পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমরা অনেকেই হয়তো আৰু হোসেনের গল্প শুনেছ। বোগদাদের খলিফা ছিলেন ছারন আর রশীদ —র্তার মতন নাম করা রাজা দুনিয়ায় খুব কমই হয়েছেন। প্রজাদের সত্যিকার অবস্থা কি রকম, তা নিজের চোখে দেখবার জন্ত তিনি ছদ্মবেশে কখনো ভিখারী, কখনো সওদাগর এইরূপ নানা বিভিন্ন সাজে ঘুরে বেড়াতেন। সঙ্গে লোক-লস্কর আমীর-ওমরাহ কেউ থাকত না, কেবল উজীর জাফর তার সঙ্গে সঙ্গে থাকতেন। এমনি করে ঘুরে ঘুরে অনেক সময় তিনি কত বিপদে পড়েছেন, অনেক সময় খুব মজার ব্যাপারও হয়েছে। তারই একটি গল্প শোন। আবু হোসেন ছিলেন বোগদাদের এক ধনী সওদাগরের ছেলে । বাপ অনেক টাকা-পয়সা রেখে গিয়েছিলেন। কাজেই, তার আর ভাবনা কি ? বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-আহলাদে দিন কাটান । অৰশেষে হঠাৎ একদিন খেয়াল হ’ল টাকা-পয়সা ফুরিয়ে এসেছে, এমন করে আর বেশী দিন চলবে না। বন্ধুর দলও তখন কোথায় খসে পড়লহোসেনও ভাৰলেন, যাক বাচা গেল। হোসেনের কিন্তু লোকজনকে খাইয়ে খুব আনন্দ ৰোধ হ’ত । তিনি তাই ঠিক করলেন যে, এখন অবস্থা খারাপ বলে তো আর আগের মত দেদার দু-হাতে টাকা খরচ ক’রে ভোজ দেওয়া চলবে না—রোজ সন্ধ্যায় যার সঙ্গে প্রথম দেখা হবে তাকেই থেতে নেমস্তন্ন করবেন। বোগদাদের বড় বাজারের কাছে একটি পুল ছিল—রোজ সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে হোসেন দাড়াতেন, যার সঙ্গে প্রথম দেখা হ’ত, তাকেই lt ཕུ་༑་གྱི་ཆ ༦་ཅང་། ཨ་གོ་ཆག ། এদিকে বিদেশী পথিঙ্ক গেজে হাঁরন, জাফরের সঙ্গে যুবছেন, এমন সময় পুলের উপর হোসেনের সঙ্গে তার দেখ। হোসেন তো অমনি তাদের রাত্তিরে খাওয়ার নেমস্তন্ন করলেন, খলিফাও রাজী হয়ে তার সঙ্গে চল্লেন । খাওয়া-দাওয়ার সময় গল্পে গল্পে হোসেন তার জীবনের সব কথা খলিফাকে বলে অবশেলে কথায় কথায় বলেন যে, খলিফার জীবন ধে কি রকম, তা দেখতে তার বড় ইচ্ছা করে । একদিনের জন্ত খলিফা হতে পারলেও তার জীবনে আর কোনো খেদ থাকত না। হেগেনের খোলাখুলি হাসিখুলী ব্যবহার খলিফার খুব ভালো লেগেছিল, তিনি ঠিক করলেন যে, তার ইচ্ছা পূর্ণ করবেন। কৌশল ক’বে হোসেনের সরবতের মধ্যে তিনি একটা ওষুধ মিশিয়ে দিলেন, খেয়েই ঘুমে হোসেন ঢলে পড়লেন। হোসেনের যখন ঘুম ভাঙলে, তখন ৰেলা অনেক হয়েছে, কিন্তু চোখ মেলে তিনি একেবারে অবাক । রোজ ঘুম ভেঙে ঘরের পরিচিত পুরানো আসবাবপত্তর চোখে পড়ে, কিন্তু আজ যে সব লোনায় রূপোয় বাধানে ঝকঝকে আসবাব, এ সব এল কোথা থেকে ? ভালো ক’রে চোখ রগড়ে আবার তাকিয়ে দেখেন যে, ভুলতে হয়নি, সত্যিই সমস্ত আসবাবপত্র এমন দামী আর ঝকঝকে যে, জীবনে কোনোদিন তিনি তেমন জিনিস দেখেন নি । আর শোবার ঘরেরই বা হ’ল কি ? মাৰ্ব্বেল পাথরে বাধানে, চারিদিকে . কিং-খাপের পর্দা, থরের কোণায় কোণায় জলের ফোয়ারা। পালঙ্ক হাতীর দাতের, তাতে মখমলের গদি-বিলাসের