পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#.


------4-------

গ্রামে রাজধানী প্রতিষ্ঠা কবিয়া রাজসিংহাসনে তোমার এই পাছক রাখিয়া, চৌদ্দ বৎসব রাজকীয্য চালাইব। পঞ্চদশ বৎসরের প্রগম দিনে যদি তোমার দর্শন না পাই তাহ হইলে আমি আগুনে ঝাপ দিয়া প্রাণ পরিত্যাগ করিব । কঁদিতে কঁাদিতে ভপত বিদায় গ্রহণ করিলেন। পামচন্দ্র ও চিত্ৰকূট পৰ্ব্বত তাগি করিয়া দণ্ড কারণ্যের দিকে চলিলেন। ~ রাম সীতা লক্ষ্মণ দণ্ডকবনে প্রবেশ করিয়। একে একে পম্পী, পঞ্চপার প্রভৃতি নানা সরোবর দেখিয়। ক্রমে অগস্তা খুশিল শাখমে পৌছিলেন । অগস্ত্য মুনি রামচন্দ্রকে অনেক ভাল ভাল অস্ত্র দান করিলেন । অগস্তোর কথায় তাহারা পঞ্চবটী বনে বাস করিতে লাগিলেন । এই সমযে একদিন লঙ্কার রাজ। রাবণের ভগিনী শূৰ্পণখা সেখানে আসিয়া পেছিল এবং বামলক্ষ্মণের ভুবনমোহন রূপ দেখিম; শুঁtহাদিগকে বিবাহ করিবার ইচ্ছা করিল। তাহার সন্মত হইলেন না, এজন্ত শূৰ্পণখা প্রকাণ্ড ষ্টা করিয়া সীতাকে থাইতে গেল। লক্ষ্মণ শূর্পণখার নাক কাণ কাটিয়া দিলেন । শূৰ্পণখার ছুবৰ স্থা দেখিয়া তাছার ভাই থর দূষণ বহু বাক্ষপ জ ড করিয়া রামচন্দ্রেব সচিত যুদ্ধ করিতে অtসিল। যুদ্ধে তাহাব সকলেই মরিয়া গেল। এই সময়ে অকম্পন নামে একটা বাক্ষসের সহিত শূৰ্পণখা লঙ্কায় পেছিয়া অনেক কথা বলিয়ারাবণকে উত্তেজিত কবিয়া তুলিল। ভগিনীর অপমানে রাবণ রাগিয়া গেল এবং পরামর্শ করিয়া মারীচকে সেই বনে পাঠাইয়া দিল । মারীচ এক সোনার হরিণের রূপ ধরিয়া রাম, লক্ষ্মণ, সীতা যেখানে বাস করিতেন, সেইখানে বেড়াইতে লাগিল। সোনার হরিণ দেখিয়া গীত। সেই হরিণটিকে চাহিলেন । রাম সীতার রক্ষার ভার লক্ষ্মণের উপর দিয়া ধনুৰ্ব্বাণ লইয়া হরিণের পেছনে পেছনে যাইতে লাগিলেন। কিন্তু কিছুতেই হরিণকে ধরিতে না পারিয়া এক তীর ছুড়িলেন। তাঁর লাগিতেই মারীচ মরিয়া গেল। মরিবার সময় শব্দ করিল-লক্ষ্মণ । রাক্ষসের হাতে আমার প্রাণ যায়, আমাকে বাচাও । এই শব্দ শুনিয়া লক্ষ্মণ সীতাকে একূল রাখিয়া চলিয়া গেলেন। এই সময়ে রাবণ পরিব্রাজকের বেশে সেই স্থানে পৌছিয়া সীতার নিকট ভিক্ষা চাহিল। সীতাদেবী ভিক্ষণ দিতে বাহির হইবামাত্র রাবণ র্তাহাকে জোর করিয়া রথে তুলিয়া লইয়া লঙ্কায় চলিয়া গেল। -- লামা== - ----- রাম-লক্ষ্মণ ঘরে ফিলিয়া দেখিলেন, সীতা ঘরে নাই --ঘৰ শূন্য পড়িয়া রহিয়াছে। তাছারা সীতাদেবীর অনেক খোজ করিলেন, কিন্তু কোথাও তাছার দেপা পাইলেন না। অনেক দূব গিয়া দেখিতে পাইলেন, এক বুদ্ধ পক্ষী পণ্ডিয়া রহিয়াছে। তার ডানা কাটিয়া গিয়াছে--মৃত্যুর ঘন্ত্রণায় মুখ স্থা করিতেছে। রাম লক্ষ্মণ তাহার কাছে আসিতেই অতিক্ষীণশ্বরে সে বলিল, রাবণ সীতাকে চুরি করিয়া লঙ্কায় চলিয়া গিয়ছে। এই কথা বলিয়াই সেই জটায়ু পক্ষী মরিয়া গেল। বাম-লক্ষণ এই সমথে দৈবক্রমে জানিতে পারিলেন যে, ঋষ্যমুক পৰ্ব্বতে সুগ্ৰীৰ নামে এক বানর বাজ। আছেন ; তিনি সীতার সংবাদ পলিতে পারেন। এই সংবাদ পাইয়া ঠাই বা ঋষ্যমুক পৰ্ব্বতের পথ ধরিয়। পশ্চিম মুখে যাই.ত যাইতে শবরীব আশ্রমে আসিস পোfছলেন । শবরী রামচন্দ্রের দশন প্রতীক্ষায়ু লহুকাল ধরিয়ু অপেক্ষা করিতেছিল । সে রাম, লক্ষ্মণকে দগিয়া আপনার জীবন সার্থক মনে করিল ও তাহাদিগকে বনের ফল খাইতে দিল । এই সময়ে শববী তাeব মনেপ বাসনা পুর্ণ ইষ্টয়াছে ভাবিয়া সন্তুষ্টচিত্তে প্রাণ পরিত্যাগ কবিল । রামচন্দ্র লক্ষ্মণেব সস্থিত সেই স্থান হইতে অগ্রসর হহঁধা পম্প নদীর তীরে আসিয়া পৌছিলেন। s রাম-লক্ষ্মণ পম্পীর তীরে বসিয়ু সীতার জন্ত বিলাপ করিতে লাগিলেন । পপার মনোহর দৃশ্বে ও তথাকার শীতল বাতাসে তাছাদের মনের দু:খ অনেকটা শাস্ত হঠল। তার পর তাহারাসেই নদী পার হইয়া ঋষ্যমুক পৰ্ব্বতে উপস্থিত হইলেন। এইখানে বানরদের রাজা সুগ্ৰীব বাস করিতেন। বালী স্বগ্রীব দুষ্ট ভাই। বাণী সুগ্ৰীবের উপপ নানারূপ অত্যাচার কপ্পিয়াছে, তাই সুগ্ৰীব এই পৰ্ব্বতে আসিয়া লাস করিতেছিলেন। রাম-লক্ষ্মণকে এই ঋ্যমূক পৰ্ব্বতে আলিতে দেখিয়। श्sौtवद्र भूद उग्न इ३ण। शऔन टैं|शरभद्र शृदद्र গইবার জন্ত হনুমানকে পঠাইয়া দিলেন। রামের আদেশে লক্ষ্মণ তাছাদের পরিচয় দিলেন । লঙ্কার রাজা বাবণ সীতাদেবীকে চুরি করিয়া লইয়। গিয়াছে—সেই পাপীকে শাস্তি দিবার জন্ত আমরা বানররাজ সুগ্ৰীবের পস্থিত বন্ধুত্ব করিতে আলিয়াছি, ইহাও জানাইলেন। হনুমান সস্তুষ্ট হইয়। রাম-লক্ষ্মণকে সুগ্ৰীবের নিকট wጫ »