পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-िथ्3-ख्त्राञ्जडी সভ্যতার নিদর্শনের সঙ্গে জড়িত হইয়া আছে। আজকাল যে দেশকে আমরা আফগানিস্থান বলি, সে দেশ দেড় হাজার বছর আগে আমাদের ভারতবর্ষেরই অংশ ছিল। এখন আফগানিস্থানের লোকেরা হয় ফারসী, নয় পশতু বলে। জাতিতে ইহারা ইরাণীয় আর্য্য, ধৰ্ম্মে এখন মুসলমান ; কিন্তু তখন এই দেশের লোকেরা ছিল হিন্দুজাতীয়, ধৰ্ম্মে ব্রাহ্মণ্য, বৌদ্ধ, জৈন প্রভৃতি হিন্দুধর্শ্বের শাখা মানিত। গ্রীকেবা আফগানিস্থানকে India Meion si-ffs India Minor zi ছোট-ভারত' বা ‘প্র-ভাবত' বলিত। দেড় হাজার বৎসর পুৰ্ব্বেও এই দেশে হিন্দুধৰ্ম্মের প্রচুর নিদর্শন ছিল। কাবুল শহরের ৩০ মাইল পশ্চিমে ‘বামিয়ান’ বা “ব্রহ্মযান' নামক স্থানে পাহাড়ের গা কাটিয়া তৈরী কতকগুলি বিরাটু বুদ্ধ মূৰ্ত্তি বাহির হইয়াছে, খড়াইয়ে এক একট। কলিকাতাব মনুমেন্টের চেয়েও উচু। এছাড়া মন্দির, চিত্র, মূৰ্ত্তি— বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মেব প্রচুর নিদর্শন বাহির হইয়াছে । এ দেশও এখন ভাবতের অংশ নহে, ইত। ভারত হইতে বিচুত হইয়৷ পড়িয়াছে, পশতু-ভাষী পাঠান ও ফারসীভাষী তাজীক জাতি আসিয়া এই দেশ দখল কবে, পরে ইতাল মুসলমান হয় ও ধীৰে ধীরে এই দেশের প্রাচীন হিন্দুজাতি ইহাদেব হাতে নিষ্পেষিত হইয়। বিধ্বস্ত হইয়া যায়। ভারতবর্ষ হইতে ইহাদের রক্ষার বিশেষ কোনও চেষ্টা হয় নাই। স্বপ্রাচীন যুগ হইতেই যে দেশ ভারতের অঙ্গস্বরূপ ছিল, তাহ এইরূপে বিচ্ছিন্ন হইয়া গিয়াছে । ভারতের উত্তরের দেশ তিববতকেও এক হিসাবে বৃহত্তর ভারতের শামিল করিয়া লওয়া চলে। তিব্বত এখন নামত: চীন সাম্রাজ্যের অংশ-তিব্বতের লোকেদের 衆→一 gb"○ একটি ৰিশিষ্ট সভ্যতা ও মনোভাব অাছে। জাতিতে ইহারা চীনাদের জ্ঞাতি, কিন্তু ধৰ্ম্মে ও সভ্যতায় ইহারা অনেকটা ভারতেরই। তিববতীর চীনের পশ্চিম অংশে তাহাদের আদি বাসভূমি হইতে যীশুখুষ্টেৰ জন্মের প্রায় ৫০০ বৎসর পূৰ্ব্বে আধুনিক তিব্বতে আসিয়া বসতি করে । বহুকাল ধরিয়া তাহারা অৰ্দ্ধ অসভ্য অবস্থায় ছিল, এবং তাহাদের প্রাচীন ধৰ্ম্মে নানারূপ যান্থবিদ্যাময় ক্রিয়াকলাপ ও পুজাঅনুষ্টান হইত। ইহাদের প্রাচীন ধৰ্ম্মকে “বোঙ’ ধৰ্ম্ম বলে। তাহার পরে, যীশুখুষ্টের জন্মের কয়েক শত বৎসরের পরে, ভারতবর্ষ হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম যায়। বৌদ্ধধৰ্ম্ম দ্বারা ইহাদেব অবস্থার অনেক উন্নতিসাধন হয়। ভারতীয় বর্ণমাল৷ ইতারা গ্রহণ করে, এবং খুষ্টীয় ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি থোনমি সম্ভোর্টু নামে একজন তিববতী পণ্ডিত ভাৰতীয় বর্ণমালায় তিববতী ভাষা প্রথম লিখিতে আরম্ভ কবেন। এতদ্ভিন্ন ভারতেব বন্ত শিল্প ও রীতিনীতি ও ইতার। শিক্ষা করে। তিববতীর নিজেদের ভাষায় নিজেদেব বলিত 'বো' (এখন এই শব্দ ইহারা "প্যে। এইরূপে উচ্চারণ করে) ; এই ‘বেদ’ শব্দ আমাদের পূর্ব-পুরুষগণ ভারতবধে প্রায় পনের শত বৎসব পুৰ্ব্বে পরিবৰ্ত্তিত করিয়া ভোট’ রূপে গ্রহণ করিয়াছেন। তিব্বতের প্রাচীন ভারতীয় নাম হইতেছে ‘ভোট দেশ। বৌদ্ধধৰ্ম্ম শিক্ষা দিবার জন্য ভারতবর্ষ হইতে কতকগুলি পণ্ডিত, প্রাচীনকালে ভোট দেশে গিয়াছিলেন। ইহাদের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হইতেছেন একজন বাঙ্গালী বৌদ্ধ পণ্ডিত, দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ । ইনি ১০৩৮ খৃষ্টাব্দে প্রায় সত্তর বৎসর বয়সে তিব্বতে যাইয়া সেখানকার বৌদ্ধধৰ্ম্মের মধ্যে এক শক্তি দান করেন। তিনি ভোটদেশে গিয়া সেখানকার নানা --- --米