পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাবার তৈরী করবেন ব’লে তোমার মাব আগুনের দবকাব হ’ল । তিনি কবলেন কি ? কিছু কাঠ বা কয়ল। সংগ্ৰহ করলেন, তাতে একটু কেবেসিন তেল ঢেলে দিলেন আর তাৰপব তাতে দেশলাইএর কাঠি জেলে আগুন লাগিয়ে দিলেন । কাঠ বা কয়লার উপবেব তেলট। প্রথমে দাউ দাউ ক'বে জলে উঠল, তাবপর আগুনট কাঠ ল কয়লাতে গিয়ে লাগল, আর নিভিয়ে না দে ৪৬ পর্য্যন্ত ●नtउ३ द३श ।। ७झे श्रा scनद कtछ छूमि भfe —খুব নিকটে নয়, তাহ’লে বিপদ ঘটবে—তোমাৰ দেহের অনাবৃত স্থানগুলিতে এক বিশেষ রকম অতৃপ্তিজনক অহভূতি পাবে। আগুনের কাছে গেলে এইরূপ অনুভূতি হওয়ার নাম উত্তাপ লাগা। এইখানে তোমাদিগকে একট। বিষয় বুঝিয়ে বলি। বিষয়ট। স্থঙ্ক, তোমরা তাই বেশ মনোযোগ দিয়ে বোঝবার চেষ্টা কোরো। আমবা আমাদের ইন্দ্রিয় দিয়ে যা কিছু আহুভব করি, প্রকৃতির মধ্যে ঠিক সেইরূপ জিনিষ ঘটে না। প্রকৃতির মধ্যে য। ঘটে, তা এক ব্যাপার, আর আমাদের সেই বিষয়ের মচুভূতি হওয়া এক স্বতন্ত্র ব্যাপার। মনে কর, তোমার এক বন্ধু আছে—তার নাম অমল । তাকে পথে দেখতে পেয়ে তুমি ডাকলে- “অমল” । সে তোমাব দিকে ফিরল। ব্যাপার ঘটল এই যে, তুমি তোমাব চতুদিকের বাতাসে কতকগুলো তরঙ্গ ছড়িয়ে দিলে। কিন্তু অমল কি সে সব তরঙ্গেব কোনও খোজ পেল ? মোটেই না। যদিও তার কাণের পর্দায বায়ুমণ্ডলে উখিত কতক গুলো তবঙ্গ গিয়ে আঘাত দিল, কিন্তু সে তাৰ পবিবৰ্ত্তে কতকগুলো শব্দ শুনতে পেল। সে জানে যে, কেউ যদি তাকে ডাকে তবে সে ঐৰূপ শব্দ করে—তাই সে ফিরে দাডাল । শব্দটা একটা অহভূতি, তাই একে পেতে হ'লে আমাদের অন্তত একট। কাণ থাকা দরকার। কিন্তু বায়ুমণ্ডলে যে তরঙ্গ জন্ম পেয়ে আমাদের কাণে শব্দের অম্বষ্কৃতি দিল—তার জন্যে আমার দিক থেকে কিছুরই আৰশুক নেই, এক্ষেত্রে অামাব কাণ কেন, আমি না থাকলে ৪ তা বিদ্যমান থাকতো । এইসব চিস্ত ক’রে পণ্ডিতেরা সিদ্ধাস্ত করলেন যে, পৃথিবীতে ধ। কিছু ঘটে তার দুইটা দিক আছে। একটা হ’ল যা বাস্তবিক ঘটে সেইট, ও অপরটা হ’ল যা ঘটে তার অন্তভূতি হওয়া । আগুনের সম্পর্কে এই তত্ত্বটা বিশেষ ভাবে খাটে । আগুনের যেটা অমৃভূতির দিক, যাকে আমরা তাপ লাগ৷ বলি, সে বিষয়ে আমি তোমাদেব কিছু বলব না। তাপ লাগার অনুভূতি তোমাদের সকলেরই আছে। কিন্তু যেটা অনুভূতির ব্যাপার নয়—যা বহিজগতে প্রকৃতির মধ্যে ঘটে, সেখানে আগুন বলতে কি বোঝায়, আর এই দিক দিয়ে শীতলতা বা উষ্ণতার কি অর্থ, তা আমি এখানে তোমাদিগকে পরিস্কবি ক’রেই বলব। --->