পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लि-थs-चलान्बूझपटौ তুমি তোমার বোনের সঙ্গে খেলা করছ, বাড়ীর অঙ্কrষ্ঠ মহিলাদের উঠতে, বসতে, ষোরে বা আস্তে চলতে, নানা রকম গতির কাজ করতে দেখছ। তোমার বোনে ও তোমার চলাফের, দৌড়ধাপে কোন পার্থক্য তুমি দেখছ না, কারণ তোমার বোন হয়ত বয়সে সেই রকম ছোট, যখন গতির কোন স্ত্রী-পুরুষ বিভেদ থাকে না । কিন্তু মহিলাদের দেখে হয় ত আশ্চর্যা হও যে, তারা তোমার অথবা তোমার বাবা, দাদা প্রভৃতির মত কেন দেহ সঞ্চালন করেন না। এইবার ব্যাপারগুলো তোমরা বোঝ । স্নায়ু প্রকরণের ক্রিয়া দুটি—আহুভুতিক ও সঞ্চালক। প্রথমটির স্ত্রীপুরুষ ভেদে কোন তারতম্য আছে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ থাকলেও সঞ্চালক ত্রিয়ার বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই। কিছু নিম্নস্তরের জাতি ছাড়া সকল জাতির স্ত্রীলোকেই পুরুষের তুলনায় সঞ্চালক শক্তিতে দুর্বলতা দেখায় এবং পুরুষের মত এই শক্তির ব্যবহারে আনন্দ পায় না। সভ্যজাতিদের মধ্যে এই প্রভেদ অত্যন্ত পরিস্ফুট। পুরুষের তুলনায় কোন স্ত্রীলোকেরই এক নৃতা ছাড়া অন্ত কোন বিষয়ে পৈশিক শক্তি প্রকাশের অাকর্ষণ নেই। বয়ঃপ্রাপ্ত হবার পূর্ব পর্য্যস্ত, যখন বালিকার বালকদের চেয়ে সকল বিষয়ে অগ্রসর, বালিকাদের প্রাণশক্তি ও পৈশিক শক্তি বালকদের চেয়ে কম থাকে। পণ্ডিতের উদাহরণ স্বরূপ বলেন যে, স্ত্রীলোকের হাতের শক্তি পুরুষের হাতের শক্তির চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ কম। বালকের বালিকাদের চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ বেশি ভার বহন করিতে পারে। পুরুষ যেখানে নিজের দৈহিক ওজনের দ্বিগুণ বোঝা বহন করিতে সমর্থ, স্ত্রীলোক সেই স্থলে নিজের ওজনের অৰ্দ্ধেক ভার বহন করতে পারে। পণ্ডিতেরা পুরুষ ও রমণীর দেহের নান) অংশের শক্তির বিশ্লেষণ করেছেন। সার্জেণ্টের মতে দুৰ্ব্বগতম বালকের প্রশ্বাগের পেশীগুলি সাধারণ বালিকার প্রশ্বাসের পেশীর চেয়ে মজবুত। যদিও পিঠ, পা, বুক ও হাতের শক্তিতে বালিকার অপেক্ষাকৃত শ্ৰেষ্ঠ, তবুও শতকরা নববই জন বালক শক্তির যে নিরিখ সহজেই অতিক্রম করে শতকরা পঞ্চাশটি বালিকা সেটার নিকটেও পৌছতে -riT F1 || পৈশিক শক্তি (force) নির্ণয় করতে গিয়ে রিকাডি এই সভ্যতা আবিষ্কার করেছিলেন যে, স্ত্রীলোক পুরুষের তুলনায় শ'দ্রতর শক্তি প্রয়োগের 5द्धभ नौगांध्र खे”ानेौड श्घ्र ७ ७दिष:ग्र ठाँद्र 1भूब्रट्वद्र দুৰ্ব্বলতার বাম হস্তের সঙ্গে সমান। এই সত্য কথাটি স্ত্রীলোকের প্রতিক্রিয়ার দুৰ্ব্বলতা ও তৎপরতা ও তার স্বায়ুপ্রকরণের সঞ্চালক ক্রিয়ার সাধারণ স্বভাৰটা প্রকাশ করে। স্বেচ্ছাকৃত গতির কারে পুরুষ ও নারীর মধ্যে কোন প্রভেদ আছে কিনা, সে বিষয়ে অনেক অনুসন্ধান করা হয়েছে। এই হারটি সাধারণতঃ অপরিবর্তনশীল । পুরুষের তুশ নায় রমণীর মধ্যে সেটা শ্লথতর । নিয়মিত বা সাধারণ ལཱ་༔༽ ཝཱ་རཱ་ বিশেষভাবে কিছু করবার উদ্দেশু বা প্রেরণা নাই, সেটা রমণীদের মধ্যে ক্ষিপ্র, কিন্তু গতি যেখানে চরম, সে প্রকার গতি পুরুষের মধ্যে ক্ষি প্ৰতররূপে প্রকাশ পাখ । দেহের ভিন্ন ভিন্ন গাঁটগুলির গতির তারতম্য বিশ্লেষণ করে এই সত্যটা পাওয়া গেছে যে, বালকের ছয় বৎসর থেকে নয় বৎসর বয়সের মধ্যে বালিকাদের চেয়ে অধিকতর গতিশীলতা লাভ করতে আরম্ভ করে এবং চেীদ থেকে ষোল বৎসর ৰয়সের ভিতর এই পার্থক্য সম্পূর্ণ পরিস্ফুট হয়ে উঠে । এ বিষয়ে উভয়ের কতকটা নৈকট্য সম্বন্ধ কেবল দশ থেকে বারো বৎসর বয়স পর্যান্ত থাকে । বারো থেকে তেরো বৎসর বয়সে বালকের গতিবৃদ্ধির হারটি বিলম্বিত হয়, অপরপক্ষে বালিকাদের দ্রুততর হয়ে যায়। দেহের দক্ষিণ ভাগের গতি বালিকাদের চেয়ে বালকদের বেশী, কিন্তু বালিকাদের মধ্যে দক্ষিণ ও বাম, দুই ভাগেরই কতকটা সমতা দেখা যায়। বালিকাদের বারে। থেকে তেরো বৎসর বয়সে গতিবৃদ্ধির পরিণাম তেরো থেকে চৌদ্দ বৎসর বয়সে বাধা পায়ু ও কম হতে থাকে । বালকদের ১৩। ১৪ বৎসর বয়সে বাড়তে থাকে বটে কিন্তু এই সময়ের অব্যবহিত পরে, অর্থাৎ ১৪ । ১৫ বৎসর বয়সে বাধা পায়। বালকদের তুলনায় বালিকাদের গতির অবনতি বা উন্নতি চরম এবং গতি পূর্ণভাবে লাভ করার ব্যাপারটা শ্লথতর হয়ে থাকে। সুতরাং তেরো বৎসরের বালিকা সমবয়স্ক বালকের চেয়ে ও এ বিষয়ে উন্নতিশালিনী । গতির সঠিকত্ব (Precision) বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, বালকেরা বালিকাদের চেয়ে এ বিষয়ে ՖԱ-Ե-Ն