পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i-------------------------- --- - - --- o-A కాఙ:2=2:5S


ଝn ধাধা-হেঁয়ালী ধাধা ও ‘হেঁয়ালীর জন্মের ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখা যায়, অতি পুরাতন কালে হেঁয়ালী প্রচলিত ছিল । গ্রীসের ও মিশরের প্রাচীন ইতিহাসে "স্ফিংক্স’ নামক অদ্ভুত কল্পিত জীবের উল্লেখ দেখা যায় । এই জীবের শরীর সিংহের মত, মুথ মামুষেব মত, শাবার ছুটি ড’নাও আছে। কথিত আছে, প্রাচীন গ্রীসেব খিবস নগৰে একটি স্ফিংক্স নগ,বর অধিবাসীদিগকে ষ্টেয়ালীর উত্তর বহিব করিতে বলিত ; উৰ্ত্তব বাহির করিতে ন। পাবিলে সে অধিবাসীfদগকে হত্যা করিত । মহাভারতে ৪ ষ্টেমালীর উল্লেপ দেখা যায় । বনপৰ্ব্বেৰ এক জায়গায় আছে, ভীম, অৰ্জ্জুন, নকুল ও সহদেব তুষ্ণর্ত হয় এক জলাশয়ে জল পান করিতে আসায়ু এক যক্ষ আকাশ হইতে তাহাদিগকে নিষেধ কবিয়া বলিলেন, “আগে আমার প্রশ্নেব উত্তর দাও, তাহাব পর জল পান কর ।" র্তাহাব। সক্ষের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না, কিন্তু জল পান করেন। ফলে, তৎক্ষণাৎ তাহাদেব মৃত্যু হয়। যুধিষ্ঠির ভাইদিগকে খুজিতে খুজিতে তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়। সেখানে আসায় যক্ষ তাহাকেও সেই কথাই বলেন । যক্ষের সে হেঁয়ালীর-প্রশ্নের উত্তৰ দিয়া যুধিষ্ঠির ভাইদিগকে বঁাচাইধাছিলেন । যক্ষেব কয়েকটি প্রশ্ন ও যুধিষ্টিরের উত্তরগুলি নীচে দিলাম : যক্ষ—“পুথিবীর চেয়ে ভারী কে ? আকাশের চেয়ে উচু কে ? বাতাসের চেয়েও দ্রুতগামী কে ? তুণের চেয়েও কাহার সংখ্যা বেশী ?” যুধিষ্ঠির—“মাও পৃথিবীর চেয়ে ভারী, পিত। আকাশের চেয়ে উচু, মন বাতাসের চেয়ে ক্ষতগামী, চিস্তার সংখ্যা তৃণের চেয়েও বেশী।" -_. **** ধ “কে ঘুমাইলে চোখ বোঙ্গে না ? কে জন্মিস্থা নডে চড়ে না ? কাহার হৃদয় নাই ? কে নিজের বেগেতেই বড় হয় ?” যুধিষ্ঠির-“মাছ ঘুমাইলে চোখ বোজে না, ডিম জন্মিয়া নড়ে চড়ে না, পাথরের হৃদয় নাই, নদী নিজের লেগেল ঘাব। বড় হয়।" যক্ষ—“স্বৰ্গী কে ? আশ্চর্যা কি ? সংবাদ কি ?” যুধিষ্ঠির—“যাহার ঋণ নাই, আর নিজের ঘরে থাকিয়া দিনেৰ শেষে সে চারিটি শাক-ভাত খাইতে পায়, সেই স্বর্থী। প্রতিদিন জীবের মৃত্যু হইতেছে, তথাপি যে লোকে চিরদিন বঁচিতে চায়, ইহাই আশ্চৰ্য্য। মহাপুরুষের যে পথে যান তাঁহাই পথ। সময় যেন পাচক সে যেন প্রাণাদিগকে দিয ব্যঞ্জন রাধিতেছে, डेक्ष्ठे नश्याप्न ।" পুরাতন অনেক রূপকথা ও হেঁয়ালীর কথা পাওয়া যায়। অন্যান্য ধাধাব জন্ম হেঁয়ালীর অনেক পরে হইয়াছে বলিয়া মনে হয় । পুরাতন আরবী পুস্তকে নানা প্রকাল অঙ্কের ধাধার উল্লেখ আছে। মাপ-জোক, ভাগাভাগি ইত্যাদির ধাধা, আরবীদের মধ্যে বহুকাল আগেই প্রচলিত ছিল । গ্ৰীপ ও রোমেও ধাধার-হেঁয়ালী বহুকাল আগে প্রচলিত for “azoo olo cofo” (Magic Square) প্রায় ৫ • • বৎসরের পুরাতন পুস্তকে পাওয়া যায়। গোলক ধাধাও বহুকালের পুরাতন জিনিষ । গ্ৰীক ও মিশরদেশীয় পুরাণে গোলৰ ধ"াখার উল্লেখ আছে । এশিয়া ও ইউরোপের নানাদেশের বাগানে ও উঠানে এখনও বন্ধকালের পুরাতন গোলোক ধাধা পাওয়া যায় –কোনটি বা ইট-পাখরের পথ কি ?