পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r f-lു.ണ്ണേ কোন কোন সময় আবার শুকতারাকে সূৰ্য্যোদয়ের কিয়ৎকাল পরেও আকাশে দেখিতে পাওয়া যায়। তোমরা এ কথাটা বিশেষ ভাবেই জান যে পূৰ্ব্বাহ্নে ও অপরাহ্নে সূৰ্য্যের তেজ মধ্যাহ্নের হ্যায় প্রখর হয় না। এজন্য সূর্য্যোদয়ের পরে ও সূৰ্য্যাস্তের পূৰ্ব্বে কিছুক্ষণ সূর্যালোকের ক্ষীণতা হেতু শুক্রগ্রহ দিবালোকেও দেখিতে পাওয়া যায় । শুক্র সময় সময় ঘুরিতে ঘুরিতে পৃথিবী হইতে মাত্র আড়াইকোটি মাইল দূরে আসিয়া উপস্থিত হয়। ঐ সময়ে পৃথিবী হইতে শুক্রের দূরত্ব কতটা তাহা বুঝাইয়া বলিতেছি। চাদ পৃথিবী হইতে যত দূরে, শুক্র তখন তাহা অপেক্ষা পৃথিবী হইতে এক শত গুণ দূরে থাকে। জ্যোতির্বিবদ পণ্ডিতেরা শুক্র গ্রহ অন্যান্য গ্রহের তুলনায়, পৃথিবীর এত কাছে আছে বলিয়াই ইহার সম্বন্ধে অনেক কথা জানিতে পারিয়াছেন। আমাদের দেশে প্রাচীন কালে জ্যোতিষী পণ্ডিতেরা শুক্রের সম্বন্ধে অনেক কথা জানিতেন, এজন্যই আমরা পুরাণে শুক্রের সম্বন্ধে অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প জানিতে পারি। “হরিবংশে” শুক্রের জন্ম সম্বন্ধে একটি গল্প আছে। নবগ্রহ স্তোত্রে শুক্রের সম্বন্ধে বলা হইয়াছে, হিমকুন্দ মৃণালাভ্যাং দৈত্যানাং পরমংগুরু" ! বোধ হয় তাহারা শুক্র গ্রহের উজ্জল রজত দীপ্তি দেখিয়াই উহাকে হিমকুন্দ মৃণালাভাং বিশেষণে বিশেষিত করিয়াছিলেন । পৃথিবী ও শুক্র আকারে ও গঠনে ঠিক যেন দু'টি যমজ বোন। পৃথিবী আকারে শুক্র অপেক্ষা সামান্য একটু বড়। কিন্তু আকারে ও গঠনে অনেকটা একরূপ হইলেও ইহাদের মধ্যে অন্যান্য বিষয়ে বড় বেশী ঐক্য দেখিতে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর চাঁদ বলে । আছে, উহা পৃথিবীর একটা উপগ্রহ, কিন্তু শুক্রের কোন চাদ আছে বলিয়া আজ পর্য্যন্তও পণ্ডিতেরা কোন সন্ধান পান নাই। সকল গ্রহেরই যে উপগ্রহ আছে, তাহা নহে এবং যে সকল গ্রহের উপগ্রহ আছে, তাহার উপগ্রহের সংখ্যাও যে সমান কিংবা কোন একটা বিধান অনুযায়ী আছে তাহাও বলা চলে না। পৃথিবীর ১, মঙ্গলের ২, বৃহস্পতির ৬, শনির ৮ এইরূপ উপগ্রহ রহিয়াছে। চন্দ্র ছাড়া আর কোন উপগ্রহ-ই খালি চোখে দেখিতে পাওয়া যায় না। তাঁহাদের দেখিতে হইলে দূরবীক্ষণের প্রয়োজন হয়। প্রাচীন কালের লোকেরা ত আর দূরবীক্ষণ কি জানিতেন না, এজন্য তাহারা উপগ্রহের সন্ধানও জানিতেন না। আমাদের পৃথিবীর সূৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করিতে ৩৬৫ দিন সময় লাগে, কিন্তু শুক্র গ্রহ কেবল সাড়ে সাত মাসে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। কাজেই আমাদের পৃথিবীর ২২৫ দিনে শুক্র সূৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করে। তারপর আর একটি বিষয়েও শুক্রের সহিত পৃথিবীর মিল নাই। আমাদের পৃথিবী তাহার মেরুদণ্ডের চারিদিকে চব্বিশ ঘণ্টা ঘুরিয়া দিনের পর দিন এবং রাতের পর রাত স্থষ্টি করিয়া আসিতেছে, কিন্তু বুধ গ্রহের মত শুক্রের একটা দিক বা পৃষ্ঠ সূর্য্যের দিকে মুক্ত। সেখানে সূর্য্যের আলো পড়িতেছে কিন্তু অপর পৃষ্ঠে সূর্য্যের আলোক পড়ে না। কাজেই সে দিকটা চির অন্ধকারে ঢাকা, সেখানে চির রাত্রিই জাগিয়া আছে। এজন্যই কি পুরাণকারেরা শুক্রকে ‘কাণা শুক্র’ করিয়া কাহিনী রচনা করিয়া গিয়াছেন ? বুধের ভ্রমণপথের মত শুক্রের ভ্রমণ পথ পৃথিবী ও সূর্যোর মধ্যে অবস্থিত বলিয়া শুক্রের ক্ষয় - বৃদ্ধি হইয়া থাকে। খালি --- &brbペ -------------