পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

மு पछामृत्वप्डी-ब्ल प्रक•ध्ञ्प ७० प्रका•८/ब्पिन्क কিন্তু দশনের এই স্বাধীনতা সকল সময়ে স্বীকৃত হয় নাই এবং দশন ও সব সময়লে স্বাধীনতা দাবী করতে পাপে নাই—ভারতবধে ওনয়। হিন্দু দশনের বেদ এবংবৌদ্ধদপনে বুদ্ধের বাণী অভ্রান্ত সত্য হিসাবে গৃহীত হইয়াছে। দশনের সত্যমুসন্ধিৎসা অনেক সময়ই এই সব ৰাণীর প্রকৃত অর্থ ৰাছির করা ভিন্ন আপাতত: আর কিছুই ছিল না। কিন্তু ইহারই ভিতরে এই সব গৃহীত ধৰ্ম্মগ্রন্থ আমাঙ্কনাকরিয়াওভারতেদtশনিকচিন্তাধারা প্রচুর স্বাধীনতা অর্জন করিয়াছিলএবং এমন অনেক স্বগাতত্ত্বেক আবিদারকপিয়াছিল,যtছাএখনওজগতের শ্রদ্ধা লাভ কবিয়া থাকে। তাহাক কারণ, প্রথমত: যে শাস্থের ব্যাখ্যাদশন করিতে চাহিত,তাহাও একটা স্বাধীন চিন্তারই ফল ছিল ; অাব দ্বিতীলত: ব্যাথাও অনেক সময় স্বগ বিশেষণেরসাছালো মূলকে অতিক্রম করিয়। যাইতে পারে। ব্যাখ্যাকারদেব এই শক্তি আইলে এবং দশনে উভয়েই বিশেষ ভাবে দুষ্ট ক্ষয় । বেদ বা শতির যে অংশকে আশ্ৰয় করিয়া ভারতীয় দশনউৎপন্ন ও বুদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে,সেই উপনিষদ গুলিও একট। স্বাধীন চিন্তারই ফল । আপ, যে বুদ্ধের বাণী আশ্রয় করিয়া বৌদ্ধ দশন গঠিত হইয়। উঠিয়াছে, সেই বুদ্ধও বৈদিক ধন্মের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ধোগণ করিয়াছিলেন এবং তাছার প্রচাবিত ধৰ্ম্মে একটা স্বাধীনতার আকাঙ্গা স্পষ্ট। তথাপি, ধৰ্ম্ম প্রচারের এবং ধৰ্ম্মাহুষ্ঠানের নাগপাশ ভাবতীয় দশন একেবারে ছিন্ন করিতে পারে নাই, একথা মানিয়ালওয়ায়ুকোন দোষ নাই। কিন্তু ধৰ্ম্ম-শাসনের এই অধীনতা ভারতীয় দশনের ঠিক নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নহে। কেন না, এ জিনিব পাশ্চাত্য দশ নেও বহিয়াছে। ভারতীয় দর্শনের সেখানেও ধন্মের শাসন অমান্ত করা Ն*քոջ সহজ-সাধ্য হয নাই। ভারতীয় দশনের ধাং বৈশিষ্টা, সেটি এই যেইহামোক্ষ শাস্ত্র। ইউরোপের দশন শুধু জ্ঞান দেয় ; পরমার্থিক সত্য জানিতে মানুষের যে ব্যগ্র আকাঙ্ক্ষা হয়, তাহা চরিতার্থ করে। ইহার বেশী কোন ফল তাহার অভিপ্রেত নয়। কিন্তু ভারতীয় দশন শুধু জ্ঞানেল জন্য জ্ঞান-চর্চা নহে । তাহা৩ে ও জ্ঞানের কথা আছে—কিন্তুলে জ্ঞান অন্য একটা বড় জিনিষ পাওয়ার উপায় মাত্র ; সেই বড় জিনিষটির নাম মোক্ষ বা ५4 ७ नर्णन F. 11–12 >¢ግ মুক্তি। জীবনে নানারকম দুঃখ মানুষ পায় , এ-সৰ দুঃখ হইতে কিসে মুক্তি পাওয়া যায়, ভারতীয় দশন প্রথানত: তাছাই বলিতে চেষ্টা কবিয়াছি । ভারতীয় দশন সাধারণভাবে ইহা ধরিয়া লইয়াছে যে, জীবন দু:খময় , স্বতরাং এই দুঃখের নিবৃত্তি মানুষের পরমকাম্য। ইউরোপীয় দশন জীবনটাকে দুঃখময় বলিয। সব সময় মনে করে নাই, ম ৩রাংমুক্তিপ্রাপ্তিই ইহার চরম কামাও কহে , সত্য জিজ্ঞাসা চরিতীর্থ করাই ইহার মুখ্য উদ্দেশ্য। ভারতীয দর্শনের ইতিষ্ঠাস ইউরোপীয় দর্শনের ইতিহাসের চেযে দীর্ঘ । কারণ, ইহার আরম্ভ অনেক আগে । বগুমানে মবশ্যই ইউরোপের চিন্তাধারা অনেক গভীপ ও পুষ্ট এবং নানা দিকে উহা বিস্তৃতি লাভ করিয়াছে। সেই অনুপাতে বওঁমানে ভারতীয় দশন হয় ত অনেকট নি:স্ব প্রতীয়মান হইবে। কিন্তু তথাপি ইহাব ইতিহাস এখনও একেপারে সমাপ্ত হইয়া ধায়ু নাই , আব অতীতের দিকে তাকাইলে ভারতকে দার্শনিক চিন্তায় মোটেই দীনও মনে হইবেন । মুলা ইহার যাহাঁই হউক না কেন, ভাবতীয় দশনের ইতিহাস যে ইউৰোপীয় দশনের ইতিহাসের চেয়ে দীর্ঘতর,লে-বিষয়ে-আর কোন সন্দেহ চলে না। এই দীর্ঘ ইতিহাসে যুগ-বিভাগ অপরিহার্গ্য। মোটামুটি সমগ্র ভারতীয় দশমের ইতিহাস চাবটি যুগে বিভক্ত হইতে পারে। ১ম,—বেদ ও উপনিষদের যুগ ; ২য়— স্বত্রকারদের যুগ ; ৩য়—ভাষাকারদেব যুগ ; আর ৪র্থ-পববৰ্ত্তী সংগ্ৰহকৰ্ত্তা ও ব্যাখ্যাকারদের যুগ । এইটি প্রধানতঃ হিন্দু দর্শনের যুগবিভাগ। ছিন্দু দশনের পাশাপাশি ভারতবর্ষে আরও দুইটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য চিন্তাধাবা আবির্ভূত হইয়াছিল— তাং বৌদ্ধ ও জৈন দর্শন। এই দুইটির বেলায় এই যুগ বিভাগ ঠিক প্রযোজ্য নহে। ইeাব খৃষ্ট জন্মিবার ৪• •৫০০ বৎসর পূৰ্ব্বে এবং বুদ্ধ ও মহাবীরের মৃত্যুর পর আবিভূত হইথ। হিন্দু দর্শনের পাশাপাশি এবং তারই সঙ্গে আড়াআড়ি করিয়া বাড়িয়া চলিয়াছিল। এই সব দশনের সঙ্গে হিন্দু দশনের যে অনেক বাদবিতও হইয়াছিল, তাছার প্রমাণ আছে। তার পর দেখা যায়, হিন্দুর দশনের নিকট পরাস্তহষ্টয়া ইহার ক্রমশ: নিস্তেজ হইয় পড়ে এবং ভারত হইতে ইছাদের পঠন-পাঠনও একরূপ উঠিয়া যায়। আমরা ক্ৰমশ: এ সমস্তেরই একটু বিস্তৃত আলোচনা করিব। SSASAS SSAS SSAS