পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f -- দেরবার কনিষ্ঠ ভ্রান্ত কীৰ্ত্তিধৰ্ম্ম একাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াদ্ধে চম্বেলদের লুপ্ত স্বাধীনতাকে পুনরুদ্ধার করিয়াছিলেন। কর্ণকে পরাজয় কfরবার পর রাজ্যময় উৎসব পড়িয়া গিয়াছিল । এই উৎসrবাপলক্ষে "প্রবোধচন্দ্রোদয়" নামক নাটক সৰ্ব্বপ্রথম অভিনীত ছয় । দ্বাদশ শতাব্দীতে কীৰিয়াব পেএ মদনৰন্ম রাজা করিতেছিলেন । মদন বৰ্ম্ম। গ৷হডাবাল রাজ গোবিনচন্দ্রের সমসাময়িক । তিনি আবার যশোবন্মা ও জয়বৰ্ম্ম নামক মালব রাজার সমসাময়িক ছিলেন। ডাহুল প্রদেশের গয় কর্ণও তাeার সমসাময়িক ছিলেন । গুজরাত প্রদেশের চালুক্যের রাজপুতানা জয় করিয়া চন্দোলদের সহিত বিরোধ উপস্থিত করিয়াছিলেন । সিন্ধুরাজ, জয়সিংহ ও কুমারপাল—এই তিন গুজরাতনদেশ মদনপালের সমসাময়িক ছিলেন । মদন বন্মার রাজত্বকালে দেশে খুব উন্নতি হইয়াছিল। রাজ্য ভিলসা পর্যাস্ত বিস্তৃত ইহয়াছিল। মদনৰন্মার পেত্র পরমী তাহার পর সিংহাসনারোহণ কবিয়াছিলেন। পরমদীর সহিত চাংমানরাজ পৃথ্বীরাজের পুন: পুনঃ যুদ্ধ হইয়াছিল। পরমদী বারবার পরাজিত হইয়াছিলেন। এই সমস্ত ঝগড়া-বিবাদের ফলে মহম্মদ ঘোরী সহজেই উত্তরভারত জয় করিতে পারিয়াছিলেন। তিনি প্রথমে পুস্থlরাজকে পরাজিত করিয়া জয়চন্দ্র গাছড়বালকে পরাজিত করিয়াছিলেন। অবশেষে ১১-৩ খৃষ্টাব্দে দুই বৎসব অবরোধেব পর পরমদীর রাজধানী কালঞ্জর শক্রহস্তে পতিত হইয়াছিল। পরমার বংশ খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীতে মালবদেশে পরমার বংশ স্থাপিত হইয়াছিল। দশম শতাব্দীর প্রথমভাগে পরমার রাজগণ দাক্ষিণাতোর রাষ্ট্রকুট ভূপতিদিগের অধীনতা স্বীকার করিতেন। তাহারা দশম শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে সীষ্মকপুত্র দ্বিতীয় বা কৃপতি রাজের রাজত্বকালে স্বাধীন হইয়াছিলেন। বাকপতিরাজ (৯৭৪ খৃষ্টাব্দে) চালুক্যরাজ তৈলপ বিক্ৰীয়ের ভ্রাতার লমলাময়িক ছিলেন । তিনি ছয়বার ভৈলপকে পরাজয় করিয়াছিলেন কিন্তু সপ্তমবারে নিজেই পরাজিত হুইয়াছিলেন foss-efaro --- পরে অশেষ প্রকারে অপমানিত করিয়া তৈলপ তাহাব শিরচ্ছেদল করিয়াfছলেন । ৰাকৃপতিরাজের পর তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা পিন্ধুল সিংহাসনারোহণ করিয়াছিলেন। তাছার পর তাহার পুত্র ইতিহাস-প্রসিদ্ধ ভোজরাজ মালবমাস্কোর অধীশ্বব হইয়াছিলেন। তিনি ১ • ১৮ হইতে ১•৫৮ খৃষ্টােব্দ পর্য্যস্ত প্রভূত গৌরবেব সহিত রাজত্ব কবিয়ছিলেন। তাছার রাজধানী ছিল ধারা নগরী। তাহার নাম অস্থাবধি আমাদের দেশের অনেক প্রাচীন কথাতে অক্ষয় হইয়া আছে । হিন্দুরাজাব মধ্যে যাহা কিছু মহান উৎকৃষ্ট বা গৌরবের বিষয় বলিয়া গণ্য হুকতে পাবে, রাজা ভোজ ছিলেন তাeারি মূর্ত প্রতীক । সমুদ্রগুপ্তের ন্যায় তিনি অশেষ বাজ গুণে ভূষিত ছিলেন। তিনি বিদ্যাবলিক এবং সংকবি ছিলেন । তাছার দ্বার রচিত জোতিষ, গুহনিৰ্ম্মাণ, অলঙ্কার ইত্যাদি বিষয়ের গ্রন্থ অস্কা বধি পাওয়া যায়। তিনি দেবী সরস্বতীর মন্দরে একটা সংস্থত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করিয়া ছিলেন। এই বিদ্যালয়ে শিমশাস্ত্র, সাহিত্য, জ্যোতিষ হত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের অধ্যাপনা হছত | রাজ। ভোজ যে কেবলমাত্র বিস্বান ছিলেন তাহা নহে । তিনি যুদ্ধবিস্কাতেও সুপটু ছিলেন । তিনি গুজরাত-নরেশ ভীমকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়াছিলেন। তিনি চালুক্যরাজ জয়সিংহ দ্বিতীয় ও চেদি রাজ কর্ণ ও গঙ্গেয়ুদেবের সমসাময়িক ছিলেন। কল্যাণার চালুক্যের গুজরাতরাজ ভীম ডহালরাজ কণদেলের সছিন্ত মিলিত হইয়া ভোজকে পরাজিত করিয়াছিলেন। এই পরাজয়ের সহিত মাnব রাজ্য-গরিমা অন্তর্হিত হইয়াছিল। মালবরাজ্য অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হইয়াছিল পরমার বংশের শেষ স্বাধীন রাজার নাম ছিল জয়সিংহ। তিনি ১৩০৫ খৃষ্টাব্দে আলাউদ্দিন খিলজির সেনাপতির হস্তে পরাজিত হইয়াছিলেন। তাহার পর মালবদেশ দিল্লীর সুলতানের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছিল। উত্তর ভারতে রাজপুতজাতির এই ইতিহাস হইতে সেকালে ঐ প্রদেশ কিরূপ শক্তিশালী ও মহত্বপূর্ণ ছিল তাছা অবগত হইতে পারা যায়। 0000 AAASAASAASAASAASAASAASAAAS