পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--শিশু-ভাল্লভা - একটা বস্তু হটতে অন্ত বস্তুতে প্রবেশ করিবার অবস্থায় অালোক-রশ্মি লম্বভাবে না আলিয়া যদি অসম কোণে (Oblique angle) আসিয়া থাকে, তবে তাহার চলিবার পথ বাকিয়া যায়। এই তত্বটি তোমাদের কাছে আমি এত বাব বলিয়াছি যে, শুধু নাম করিবা মাত্র ইহার ছবিটি তোমাদের সামনে উদয় হওয়া উচিত। তোমরা জান যে, এক কথায় বলিতে গেলে ইহাকে আলোক রশ্মিব পরবর্তন হওয়া বলে। বৃষ্টির ফোটাব মধ্যে রশ্মিগুলি ফোটাটির উপর এবং নীচে অসিয়া লাগিয়া পরাবন্তিত হইয়া তাহার মধ্যে ঢুকিয় পড়িতেছে এবং এই ভাবে ফোটাটির মধ্যে প্রবেশ করিয়া তাহার পিচন দিকেব দেওয়ালে আসিয়া লাগিতেছে । এই দেওয়ালটি এই রশ্মিগুলিকে দর্পণের মত সম্পূর্ণ প্রতিফলিত করিয়া থাকে বশ্বিগুলি তাই ছবিতে যেরূপ দেপানে হইতেছে, সেইভাবে জলের ফোটাটির ভিতবে প্রতি*sets of Total internal reflection of Giটির যে দিক দিয়া ঢুকিয়াছিল, প্রায় সেই দিক দিয়াই বাহির হইয়া আসে। জলের ফোটাটি আলোকরশ্মির পথকে এই ভাবে অনেকট যুবাইয়া দেয়। প্রিশ্নের কথা যগন বলিতেছিলাম, তখন তোমরা জানিতে পারিয়াছিলে যে, কোনও পদার্থের ভিতব দিয়া যাইতে হইলে রশ্মি যদি বাক পথে চলিয়া যায়, তাহা হইলে রশ্বিট যে বঙ গুলি দিয়া তৈয়াবী, তাহ সেই রঙে বিভক্ত হইয়া পড়ে। এখানেও সেই কারণেই যে রশ্মিট ফোটাটির মধ্যে পথ গগুগোল করিল, সে অবশেষে বাহির হইবার পর তাহার সাদা পোষাক পরিবর্তন করিয়া ইন্দ্ৰধনু রঙের পোষাক পরিয়৷ বাহির হইয়া আলিল । তোমরা যদি জীবাণুর ( uicrobo) মত ছোট হইয়। গিয়া বৃষ্টির ফোটাটির মধ্যে ঢুকিয়া পড়িতে পার, অথবা কোন উপায়ে তাহাকে ঘরের মত বড় করিয়া তাহার মধ্যে যাইতে পার তবে একটা মজার ব্যাপার দেখিতে পাইবে । তোমার মনে হইবে যে, তুমি একটি গোলাকার দর্পণের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছ । বৃষ্টির ফোটাটির ভিতরের দিক সত্যসত্যই একট। দর্পণের মত। তাই আলোক রশ্মি একবাৰ ঢুকিলে ফোটাটির ভিতরে কয়েকবাব প্রতিফলিত হইতে থাকে। অবশ্য, প্রত্যেকবাব কিছু না কিছু রশ্মি বাহির হইয়াও থাকে। তোমরা বুঝিতেই পারিতেছ যে, ততবার ভিতরে রশ্মি ঘুরিতে থাকিবে, তাহার তেজও তেমনিই কমিয়া থাকিবে । অতএব তোমর। দেখিতে পাইতেছ যে, আকাশে একটিমাত্র ইন্দ্ৰধনু হয় না। সত্য কথা বলিতে গেলে অনেকগুলি ইন্দ্ৰধনু একটার উপরে একটা হইয়া দেখ দেয়। তবে সাধারণত: আমবা দুইটির অধিক দেখিতে পাই না । তাহার কারণ, প্রথমত: অন্তগুলিব ঔজ্জ্বল্য খুব কমিধা যায় এবং ক্রমে ক্রমে তাহার। স্থয্যের নিকটে সরিয়। যাইতে থাকে বলিয়া আরও অস্পষ্টতা আসিয় পড়ে। তোমর দিন দুপুরে চাদ দেখিয় থাকলে ত হার্কে কেমন অস্পষ্ট মলিন দেখায়, লক্ষ্য কলিয়াছ কি ? অথচ সেই চন্দই রাত্রে কেমন উজ্জল হইয়। প্রকাশ পায় । এক্ষেত্রে ৪ ৩াহাই খটিয়া থাকে । খুব উজ্জল ধনুটব পাশে অহজ্জল ধনু আমাদেব চোখের দৃষ্টিকে উত্তেজিত কবিতে পারে না। তাই তাহাব অদৃশুই द्रश्नःि।। ६ाघ्र । যে রশ্মিগুলি বৃষ্টিবিন্দুর মাথাব দিক দিয বিন্দুটির ভিতর প্রবেশ করেঘl, মাত্র একবারই প্রতিফলিত হইয়া আমাদেব চোপে আসিয়৷ লাগে। প্রধান ধমুটি এই রশ্মিগুলি দিয়াই তৈয়ারা হয়। বৃষ্টির ফোটাটিব যে ছবি গোড়াতে দেখান হইয়াছে, তাহাতে এই প্রধান ধন্থটি তৈয়ারী হইবার ব্যাপবিটিই দেখান হইয়াছে। অপব পক্ষে ঘ রশ্মিগুলি বৃষ্টিবিন্দুর নীচে দিয়া ঢুকিয। দুইবার প্রতিফলিত হইয়। আমাদেব চোখে আসিয় লাগে (দ্বিতীয় ছবিটি দেখ) তাহাদেব দ্বাৰাই দ্বিতীয় ধনুটি তৈয়াবা হয় । তোমব। জান যে, দ্বিতীয় ধমুটি প্রথমটি হইতে কিছু উচ্চে অবস্থিত থাকে এবং তাহার ঔজ্জ্বল্যও প্রথমটি হইতে অনেক কম হয় । এপন প্রশ্ন হইতেছে এই যে, ইন্দ্ৰধনু ত আকাশের গায়ে জাগিয় উঠতে আমরা সকলেই দেখিয়া থাকি, কিন্তু বাস্তলিকই কি আকাশের গায়ে কোনও উপায়ে ঐভাবে রঙ লেপিয়া যায়,ব। ঐ ব্যাপাবটার আগ হইতে গোড়া পৰ্য্যন্ত সমস্তটাই ভুয়া । ইহা ভুয় বা তাহ নয়, এ প্রশ্নের উত্তব বলিতে পাবি না , তবে এইটুকু বলিতে পারি যে আকাশের যে স্থানে ইন্দ্ৰধনু আছে মনে করিতেছ, উড়ো জাহাজ করিয়া বা যে কোনও উপায়ে যদি সেপানে পৌছিতে পার, তবে সেখানে বৃষ্টি এবং রৌদ্রই শুধু পাইবে—রঙের কোনও চিহ্নইদেখিবে না। বাস্তবিক পক্ষে নিকটে পোঁচিবার বহু পূৰ্ব্বেই উছা তোমার নিকট হইতে মুছিয়া যাইবে । দর্পণে তোমাব চেহারা কেমন স্পষ্ট ও অবিকল তোমারই মত হইয়া তৈয়ারী হইতে দেখ, দর্পণের পিছনে هجد جدجه هم پاپ : از گاه به همه