পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লামা== পাঠাইয়া দিল। হনুমান ক্রমে ক্ৰমে মীর ছেলে গুলিকে ও বাবণের পাচটি বড় বড় সেনাপতিকে কামড়াইয়। চড় মারিয়া মারিয়া ফেলিল। এইবার আসিল রাজপুত্র অক্ষ। হনুমান তার ও সেইরূপ দুর্দশ করিল। এই সময়ে ইন্দ্রজিৎ আসিয়া হনুমানকে ব্রাহ্মাস্ত্র মাবিয়া কাবু করিয়া ফেলিল ও তার পর দড়ি দণ্ড। দিয়া বাধিয়। রাবণের নিকট হাইগা চলিল । রাবণকে দেখিয়া ইণমান বলিল, তুমি ত খুব বড় রাজা দেখিতেছি . কিন্তু তোমার এমন নাচবুদ্ধি কেন ? অামার পরিচয় জানিতে চাও ? আমি কিস্কিন্ধ্যার রাজ1স্বগ্রীবের দূত—রামচন্দ্রের নক্ষর । বামচন্দ্রের নাম শুনিয়াহ রাবণ চমকিয়া উঠিল । সে ভাবিল, ৪ • • ক্রোশ চওড়া সমুদ্র পার ইষ্টয়া এই বানরটা কেমন কবিয়া এপানে আসিল • শেলে ত ইহাব ক্ষমতা খুবহ বেশী , তার পর, রামচন্দ্রঃ বা কত শক্তিশালী ! বাবণেব মনেব কোণে একটু চিন্ত৷ আসিয়া উকি মাবিল। তবুও বাবণ সেই ভাব গোপন করিয রাক্ষসদিগকে হুকুম দিল, এই লানবটাকে মারিয়া ফেল। রাবণের ছোট ভাই বিভীষণ বলিলেন, তা হয় না রাজা । শাস্ত্রে বলে, দুতকে বধ করিতে নাই । তখন রাবণেব হুকুমে বাক্ষসেরা মানের লেজে কতকগুলা ন্যাকড়া বঁপিয়া তেল দিয়া ভিজাeয়া তাহা৩ে আগুন পরাষ্টয়া চড়িয়া দিল। হনুমান ছপ’ করিয়া লাফ দিয়.একটা বাড়ীর চালের উপর উঠিয়। বসিল । লেজের আগুনে সেই বরের চাল জলিতে লাগিল । এইরূপে এক ঘব হতে অদ্য লরে লাফাইয়ু লাফাইয়া ই-লান সারা লঙ্কাণ আগুন ধবাইয়া দিল। এই শহয়ে হনুমান লেই জলস্ত লেঙ্গ লইয়া সীতাকে প্ৰণাম করিল। সেই জলন্ত লেজেব দিকে সীতার দৃষ্টি পডিবা মাত্র আগুন নিবিয়া গেল। এইবার হনুমান সীতার নিকট হইতে বিদায লইয়া লঙ্কার একটা পাহাডে উঠিল ও আবাব তেমনি একটা লাফ দিয়া সঙ্গী বানরদের কাছে মাসিয়। তাঙ্কাদিগকে সীতার কথা বলিল । বানরদের আনন্দ তখন দেখে কে । তাছার স্বগ্রীবের মধুবনে চকিয় নানা আমোদ করিতে লাগিল। সীতার সংবাদ সকলেই পাইলেন। রাম বলিলেন, হনুমান, লঙ্কাপুরে আমার সীতাকে তুমি কেমন দেখিলে ? হনুমান কঁদিতে কঁাদিতে বলিল— কি আর দেখিব প্ৰভু ! সৰ্ব্বাঙ্গ তাহার রাম, ধূলায় ধূসর, পরিধান একমাত্র মলিন অম্বর। F. 10–11 eিমাগমে কমলিনী মলিন যেমন, লঙ্কাপুরে বিষাদিনী সীতাও তেমন । এই বলিয়া বামচন্দ্রকে সীতার দেওয়া সেই মাথার মণিটি দিলেন। রামচন্দ্র সেক্ত মণি র্তাহার বুকে ছোওয়াঙ্গলেন। তৎকার চোখ দিয়া দর দর করিয়া জল ঝরিতে লাগিল । ՀՆ2 এামচন্দ্র লক্ষ লক্ষ বানর-সেনা লঙ্কয়া সমুদ্রের পারে পৌছিলেন। সৈন্তদলের মধ্যে ‘নল’ নামে এক বড় কবিীকর ছিল। সে গাছ-পাথর দিয়া ছয় দিনে একটা সেতু তৈয়ারী করিয়া দিল। রামচন্দ্ৰ সসৈন্তে লঙ্কায় আসিয়া পৌঁছিয়াছেন জানিয়া বাক্ষসে লা ভয় পাইয়া গেল। বিভীষণ বাবণকে কত বুঝাইলেন এবং রামেব সীতা রামকে ফিরাইয়াদিতে বলিলেন । বাবণ রাশিয়া গিয়া বিভীষণকে লাথি মারিয়া তাড়াইযু দিল । বিভীষণ আসিয়া রামের নিকট অত্ৰিয় লইলেন । ভয়ানক যুদ্ধ বাধিলা গেল। যুদ্ধে অনেক রাক্ষস ও বাবণেব হাজার হাজার ছেলে মরিয়া গেল। তবু বাবণেব জ্ঞান হইল না ; সে নানারকম কৌশল করিয়া সীতাকে বশে অনিপার উপায় জিতে লাগিল । বিছুঞ্জিবে নামে এক মায়াবী বাক্ষস রাবণের আদেশে রামের মাপার মত একটা মdগ ও ধনুক গড়িয়া স্পানিল। রাবণ সীতাকে সেই মাথা ও ধনুক দেখাইয়া সলিল, এই দেখ সীতা, রামের মাথা ও ধনুক । সীতাদেবী রামেব মাথা ও ধনুক দেখিয়া কাদিয়া আকুল চইলেন। সীতার কান্না দেখিম। বাবণ হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেল। রাবণ চলিলা যাইবার পরেই বিভীষণেব দী সবমা তথায"আসিয়া পোছিয়া বলিল, সীতা, স্থিব হও, বামের কোনো অমঙ্গল হয় নাই । অামি এখনই আসিবাব সময় দেপিলাম, রাম-লক্ষ্মণ সৈন্স-সামন্ত লক্টয়া হুবেল পৰ্ব্বতের দিকে যাইতেছেন । গরমর এই কথা শুনিয়া সীতা অনেকটা আশ্বাস পাইলেন। লঙ্কাপুরীতে সরমাই সীতার একমাত্র ধ্রুবতারার মত ছিল। দুই সখীতে নানা কথা হইল । বাম-লক্ষ্মণ সুগ্ৰীব সুবেল পৰ্ব্বত হইতে দেখিতে পাইলেন, রাবণ অশোক বন হইতে ফিরিয়া আসিতেছে সুগ্ৰীবও স্বযোগ পাইয়া পথের মধ্যে রাবণকে আক্রমণ করিল। দুইজনে যুদ্ধ বাধিয়া গেল। সুগ্ৰীব রাবণের 1-2- بی