে তৈরী হবে। যদি টেলিলের স্বরূপষ্ট থাকত, তবে সে স্বৰূপেল সঙ্গে সত্যিকাবের টেবিলের সম্বন্ধ কি ? অাব যে টেবিল কাঠেরও নয়, লোহাব ও নয়, পাথরেব ও নয়, তামা, সীসা, টান কিছু বই নয়, সে আবার কোন দেশী টেবিল ? তাই অ্যারিষ্টটল বল্লেন যে টেবিলের “স্বরূপ” টকাপ বলে আলাদা কোন জিনিষ নেই—রয়েছে ছনিয়ার হাজারে ধরণেব হাজারো ভাবে তৈৰী টেবিল। আর তাদেব সবাইকে আমরা টেবিল বলি কারণ তারা আমাদের কাজে লাগে। শেষ পর্যাপ্ত দেখতে গেলে সব জিনিষই তো পঞ্চ ভূতের তৈৰী, কাজেই কি দিয়ে তৈরী সে বিচাৰ কবলে মানুষের সঙ্গে মোটর গাড়ীর ও বেশী তফাৎ নেই। পঞ্চভূত কাকে বলে জানোতো ? অন্ধকাব রাত্রে বঁাশ বনে যারা ভয় দেখায়, এ সে রকমেৰ ভূত নয়, এ পঞ্চভূত নেহাৎ আমাদের ঘরোয়া ভূত ! ক্ষিতি, অপ, তেজ মরুং, বোম—এই পাঁচটকে পঞ্চভূত বলা হোত এবং এককালে ধারণা ছিল যে এই পাচটা দিয়েই তুনিয়ার যত কিছু তৈরী। আজকাল অবশ্য পঞ্চভূতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তাপ, বা জলের মধ্যেও আমরা আজকাল ছ'তিন রকমের ভূতের সন্ধান পাই, মাটীর বেলায় ও তাই। যাই হোক বিজ্ঞান ও আজ বলে যে সমস্ত জিনিষকেই যদি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তবে শেষ পৰ্য্যন্ত কতগুলি উপাদান বা ভূতের সন্ধান পাওয়া যায়, সে গুলির অীর বিশ্লেষণ চলে না। সে গুলিকেই দুনিয়ার মালমসলা । মনে করা যায়। যেমন পব কয়লার টুক্‌ব। আর হীবে—দুষ্টই কাৰ্ব্বন দিয়ে তৈরী, কিন্তু কাৰ্ব্বন যে কি দিয়ে তৈরী, সে কথা জিজ্ঞেস করলে আর কোন উপাদান খুজে পাওয়৷ যায় না, তখন হয় তো বলতে হয় যে তাবে। গোড়ায় রয়েছে বিছাংপ্রবাহ ! কথাটী শুনলে তোমরা তে অবাক তবেই –কখনো তোমরা ভেবেছ যে অনড় অচল পাথর যাকে আমরা মনে করি, আসলে কিন্তু তা মোটেই অনড় অচল নয়। বিজলি কণার ছুটোছুটা মাতামতিতে সেখানে প্রলয় চলেছে বল্পেও বেশী বলা হয় না। অ্যারিষ্টটল অবশ্ব বিছ্যৎকণার খোজ পান নি। কিন্তু তবু তিনি বলেছিলেন যে সমস্ত পৃথিবী এবং পুথিবীর সমস্ত জিনিষই একধরণের উপাদানে তৈরী, কেবলমাত্র তাদের সংগঠন বা সাজাবার প্রণালী আলাদা। ধর খাটও কাঠের তৈরী, আবার বাক্স টেবিলও কাঠের তৈরী। কাজেই তাদের উপাদান হিসাবে তারা এক অথচ তাই বলে খাটকে বাক্স বা টেবিল বলে ভাবতে পার ? কাঠের তৈরী হলেও খাটে আর টেবিলে কাঠ সাজাবার রীতি আলাদা—এই সাজাবার রীতি বা ধরণকে অ্যারিষ্টটল বলেন সংগঠন। ফলে কথাটা দাঁড়াল এই যে উপাদানে সব জিনিষই এক, কিন্তু সংগঠনে তারা আলাদা ।

  • >> *

来源