পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न्वf>*ढनfन्त ध्वन्नeri পাটলিপুত্রে আত্মরক্ষা স্থবিধা হইবে না দেখিয়া ধৰ্ম্মপাল মুদগগিরি বা মুঙ্গেরে হটিয়া আসিলেন । এই মুঙ্গেরে পাহাড় আসিয়া প্রায় গঙ্গাব তাঁর স্পর্শ করিয়াছে। ঐ তীবের উপরে সঙ্কীর্ণ স্থান দিয়া বাঙ্গালা দেশের দিকে রাস্তণ চলিয়া গিয়াছে । এই রাস্তা আটকাইয়া মুঙ্গেবের দুর্গ নিৰ্ম্মিত। মুঙ্গোবে ধৰ্ম্মপাল নাগভটের গতিবোধ করিয়া দাড়াইলেন । এই যুদ্ধেও নাগভট জয় লাভ করিলেন । ধৰ্ম্মপালের শ্বশুর তৃতীয় গোবিন্দেব নিকট কিন্তু ইতিপূৰ্ব্বেই খবব পৌছিযাছিল পাহাড়পুলের স্ত,পেৰ উত্তর-পূৰ্ব্ব দিকের দৃশ্ব যে র্তাহাব জামাতা পুৰ্ব্বভাবতপতি ধৰ্ম্মপাল প্রতীহার-রাজ নাগভটের আক্রমণে বিপন্ন । ংবাদ শুনিয়া গোবিন্দ ক্রোধে গজ্জিয়া উঠিলেন। গোবিন্দের পিতা ধ্রুব নাগভটের পিতা লৎসরাজকে একবার এমন হাবাইয়৷ দিয়াছিলেন যে, বৎসরাজ মরুভূমিতে যাইয়া আশ্রয় লইতে বাধ্য হইয়াছিলেন । সেই বৎসরাজের পুত্র নাগভট কিনা আজ গোবিন্দের জামাতা, পুৰ্ব্ব ও উত্তর ভারতের সম্রাট, ধৰ্ম্মপালের রাজ্য আক্রমণ করিতে সাহস করে । নাগভটকে আচ্ছা করিয়া শিক্ষা দিবার জন্য গোবিন্দ বহু সুশিক্ষিত সৈন্ম লইয়া উত্তৰাপগে অগ্রসর হইলেন । নাগভট তখন বড় বিপদে পড়িলেন। সম্মুখে ধৰ্ম্মপালের সৈন্য । পিছনে রাষ্ট্রকূটরাজ গোবিন্দের সৈন্য। নাগভট এইবার সম্পূর্ণ পরাজিত হইলেন এবং এমন স্থানে যাইয়া লুকাইলেন যে, তাহার কোন আর চিহ্নই পাওয়া গেল না। কতজ্ঞ ধৰ্ম্মপাল চক্রায়ুধকে লইয়া সানন্দে যাইয়া শ্বশুবের পাদ-বন্দনা করিলেন । এই মহাযুদ্ধে বাষ্ট্রকুট, প্ৰতীহার ও পালসৈন্যগণেব গমনাগমনে ও সজঘর্ষে সমগ্র উত্তবাপথ ও দক্ষিণাপথ আলোডিত হইয়াছিল । নাগভটের পরাজয়ের পরে ভারত জড়াইল। ধৰ্ম্মপাল দীর্ঘকাল ধরিয়া উত্তর ভাবতেব উপব প্রভুত্ব করিয়াছিলেন। তাহার রাজত্বকালে বঙ্গালা ও বিহারের সমস্ত বিষয়ে অপূৰ্ব্ব শ্ৰীবুদ্ধি হইযছিল। ধৰ্ম্মে ধৰ্ম্মপাল লৌদ্ধ ছিলেন। তাহাব বাজো গঙ্গার তীরে পাহাড় ছিল, গঙ্গার জল হইতে তাহা খাড়া উপরে উঠিয়াছিল। সেই পাহাড়ের মাথায় পৰ্ম্মপাল বৌদ্ধ ভিক্ষুগণেব জন্য একটি প্রকাণ্ড লিহার প্রতিষ্ঠিত ফরেন । এই বিহারের নাম “বিক্রমশিলা মহাবিহার ।" দেখিতে দেখিতে বিদ্যাচর্চার স্থান হিসাবে এই বিহারের প্রতিপত্তি প্রাচীন নালন্দা বিহারকেও ছাড়াইয়া উঠিল । ক্রমশঃ বিক্রমশিলামহাবিহার বৌদ্ধপণ্ডিতগণেব কেন্দ্রস্থল হইয়। উঠিল । এই বিহাৰ কোথায় ছিল তাহা আজিও ঠিক মত জানা যায় নাই। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে রাজসাহী জেলার উত্তর-পূৰ্ব্ব কোণে পাহাড়পুর নামক স্থানে প্রকাগু এক প্রাচীন ভাঙ্গা মন্দির পাওয়া গিয়াছে। উহাতে পুরাণে অক্ষরে লেখা কতকগুলি মাটির শীলমোহর মিলিয়াছে। ঐ শীলমোহরগুলি পড়িয়া বুঝা যায়, পাহাড় ۹۵ مجت.


.*