পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধীরে ধীরে আমি আরও অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিজে নিজেই তৈয়ারী করিয়া লক্টতে লাগিলাম। বনের মধ্যে গাছ হুইতে আমি একটা লোহা-কাঠ জোগাড় করিয়াছিলাম । তাচা দিয়া মাটি খুড়িবার উপযোগী একটি শাবল তৈয়ারী করিলাম , উহা লোহার শাবলের মত শক্ত না হইলেও উইবি দ্বাবা অামাব সকল কাজই বেশ চলিয়। যাইত। কিন্তু বহুদিন ধবিয়া একখানি কোদালের অভাব বড়ই অনুভব কবিতেছিলাম। একদিন দেখিলাম যে, জাহাজ-ইষ্টতে অtল। কয়েকখানি লোহার শক্ত পাত এক বাক্সের ভিতর রহিয়াছে। একখানি চৌকা পাত আগুনে তাতাইযা অল্পে অল্পে পিটাইয়া এক থানি কোদাল তৈয়ারী করিলাম । কোদালখনি একটু বেশি ভারী হইয়াছিল, কিন্তু উহাতে আমার যথেষ্ট উপকার হই যাছিল। একদিন দেখিলাম যে, কোনও জিনিসপত্র বহিতে হইলে দু-একটি ঝুণ্ডির নিতান্ত প্রয়োজন । কিন্তু সহজে বাশ অথবা বেতের সন্ধান না পাইয়া সাধারণ গাছের নমনীয় সরু সব ডাল বুনিয়া বুনিয়া কাজচলা গোছের বহু ঝড়ি তৈযারী করিয়া ফেলিলাম । ঝুড়িগুলি দেখিতে মই ন হইলেও উহা অশেষ প্রকারে অামার কাজে লাগিয়াছিল। কিন্তু বহুদিন ধরিয়া রুটির অভালে আমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাইয়াছিলাম। আমার কাছে যে যব ছিল সেগুলি বেশ বড় বড় আর খুব উৎকৃষ্ট। কিন্তু রুটি প্রস্বত করিবার পূৰ্ব্বে ঐ যবগুলি পিসিয়া তবে তো উহা হইতে ময়দা বাহির কলিতে হইবে । অনেক খুজিয়াও যাতা তৈয়ারী করিবার উপযুক্ত একথানিও পাথর পাহলাম না । আর পাপব পাইলেও তাছাতে ছিদ কবিতাম কেমন করিয়া ৮ শেষকালে পাথরের আশ ছাড়িয়া দিয়া খুব মোটা মোট ছপান ভারী শক্ত কাঠ জোগাড় করিলাম । সেই কাঠের খণ্ড দুইটিকে কাটিয়া ঘষিয়া গো করিয়াছিলাম এবং আগুন জালাইয়া উহাতে ছিদ করিয়ু লইয়। সেখানে চাতল লাগাইলা মাতা তৈয়াবী করিয়াছিলাম । যব পিষিয়া কোনওরূপে মৰ্যদা প্রস্তুত করিবার তে। উপায় করিয়াছিলাম। কিন্তু তখন ভাৰন। হুইল যে, ৰুটি সেঁকিৰ কেমন করিখ রুটি সেঁকিবার উপযুক্ত একটি উলান তৈয়ারী করিতে আমার অনেক ভাবিতে হইয়াছিল । অবশেষে আমি আমার

  • द्रौका श्राब्रख कब्रिड्रा निग्ना नकलकtग हईग्राहिणाभ । রুটি সে কিবার জন্ত আমি কতকগুলি মাটির পর। তৈয়ারী করিয়াছিলাম। প্রত্যেকটি সরার বেড় প্রায় দুই ফিট এবং গভীরতা প্রায় নয় ইঞ্চি হইবে। ঐ মাটির সরাগুলিকে আমি বেশ করিয়া আগুনে পোড়াইয়া লইয়াছিলাম। ইহাতে সেগুলি টালির মত লাল এবং লোহাব ন্যায় শক্ত ও কঠিন হইয়। डेठिंब्राझिल ।

যখন আমি রুটি সেকিতাম, তখন এইরূপ একখানি সরা লইতাম এবং মাটি খুড়িয়া তৈয়ারী করা উনানে বেশ করিয়া আগুন ধরাইতাম। সরার মধ্যে মাথ। ময়দার ডেলাটি বসাইয়া দিয়া আর একখানি সর দিয়া চাপা দিয়া প্রথমে উনানের উপরে বসাইয়। দিতাম। তাহার পর উহার উপরে এবং পাশেও শুকনা কাঠ জমাইয়। আগুন ধরাইতাম । এষ্টরূপে চারিদিক হইতে আগুন পাইয়া গরমে রুটিগুলি বেশ সুন্দর লে’ক হইয়া যাইত। এইরূপে অল্পদিনের মধ্যেই আমি একজন পাকা রাধুনীও হইয়। উঠিলাম । অভাব বোধের সঙ্গে সঙ্গে বহু জিনিসপত্র আমি নিজে নিজেই উদ্ভাবন করিয়া লইয়। আমার সেই ছন্নছাড়া জীবনটাকে এমন সহজ করিয়া লষ্টয়াছিলাম যে, জীবনটাকে ছঃখের চেয়ে সুখের ভাগটাই অধিকতর বলিয়া মনে হইত। সে সময়ে আমার পোষাক-পরিচ্ছদ এমন অস্তুত হইয়াছিল যে, আমার দেশবাসী কেহ যদি তখন আমাকে দেখিতে পাঠত, তাহা হইলে, হয় সে খুব ভয় পাইত অথবা তাহাব খুব হাসি পাহত । আমি আমার মাথায় একট। আকারহীন মস্ত উচু ছাগলের চামড়ার টুপি পরিতাম। মোজা অথবা জুতা আমার ছিলই না, কিন্তু আমি এমমই অদ্ভুত এক জোড়া পাদুকা নিজে নিজেই তৈয়ারী করিয়া পায়ে পরিয়া থাকিতাম যে, তাহার যে কি নামকরণ করিব, তাহা ভাবিয়াই পাই না! আমার গায়ে চাটু পর্য্যস্ত কুলওয়ালা একটা শাট, আর পরণে একটা হাটুর উপব পৰ্য্যস্ত কুলের পাজামা ছিল । বাহিরে যাইবার সাজ আমার একটু অন্য রকমের ছিল। ছাগলের চামড়ায় তৈয়ারী একটা চওড়া বেণ্ট, আমি কোমরে পরিতাম এবং তাহার একপাশে একটা করাত, আর অপর পাশে একটা হাঙ্কুড়ি ঝুলিত । আমার দুই কাধের নীচে দুটি থলিতে را -