পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f司佥t卒t司 হ’ত, যদি বরাবর পশ্চিম-মুখে যাই, তা হলেই আমি ভারতবর্ষে পৌছে যাব । কিন্তু অর্থ চাই, সাহসী নাৰিক চাই –এ ছুটির একটিও জেনোয়াতে মিলবার সম্ভাবনা নাই দেখে আমি ১৪৭৪ খৃষ্টাব্দে লিসবনে গেলাম। এখানকার লোকের অজ্ঞাত নানাদেশেব বিষম অনেক সংবাদ জানতে। ইতিমধ্যে আমি গিনি (Guinea), মেডিরিয়া এবং ইংলণ্ডে গিয়েছিলাম। আমব বস্তুল চল্লিশ বৎসর পূর্ণ হবাব পূৰ্ব্বে আমি একথা বলতে পারি যে, এমন কোন দেশ ছিল না যে, দেশে পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী নাবিকদের পদাঙ্ক অতুসরণ করে थ्रtfभ गt हे नt३ ।। আমি লিসবনে বিৰাহ করে সেখানেই স্থাযিভাবে বসবাস করতে আরম্ভ করি। আমার সঙ্গে আমার ভাই বার্থোলোমিউ (Bonholomew) থাকতেন। বার্থোলোমিউ আমার সঙ্গে সঙ্গে অনেক দেশ বেড়িয়ে ছিলেন। তিনি মানচি৭ে খুব ভাল অ’াকতে পারতেন, আর নিজে ছিলেন সাহসী ও নিতীক নাবিক। এসময়ে আমি ছবি একে এবং ভূ-গোলক তৈয়ারী করে কিছু কিছু অর্থে পাজন করে সংসারের বায় নিৰ্ব্বাহ করতাম। লিসবনের লাইব্রেরীতে ঘে সকল মানচিত্র, ভ্রমণ বিবরণ এবং সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহারোপযোগী যন্ত্রপাতি ছিল, আমি সে সকলের ব্যবহার সম্বন্ধে বেশ অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলাম। এখানে টোসকেনেলি (Toscanelli) নামে একজন ইটালি দেশীয় নাবিকের আঁকা মানচিত্র আমার বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল টোসকেনেলিও বরাবর পশ্চিমাভিমূখে জাহাজ চালিয়ে ভারতবর্ষে পৌছবার কল্পনা করছিলেন । ইহার আঁকা মানচিত্র থানা পেয়ে আমি যে কতদূর উপকৃত হয়েছিলাম, সে-কথা বলে শেষ করা যায় না। এ সময়ে সংবাদ এলে যে, বার্থেীলোমিউ দিয়াঙ্গ নামে একজন নাবিক আফ্রিকা মহাদেশ প্রদক্ষিণ করে ঐ মহাদেশের দক্ষিণদিকের একটা মস্তরীপের কাছাকাছি এমন ঝড়ে পড়েছিলেন যে,তিনি ঐ অন্তরীপের sts fđaicsR -&tẹt &sảh*t ( Stormy Cape) l কিন্তু পর্তুগালের রাজা অষ্টান্ত নাবিকদেরমনে ভয়েব পরিবর্তে অাশা ও উৎসাহ সঞ্চারের জন্ত ঐ অন্তরীপের নাম দিলেন"উত্তম আশা আস্তরীপ”(cope of GoodHope)। এসংবাদে লিসবনের নাবিকদের মধ্যে একটা চাঞ্চল্যের সাড়া পড়ে গিয়েছিল। অামার প্রাণে নবীন অাশা ও উৎসাহসঞ্চারিত হ’ল । অামার छब्रठवर्ष श्राविभtप्द्रद्र Հգ: কলম্বসন দৃঢ় সঙ্কল্প হ’ল যে, এৰাৱ আমি আমার ভাগ্য পরীক্ষা रुद्रद-पोरु चछttउद्र नशt.न । आँधि ब्राखtद्र कांtछ् श्रfभांग्न eitर्थना जांना वांद्र छम्र वrांकूल र'tग्न উঠলাম । এ সময়ে নাবিকদের কাছে যে কত আশ্চর্য্য ও অদ্ভুত গল্পই না শুনতাম ! ১৪৮ খৃষ্টাব্দে আমি পর্তুগালের রাজা দ্বিতীয় জনের নিকট মামার প্রার্থনা জানালাম। আমার এই অভিযানের বিষয় জ্ঞাত হয়ে তিনি বললেন—আমি আমার ভৌগোলিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তোমায়ু অস্বমতি দিব । ভৌগলিকেরা আমার এই সঙ্কল্প একটা বাতুলেব কল্পনা বলে উড়িয়ে দিলেন। পরে কিন্তু রাজা এক চালাকি করলেন। তিনি আমার মানচিত্র, যন্ত্রপাতি এসব দিয়ে গোপনে একজন নাবিককে ভারতবর্ষ আবিষ্কারের জন্য পাঠিয়ে দিলেন আটলান্টিক মহাসাগরের পথে সে জাহাজ ভেসে চলুলে। কিছুদিন পবে একটা ঝড়ে পড়ে বিপৰ্য্যস্তভাবে সে নাবিক তার জাহাঙ্গ নিয়ে বন্দরে ফিলে এলেন। রাজা ভেবেছিলেন, যদি অল্প আয়াসে ও অর্থব্যয়ে ভারতবর্ষ আবিষ্কারটা হয়, তাহলে সৰ গৌরবটা যে তারই হ'বে। আমি এ ব্যাপারটা জানতে পেবে লিসবন ছেড়ে যাওয়াই সঙ্গত মনে করলাম। লিসবন ছেড়ে স্পেনদেশে এলাম । এখানে এসে দেখলাম যে, স্পেনের সঙ্গে মুরদের লড়াই চলছে। এদিকে আমার ভাই বার্থোলোমিউকে ইংলণ্ড ও ফরাবীদেশে পাঠিয়েছিলাম—যদি কোথাও কোন হুযোগ মিলে। কিন্তু কোথা হ’তেও অtশার বাণী এল না। এত নিরাশার মধ্যেও আমি আমার আশা ছাড়িনি। দিনরাত নিজের সঙ্কল্প কি করে পুর্ণ হয়, সেকথা নিয়েই বিব্রত থাকৃতাম। রাজা ও রাণী যখন যে শিবিরে যেতেন আমি সেই শিবিবে যেতাম— তাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে অtমার মনের অভিলাষ ৰাক্ত করবার জন্য যে কত বড় অগ্রিক ও আকাঙ্ক্ষণ আমায় ছিল—লে বলে বোঝান কঠিন । অবশেষে একদিন সৌভাগ্যেব স্বত্রপাত হ’ল ; রাণী ইসাবেলার শুভদৃষ্টি আমার উপর পড়ল। গ্রানাডা নগরী(Gronado) আবিস্কৃত হলেই তিনি আমাকে তার সঙ্গে দেখা করবার জন্ত আহবান করবেন। ১৪৯২ খৃষ্টাব্দের ২রা জাম্বয়ারী গ্রানাডা আবিষ্কৃত হ’লে পর রাজ্ঞী আমাকে তার সহিত দেখ৷ করবার জন্তু অনুজ্ঞা প্রেরণ করলেন। রাজীর সঙ্গে আমার একটা সৰ্ত্ত লেখাপড়া হ’ল। সেই ሕ›8 እ F. 9–12