পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

弓照ーエt季ei যজ্ঞের জায়গায় রক্ত মাংগ ফেলিয়া অশুচি করিয়া দিয়াছে—আমার যজ্ঞে বাধা দিয়াছে। আমি অভিশাপ দিয়া তাহাদিগকে বধ করিতে পারিতাম, কিন্তু অভিশাপ দিয়া ৰাধা দূর করা যজ্ঞে নিষিদ্ধ বলিয়। অভিশাপ না দিয়া আমি আপনার নিকট আসিয়াছি। আপনি আমার যজ্ঞ পুর্ণ করিবার জন্য আপনার জ্যেষ্ঠ পুত্র রামকে আমার সঞ্ছিত পাঠাইয়া দিন। বিশ্বামিত্রের এই কথায় দশরথ আকুল হুইয়া ৰলিলেন, মুনিবর, আমার রামের বয়স এখনো ষোল বৎসর পূর্ণ হয় নাই-সে ত এখন রাক্ষস বধ করিতে পরিবে না। অতএব চলুন, আমি বিপুল সৈন্যৰল লইয়। গিয়া রাক্ষস বধ করিয়া আলিব। বিশ্বামিত্র ললিলেন, তাহ হয় না মহারাজ ! তা যদি শুইত, তাহা হইলে আমি তাক আপনাকে পূৰ্ব্বেই বলিতাম । অনেক কথাবাৰ্ত্তীর পব নিতান্ত অনিচ্ছার সহিত দশরথ বিশ্বামিলের কথায় সম্মত হইলেন। বিশ্বামিত্র বাঙ্গাকে আশাব্বাদ কবিয রাম লক্ষ্মণকে লইয়। বাজপুরী হইতে বিদায়ু লইলেন। র্তাহারা তিন জনে প্রায় ছয় ক্রোশ পথ অtসিয়ছেন এমন সময় সন্ধা হইল। তাহারা সে রাত্রি তথায় অবস্থান কবিলেন । রাত্রি প্রভাত হইলে বিশ্বামির মুনি বলিলেন, বৎস রাম! তুমি স্নান করিয়া এই নদীর জলে আচমন কপ। আমি তোমাকে বলা ও অতিবলা নামক দুষ্টটি অস্ত্র দান করিব। এই দুই অস্ত্রর প্রভাবে ভূমি পুথিবীতে বা স্বর্গে অদ্বিতীয় শক্তিশালী হইবে । রামচন্দ্র ভক্তি সহিত বলা ও অতিবল বিদ্যা গ্রহণ করিলেন। নানা বন ও কাশম পার হইলা তাহারা তিনজনে তাড়কার বনে আসিয়া পেীfছলেন। তাহাদিগকে আসিতে দেখিয়া তাড়কা চারিদিকে ধূলা উড়াইয়া, মুখ স্থা করিয়া শিলাবৃষ্টি করিতে করিতে আসিতে লাগিল। রামচন্দ্রেল বাণে রাক্ষসী ভীষণ শব্দ করিয়া মরিয়া গেল । বিশ্বামিত্র বামের বাণ-বর্ষণের কৌশল দেখিল। অতিশয় সুখী হইয়া তাহাকে দগুচক্র, শূল, কালচক্র ব্রহ্মশির, কালপাশ প্রভৃতি অস্ত্র দান করিলেন। ক্রমে তাঙ্কার সিদ্ধাশ্রমে আসিয়া পৌছিলেন , এই সিদ্ধাশ্রমেই বিশ্বামিত্রের তপোবন। তপোবনে পৌঁছিয়াই বিশ্বামিত্র যে যজ্ঞ করিবার ইচ্ছা করিয়াছিলেন, সেই যজ্ঞ করিবার আয়োজন করিলেন। পাচ দিন কাটিয়া গেল। যষ্ঠ দিনে ব্রহ্মা --- ও বিশ্বামিত্র মন্ত্র পাঠ করিয়া আহুতি দিতেছেন এমন সময়ে সহসা যজ্ঞের বেদী জলিয়া উঠিল—আগুনের শিখা ছুটিতে লাগিল—আকাশে ভয়ানক শব্দ হইতে লাগিল। মারীচ ও সুবাহু শত শত সঙ্গী লইয়া সেই যজ্ঞের বেদীতে রক্তধারা বর্ষণ করিতে লাগিল । রাম লক্ষ্মণ বাণ বর্ষণ কবিয়া সেই অগণিত রাক্ষস বধ করিলেন। নিবাপদে যজ্ঞ পুর্ণ হইয়া গেল। এই সময়ে মিথিলার রাজা জনক এক যজ্ঞ আরম্ভ কবিয়া বিশ্বামিত্র ও অন্তান্ত মুনিগণকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন। বিশ্বামিত্র রাম-লক্ষ্মণকে বলিলেন, আমি তোমাদের উভয়কে লইয়া রাজ জনকের যজ্ঞ দেখিতে যাইবার ইচ্ছা কবিয়াছি । অতএব তোমরা আমার সঙ্গে চল । বিশেষত: রাজা জনকের বাড়ীতে একটি ধই আছে-তোমাদিগকে সেই ধন্থ দেখাইবার জন্য আমার একান্ত ইচ্ছ। । সেই ধনু দেখিবার জন্য রাম-লক্ষ্মণ অতিশয় পেশতুহলী হইয়া উঠিলেন এবং বিশ্বামিত্র সেই হরধমুর ইতিহাস ৰলিয়া তাহাদের কৌতুহল আরও বাড়াইয়া দিলেন। পলে এক শুভ দিনে ঋষি বিশ্বামিত্র রাম ও লক্ষ্মণকে লইয়া রাজর্ষি জনকের রাজধানী মিথিলার দিকে যাত্রা করিলেন এবং শীঘ্রই তাহার রাজা জনকের যজ্ঞ-সভায় যাইয়া পৌঁছিলেন । বামচন্দ্র জনকেল অপূৰ্ব্ব যজ্ঞ-সমারোহ দেখিয়া অতিশয় মুখী হইলেন এবং যজ্ঞ পূর্ণ হইলে সেই আশ্চর্য ধনু দেখি৭lর ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। বিশ্বামিত্র পুলকিত হুইয়া জনককে বলিলেন, মহারাজ ! আপনার গৃছে যে হরধনু আছে তাহাই দেখাইবার জন্য আমি অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র রাম-লক্ষ্মণকে শিষ্যরূপে আপনার এখানে আনিয়াছি। তাহারা আপনার সেই ধনু দেখিবার জন্য ইচ্ছা করিতেছেন। রাজা জনক অত্যন্ত মুণী হইয়া তাহাদিগকে সেই ধনুকের নিকট লইয়া গেলেন এবং বলিলেন, যে মহাবীর এই ধমুকে ছিল। চড়াইতে পরিবেন, তাছার সহিত আমার প্রাণাধিক। কন্যা সীতাব বিবাহ দিব বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছি। বিশ্বামিত্রের আদেশে রামচন্দ্র সেই ধাতুর মাঝখানে ধরিয়া তাছাতে ছিল চড়াইয়া দিলেন। ষোল বৎসবের বালকেল এই আশ্চর্ষ্য শক্তি দেখিয়া সকলে বিস্মিত হইয়া গেল। জনক রাজার তখন যে আনন্দ হইয়াছিল, তাহা বলা যায় না। এই সময়ে বামচন্দ্র ধনুর ছিলায় টান দিতেই ধৰ্ম্ম মডু, মড়, শব্দ করিয়া ভাঙ্গিয় গেল। এই ভয়ানক শব্দে পৃথিবী "ن سb