পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

+++++++ দেশীজ পুষ্পজগত জঙ্গল উপকরণ শেফালিকা পুষ্পের ব্যবসায় পনেরো বিশ বৎসর পূৰ্ব্বে ও শুষ্ক শেফালিকা ফুল বড় বড় বাজারে ক্রম করিতে পাওয়া যাইত। উত্তর পশ্চিমাঞ্চল এবং পঞ্চাবে প্রতি মণ দশ টাকা হইতে ৬• টাকা পৰ্য্যস্ত, অযোধ্যায প্রতি মণ ৬০ টাকা হইতে ২০২ টাকা পৰ্য্যস্ত এবং বঙ্গদেশে প্রতিমণ ৭॥• টাকা হইতে ৭ টাকা পর্যান্ত মূল্যে বিক্রীত হইত। বর্তমানে দুই একটা স্থান ৰাতিলেকে শেফালিক। ফুল বঞ্জন উপক বৰ্ণৰূপে কোথাও আর বিক্রীত চয় না। পাশ্চাত্য রঞ্জনশিল্পে শেফালিকা কখনও ল্যলহদত হয় নাক । কুম্কুম častfort alx-Crocus Sativus, ইহাকে হিন্দুস্থানে কেসব ও জাফবাণ, মহাবাষ্ট্র ও গুজ্জবে কেসর, কণাটে কুম্কুম ও আরবীতে জাফরাণ বলে। ইংরাজী নাম Saffron, কুমকুম, কাশ্মীব জন্ম, পীতক, বড, সংকোচ, পিশুন, বাল্মীক, এই সমস্ত কুম্কুমের নামাস্তর। কুম্কুম বহুকাল যাবৎ এদেশে পবিত্র উৎসবাদিতে এবং খাদ্য দব্য রং কলার জন্য ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। “রাজনির্ঘণ্ট” “ভাবপ্রকাশ”, “আইনি আকবরী" প্রভৃতি ৰক্ত গ্রন্থে ইহার উল্লেখ পাওয়া যায়। ভারতবর্ষে কাশ্মীর ব্যতীত অন্য কোথাও কুম্কুমের চাষ কখনও হয নাই এবং বর্তমানেও হয় না। পূৰ্ব্বোক্ত কারণেই কুম্কুম “কাশ্মীর জন্মা” আখ্যা ধারণ করিয়াছে। উদ্ভিদতত্ত্বৰিং পণ্ডিতগণেব মতে চেষ্টা করিলে ভারতের অন্য অন্ত প্রদেশেও কুম্কুম উৎপন্ন কর।” যাইতে পারে। কুমকুম পুষ্প শরৎকালে ফুটিয়া থাকে । পুষ্প সমূহ সংগৃহীত হইলে উহা রৌদ্রে শুষ্ক করিয়া পরে, পুষ্পদল মধ্যস্থ নলাকার দণ্ডজয় (Stignia) পৃথক করা হয়। উছাদের অগ্রভাগস্থিত লোহিত পিঙ্গল বর্ণ মণ্ডলাকার অংশ হইতেই ব্যবসায়ীদের নিকট শেষোক্ত জাফরাণ “মোঙ্গ লা” নামে পরিচিত এবং প্রতি টাকাষ এক তোলা হিসাবে বিক্রীত হয়। মোঙ্গলা জাফরাণ সংগৃহীত হইলে পব শুষ্ক ফুলগুলিকে কিঞ্চিৎ চুর্ণ কলিয়া জলে ফেলিয়া রাখা হয়। ক্রমে পাপউীগুলি জলে জ্ঞাসিয়া উঠে এবং পুষ্প মধ্যস্থ প্রয়োজনীয় অংশ তলদেশে পতিত হইতে থাকে । কিছুকাল পব ভাসমান পাপড়ীগুলিকে পৃথক করিয়া তলদেশস্থ জাফরাণ সংগ্ৰহ করা হয় । এবং উছাকে "নীওযাল" বলা চটযা থাকে । কুমকুমের ব্যবহার কুমকুম দ্বাবা বস্থাদি উজ্জল পীতবর্ণে বং কবা যায়; কিন্তু মূল্যাধিক্য হেতু উক্ত কার্যের জন্য ইহা ল্যবহৃত হয না। উত্তর ভারতে ধনীদিগের মধ্যে কখনও কখনও বিবাহের সময কুমকুম দ্বাবা বস্ত্রাদি বজিত হইয়া থাকে । কুমকুম সাধারণতঃ পনীর, পিষ্টক ও পোলাও প্রভৃতি গাঙ্ক দ্রব্যাদি সুগন্ধি ও রঞ্জিত করার জন্ত, দেশীয় চিকিৎসা-শাস্ত্রে উৎসবাদির সময় গন্ধদ্রব্যরূপে এবং কাশ্মীর ও উত্তর ভারতে চন্দনের পরিবর্তে বা চন্দনের সহিত সুগন্ধ অঙ্গলেপরীপে ব্যবহৃত হয। পাদ্যদ্রব্য রং কবার জঙ্গ কুমকুমের ব্যবহার ভারতের সর্বত্র এবং জাৰ্ম্মানীও স্বইজারল্যাও প্রভৃতি দেশে বিশেষ প্রচলিত। ইউরোপে শুভকার্য্যে “Saffron cake" এর ব্যবহার এখনও সম্পূর্ণ লুপ্ত হয় নাই। পূৰ্ব্বে প্রতি বৎসর বহু টাকা মূল্যের কুমকুৰ ভুারতবর্ষ হইতে ইউরোপে প্রেরিত হইত ! অনভিজ্ঞ ব্যবসায়ীগণ দ্বারা ভেজাল মিশ্রণ হেতু এদেশীয় কুমকুম এখন আর আদৃত হয় না। বৰ্ত্তমান সময়ে ভারতবর্ষ হইতে ইউরোপে কুমকুমের রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ হইয়া গিয়াছে । পক্ষাত্তরে আমরা প্রতি বৎসর বহু টাকা মূল্যের কুমকুম ফ্রান্স দেশ হইতে ক্ৰয় করিয়া থাকি। বৰ্ত্তমান সময়ে বাজারে যে জাফরাণ কিনিতে BBBBB B SBB BBBBS BBB DDS ggD BBBS BB BBB BBB BB TTD BBBBB BBBB BBBB BBBH DBB BBBBB BBBB BBBB BBBS BBBBB BBBB BBB নিকৃষ্ট বা দ্বিতীয় নম্বর জাফরাণ প্রস্তুত হইয়া থাকে । দেশীয় কুমকুম্। - פסיגס\ --oo: