পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালার কথা গৌড়ে মাৎস্যন্যায় বঙ্গদেশ, লি শে ষ তঃ তাহাব উত্তবভাগ এককালে যে গেী ড্র দেশ না মে অভিহিত হইত, সে কথ। বলিয়াছি । সেইজ গ্য তাহার গৌড়েশ্বব বলিত । গৌড় নামে রাজাকে একটী নগর বঙ্গদেশের উত্তবভাগে অবস্তিত ছিল, মালদহ জেলায় এখনও তাহার ধবংসাবশেষ আছে। কিন্তু সেই গৌড়নগর কোন সময় স্থাপিত হইয়াছিল, তাহা বলিতে পারা যায় না। তবে কোন সময় হইতে তাহ বিখ্যাত হইয়াছিল, পরে সে কথা বলিব । সে যাহ। হউক, গৌড়দেশের নামেই অনেকদিন হইতে তাহার রাজাকে গৌড়েশ্বর বলা হইত। এই গৌড় বা বঙ্গদেশে কোন একটী রাজবংশের বহুদিন ধরিয়া রাজত্ব করার কথা জানা যায় না । এক এক সময়ে এক এক জন পরাক্রান্ত রাজা গৌড়েশ্বর হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহার বংশের লোকেরা আর সেইরূপ প্রবল হইতে পারেন নাই । সেইজন্য


বাঙ্গলায় ভিন্ন ভিন্ন বাজ ২৬৯৭ পৃষ্ঠাল পর | লং শে র বা জ ত্বে ব এবং অনেক বিদেশীয় রাজার আক্রমণের কথা জানা যায়। এইরূপে গৌড়দেশে বা বাঙ্গালায় অনেকদিন হইতে অরাজকতা বিবাজ করিতেছিল। এই আলাজকতাকে "মাৎস্যস্যায়” বলা হইয়া থাকে । "মাৎস্য যায়”—অর্থাৎ মাছের রাজ্যের আইন । তথায় বড় মাছ ছোট মাছকে ধরিয়া গিলিয়া ফেলে। আরও বড় মাছ আবার ঐ বড় মাছকে গ্রাস কবে । সাধারণ কথায় আমরা বলি—“জোর যার, মুল্লুক তার” নীতি । দেশের এই অবস্থাকেই ভাল কথায় বলে অরাজকতা ! দেশের এ-রকম ছুদিনে বাঙ্গালীরা কিন্তু একটা অসাধারণ কার্য্য করিয়া ফেলিল । এতকাল যিনি যেখানে রাজা হইতেছিলেন, দেশের লোক র্তাহাকেই রাজা বলিয়া মানিয়া লইতেছিল, তাহাকেই খাজনা জোগাইতে - ----------------------------------