পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- সর্জি হুঙ্কা কেন ? ছোট হয়ে পড়ে। অতএব পণ্ডিতের স্থির করলেন যে, যে সব পরিবর্তন তার ঘটবার কারণটাকে সরিয়ে নিলে আবাব নিজের অবস্থায় আপনিই চলে আসে, সে হ'ল এক রকমের পরিবর্তন। এই বকম পরিবর্তনে যে জিনিষটা পৰিবৰ্ত্তিত হচ্ছে তার আকার এবং অবস্থারই পরিবর্তন হয় মাত্র-জিনিষটাব কিছু হয় না। লোহাকে গবম করলে লোহাই থাকেসোনা কি রূপায় পরিণত হয় না। আর এক রকম পরিবর্তন হয় যেখানে পবিত্তনের স্বাব। নূতন জিনিষ তৈরী হয়ে পড়ে। ঐ লোহাব টুকরাটাকে पनि छूमि আমজান (oxygen) গ্যাসের মধ্যে রেগে উত্তপ্ত করতে, তাহলে সে আব লোহা থাকত না । লালচে রঙের একটা জিনিস তৈরী হত যাকে সাধারণত: লোহার মরিচ নাম দেওয়া হয়। লোঙ্গর মবিচার গুণ লোহাতে নেই। এ অবস্থায় লোহ অম্লজানের সঙ্গে মিশে গিয়ে এই মৃত্তন পদার্থটা তৈরী হয়ে উঠল । এই রকম পরিবর্তনের নাম পণ্ডিতেব রাসায়নিক পবিবৰ্ত্তন দিয়েছেন । বাসায়নিক পরিবর্তন হ'লে সে ক্ষেত্রে গুই বা ততোধিক জিনিষ সংযোগে বা বিয়োগে কোনও নূতন জিনিষের উদ্ভব হয়ে থাকে । “শিশু-ভারতীর” যে শীদাপাতাটা তুমি দেখছ বা তিনটে জিনিষের এক সঙ্গে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে তৈরী হয়েছে। এ feast ş'si atstata (1Iydrogen), *a*l* (oxygen), “if notá (Carbon) on 3.5 গ্যাস। আর শেষেরট। কঠিন জিনিষ হলেও তাব রঙ যে কি তা বোধ হয় ব’লে দিতে হবে না। কিন্তু এই দুই রকমের পরিবর্তনকে যদি একটা স্পষ্ট সীমা-রেখা দিয়ে ভাগ করতে যাওয়া যায়, তা হ’লে কিন্তু ব্যাপার কঠিন হ’য়ে দাডায় । বেডিয়ম ব’লে একটা জিনিষ মাছে-এ নিজে নিজেই অনববত পণ্ড্রিবর্তিত হচ্ছে আর অনববত নূতন জিনিষ তা থেকে তৈরী হচ্ছে। এর পরিবর্তন কিন্তু বাসয়নিক পরিবর্তন নয় । অতএব এই সব স্বল্প ব্যাপারেব মধ্যে আপাতত: না যাওয়াই ভাল । আমাদের ঘুম পায় কেন ? ঘুমটা খুবই একটা আরামের জিনিষ, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সময়ে অসময়ে আমাদের বিশেষ চেষ্টা সত্বেও ঘুম পায় না। এ যে আমাদের সত্যিকারের বিপদে ফেলবার চেষ্ট করে, তা আমরা সবাই জানি। এই মনে কর না কেন, মাষ্টীর মশাই সকাল বেলা ২০ট। বুদ্ধির অঙ্ক কষে রাখতে দিয়ে গেলেন, বা ইতিহাসের বইএর পাচটা পাতা দেখিয়ে বলে গেলেন যে, কালকেই এর সবটা কণ্ঠস্থ চাই । আর যদি একটা অঙ্ক বা পাচটা পাতার একটা শব্দ ও ভূল হয়, তবে দেখবে কেমন মজা ! তারপর সন্ধাবেলা আলে| জেলে বসে পাচটা অঙ্ক শুদ্ধ হ’তে না হ’তেই বা দেড়ট পাতা পড়া কণ্ঠস্থ হ’তে না হ’তেই যখন হাতের কলম অজানাভাবে তাঙ্ক থেকে খসে পড়ে ব৷ ইতিহাসের বই এর লেখাগুলো একাকার হয়ে কোথায় মিলিয়ে যায়, আর, একটু পরেই যগন ম৷ এসে বলেন, “আয়, খাবি আয় দশট বাজে যে।" তখন পরের দিনেব মাষ্টাব মশাই-এর রুদ্র মুক্তির কথা খবণ করে ঘুমকে ‘আপাত মধুব ও পৰিণামে পবিতাপের পর্য্যায়ে ফেলতে ফেলতে বলতে ইচ্ছা কবে নাকি “যুগ পায় কেন ?" উপরি উক্ত আরও কঠিন বিপদে আমাদেব ফেলা সবেও লুন যে আমাদের বাস্তবিকই খুব উপকারী, তাত্রে সন্দেহ নাই। জাগ্রত অবস্থায় আমাদের শরীর অনববতঃ কাজ করতে কখতে ক্লাস্তি বোধ কবে । ঘুম সেই ক্লাস্তি থেকে শরীরকে মুক্তি দে। শুধু তাই নয়, ঘুম আমাদের শরীরকে নূতন করে আরও খানিকট সময় কাজ করবার শক্তি এনে দেয়। ঘুমন্ত অবস্থা আমাদের জীবনীশক্তির সঞ্চয়েব অবস্থা— বুদ্ধিব অবস্থা। তাই চিকিৎসকের বলেন যে, রোগীর পক্ষে ঘুমের মত আর ঔষধ নেই । দেখা গেছে একদিন উপবাস করলে শরীব যত না শীর্ণ হয়, তার চেয়ে বেশী শীর্ণ হয় এক রাত ন মুমূলে । কিন্তু ঘুমের উপকারিত বা উপযোগিতা সম্বন্ধে আমাদের অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান যত উচুষ্ট হ’ক না কেন, তা থেকে আমবা তন্দ্র গন্তু কেমন ক'রে হই, তাল কোনও সমাধান হয় না । তা ছাড় দেখা গে:ছ যে, আমাদেব মেরুদণ্ডেল খুম নেই আর আমদের মস্তিষ্কেরও কোন ৭ কোনও অংশ অতি সামান্য প্রার ভাব পায় মাত্র। তারপর আমাদের বুকের ভিতর যে, হৃদপিওটা অক্লাস্থভাবে ধূক ধুক ক’রে যাচ্ছে, তার বিশ্রাম যেদিন হবে, তখন থেকেই তার চিরবিশ্রাম, তারপর তাব আর চলবার স্ব.যাগ থাকবে না। অর্থাৎ, এই সব উদাহরণ দিয়ে তোমাদের এই কথাটা বলতে চাই যে, যখন আমরা ঘুমূই, তখনও ההלל