পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o: ------------------- ক্তি কলত - সহিত একাসনে বসিতে পারেন। তিব্বতের ধনী বাক্তির চেয়েও জ্ঞানী বাক্তির সব্বত্র আদর। তিব্বতের অতি সাপারণ লোক ও জ্ঞানী বাক্তিকে “পণ্ডিত মহাশয়" (Leaumn-in) বলিয়া সম্বোধন করেন । তোমরা মানস সরোবরের নাম ভূগোলে পড়িয়াছ । কবিরা মানস সরোবরেব সম্বন্ধে অনেক কথা লিগিয়া গিয়াছেন। হিন্দুর কাছে মানস সরোবর পুণাতীর্থ। স্কন্দ পুরাণের "মানস খণ্ডে" মানস সরোবণের উৎপত্তির কারণ আছে। মানস সরোবরের ধূসর বলিয়া জলের বর্ণ সৰ্ব্বদাই নীল। বেশ রোদ উঠিলে ঘোর নীল দেপায় । হ্রদটির পরিধি কেই বলে পঞ্চাশ, কাহারও মতে আশী, আপার অন্তমতে একশত মাইল । কোন বিশিষ্ট ইউরোপীয় পর্যাটকের মতে বস্তমানে ইহার পরিধি আশী মাইল। সরোবরের চারিদিকে উচ্চ পদত গাত্রে কয়েকটি মঠ আছে। ঘূপা, লামহুলাং, সারলাং, কৌশল বা গোসল, নিক্কর "জু", গোস্ব প্রভৃতি। এগানে রাজহংস নাই, পদ্ম নাই, পত্র নাই— মনোরম বলিয়া কাবা বা পুরাণে যাহা কিছু ইহার তাশিলাম্পে মঠ-তিব্বত সৌন্দয্যের তুলনা মিলে না। ভেন হেডিন তাহার বিখ্যাত ভ্ৰমণ কাহিনীতে মনেস সরোবরের অতি সুন্দর বর্ণনা করিয়াছেন। আজকাল ভারতবষের অনেক লমণকারী এখানে বেড়াইতে আসেন । চিত্রশিল্পী ও পর্যটক যুক্ত প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়ু নিজে মানস সরোবর দেখিয়া মানস সরোবরের এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন-চতুদিকে পৰ্ব্বতমালা বনাবৃক্ষলতা প্রভূতি সন্মবিধ হরিদ্বর্ণের সম্পর্কশষ্ঠ মরুভূমির মধ্যে যেমন পপতাকার বালির স্তুপ থাকে, এই নীলাভ মানস সরোবরের চারিদিকেই সেইরূপ। বালির সূপের বর্ণ লোহিতাভ


আনুষঙ্গিক উপাদান বর্ণিত, সে সকল কিছুই নাহ। দুই চারিটি ক্ষদ্র ক্ষুদ্র কাল হাস সাধারণতঃ যাহাকে বালিহাস বলে—কখনও হ্রদের তীরে, কখনও জলে আনাগোনা করিতেছে । আর নিকটে দুহ একটি মাছরাঙা পাণী জলের উপর ইতস্তত: দ্রুতগতিতে আহার অন্বেষণে উড়িতেছে। জল অতীব স্বচ্ছ ।" তিববতীয়দের কাছেও মানস সরোবর পুণাতীর্থ বলিয়া বিবেচিত। তোমাদের কাছে আমরা প্রথমেই বাঙ্গালী পৰ্য্যটক শরৎচন্দ্র দাসের কথা বলিয়াছি। শরৎচন্দ্র ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দে চট্টগ্রামের বৈদ্যবংশে জন্মগ্রহণ Վ-Հ Ց +