পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

痒→→→


ه-به-چ--ه-چ------------------"

ও মনের ভাব বদলাইয় গেল। গেষ্ট ছান্তপবিহাল নিরত চঞ্চল ও উৎসাহী যুবকের চিত্তে একট। অকালগাম্ভীৰ্য্য দেখা দিল। তিনি মাতার নিকট বিদায় লইয়া পিতৃপিও প্রদান করিবার জন্ত গয়ায় গমন করিলেন। পথে ঈশ্বরপুীর সঙ্গে মিলন হইল। ইতিপূৰ্ব্বে চৈতন্যদেৰ ধৰ্ম্মেব কথা ঠাট্টা করিয়া উড়াইয় দিতেন এবং তাঙ্ক লইয়া প্রিয় বয়স্ত গদাধরকে কতই ন বিদ্ধপ করিতেন । ঈশ্বরপুবীল গতীব ভক্তিমূলক শ্লোকগুলি হইতে বাকরণেব ভুল বাহির কলিতেন। কিন্তু এবার ঈশ্বরপুীকে দেখিয় তাহার চক্ষু ইষ্টতে ঘন ঘন অশ্রু পড়িতে লাগিল। বুদ্ধ বৈষ্ণবের পয়ে পণ্ডিয়া তিনি কোমল পাশা নারীর নায় কাদিতে লাগিলেন এবং যখন কুমাবহট্ট ত্যাগ কবিয়া চলিলেন, তখন ঈশ্ববপুরীব জন্মস্থানেৰ মাটি কোচাব লাধিয লইলেন এবং বলিলেন—‘এই মাটি আমাল নিকট স্বৰ্গ হইতে পবিত্র এবং প্রাণ ছফ্টতে প্রিয।--বলিতে বলিতে তাছার চক্ষ হইতে অজস্র বালিলিন্দু পতিত হইতে লাগিল এবং তিনি ধানীৰ মত উদাস ভালে আকাশের দিকে চাছিয়া দাড়াইয়া রছিলেন । ইছার পর গয়ায় বিষ্ণুপাদপদ্মদর্শন। সে এক অপুর্ণ কথা। চারিদিক ইষ্টতে শত শত পুষ্পমালা পাদপদ্মেব উপব পড়িতেছে । কত পট্টবস্ত্র, কত অলঙ্কার যাত্ৰীবা সেই পাদপদ্মে নিবেদন কলিতেছে ! পাণ্ডাবা মন্ত্ৰ পডিয়া বলিতেছে— "এই পাদপদ্ম চক্টতে গঙ্গা আসিয়াছেন । ইষ্ঠা দ্বাবা বলিবাজাব দৰ্প চূর্ণ হইয়াছে—এই পাদপদ্ম তাখাল মস্তক শেrsা করিয়াছে। ধোগীঋধিব| এই পাদপদ্মের আভাস পাইয়। কৃতাৰ্থ হন। হে বিশ্ববালী, তোমাদের দুঃখের সাম্বন আৰ কোথাও নাই—শুধু এইপানে। দর্শন কব, ভব-বন্ধন মোচন হইয়। যাইবে । এই স্তব পাঠ শুনিতে শুনিতে লছলে লছরে চৈতনের অশ্রু কপোলে গড়াইয়। পড়িতে লাগিল। পাদপদ্মে নিবেদিত শত শত ফুলমালা ছষ্টতেও সেই অশর মাল| পশিএ পাগুলি। দেখিল, এক দেবতুল্য আকৃতি পরম-সুদৰ্শন যুবক কাদিতে কঁদিতে সেক্ট পাদপদ্মের উপর অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছেন। ৩দ বস্থায় সঙ্গীরা তাছাকে ধরিয়া বাসাবাড়ীতে লষ্টয়া আপিল চৈতন্য হওয়াব পরে তিনি বলিলেন—“তোমাব ফিবিধ যাও, আমি আমার প্রাণনাথকে দেখিয়াছি । আমি বৃন্দাবন চলিলাম। আমি আর ঘরে ফিরিব না।” বহু চেষ্টায় তাহারা তাঙ্কাকে বাড়ীতে ফিরাষ্টয়া


"Woo

Eகளு:ை লইয়া আসিলেন । তখন শচীদেবী তাছার প্রিয় পুত্রকে যেরূপ দেখিলেন, তাহাতে তাহাব মুগ শুকাইয় গেল ! সেই আমলকী দ্বাব। পরিস্কত সুদীর্ঘ কেশরাজী কোথায় গিয়াছে—তাঙ্গ জটায় পরিণত । গলা হইতে হরিনামের মালা ছিণ্ডিয়া গিয়াছে । অতি সুদৰ্শন কৃষ্ণকেলি ধুতিতে সে ক্টোচা নাই—ছিন্নভিন্ন হইয়। তাছা কোমলে জড়ালে । সন্ধ্যাফিক তিনি ছাডিয়া দিয়াছেন । বাড়ীতে শালগ্রাম পূজা পান না—তাছাতে স্কক্ষেপ নাই । দিবারাত্র ‘কৃষ্ণ’ ‘কৃষ্ণ' বলিয়। কাদিতেছেন : ঘবেল এককোণায় বলিয়। আবেগ ভরে চক্ষুর জল ফেলিতেছেন । শত ডাকেও উত্তল নাই । কখনও কখনও আকাশের দিকে চাহিয়া—‘কে এল', ‘কে এল' বলিয়া দু’হাত প্রসারণপূৰ্ণক পাগলেন ন্যায কাদিতেছেন এবং প্রিয় বন্ধু গদাধলের গল। জড়াইয়া ধরিয়া বলিতেছেন—“আমি দেখিয়ছি । কি দেখিয়াছি গুলিবে ? গদাপল সাগ্রহে শুনিতে চাহিত। কিন্তু চৈতন্তেব আর বাকশক্তি ছষ্টত ম। । কঁাদিতে কঁাপিতে গদাধবের কোলে অজ্ঞান হইয়া পড়িতেন। সকলে ললিল—‘শচী, তোমাব ছেলে পাগল হইয়াছে।” একটিমাত্র ছেলে— স্বামিপুত্রহীনার ছদশা দেখিয় লোকে অত্যন্ত কষ্ট বোধ করিত। এদিকে ইহার পূৰ্ব্বেই শচী দেবী চৈতনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাছার অাব এক বিবাহ দিয়াছিলেন। সেই স্ত্রীর নাম বিষ্ণুপ্রিয়া । বিষ্ণুপ্রিষাকে দেখিলে হয়ত ছেলেৰ মতিগতি ফিবিতে পারে, এইজনা শচীদেবী তাছাকে পুলেৰ পাশে বসাইয়া বাখিতেন।

  • --অনিয়া প্রভুর নিকটে বসায় ।

দৃষ্টিপাত করিয়াও প্রভু নাহি চায়। কোথ। ক্লফ কোথা কৃষ্ণ বলে অমুক্ষণ । দিবানিশি শ্লোক পড়ি করয়ে ক্ৰন্দন ॥” সকলেই যখন ঠিক করিল যে, চৈতনদেশ পাগল হইয়াছেন। তখন শচীদেবী উপায়ান্তর ন৷ পাইয়। কবিরাজ ডাকিলেন । কবিরাজ আগিয়৷ শিবাদি ঘৃত ব্যবস্থা কবিয়া দিয়া গেলেন। শচী শ্ৰীবাসকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। ইনি প্রবীণ ও নবদ্বীপের মধ্যে অতি বিশিষ্ট ব্যক্তি। চৈতনা ঘবের কোণে বসিয়া কাদিতেছিলেন । শ্ৰীবাগ ঘরে ঢুকিয়া দরজা বন্ধ করিয়া দিলেন । দুই ঘণ্ট। পরে তিনি বাছির হইলে শচীদেবী দেখিলেন— বুদ্ধ ব্রাহ্মণের চক্ষু জলে টলমল করিতেছে। শ্ৰীবাস শচীদেবীকে বলিলেন—“কাহাকে তোমরা পাগল -o-o-o-o-o-o-o-o-----