পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--পৈচাহিক গভিজ্ঞ জ্ঞeথ।-- ব্রায়ান নামে এক বিশেষজ্ঞ বলেন ষে, ১২। ১৩ বৎসরের বালিকা ও ১৩।১৪ বৎসরের ৰালকের গতিবৃদ্ধির পরিমাণ স্বায়ু,কেক্সের সম্প্রসারণের (tension) পরিচায়ক। পরে যে অবনতিটা দেখা যায়, তার কারণ, ঐ বয়সে দেহের নানা পরিবর্তন ও দৈহিক ক্রিয়াগুলির বিক্ষেপজনিত অৰসাদ । অপর পক্ষে গতি পূর্ণরূপে লাভ করাটাও এই অবসাদ থেকে মুক্তির পরিচায়ক। পণ্ডিতপ্রবর ডিলনের মতে সঞ্চাল ক্রিয়ায় স্নায়ুকেন্দ্রের অভিমুখে আকর্ষণকারী গতি (centripotal) ও স্বায়ুকেন্দ্র হইতে দূরে গমনশীল গতির (centrifugal) সংঘাতে স্নায়ুকেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে যে গতি, তাছা হীনবল হয়ে পড়লে অল্প অগ্রসব প্রাণী ও ব্যক্তির মধ্যে বেশীর ভাগ ঐক্লপ দৈহিক পবিণতির অবনতি দেখতে পাওয়া যায় অর্থাৎ জীবদেহের মধ্যে স্বায়ুকেন্দ্রেব দিকে আকর্ষণ করে এবং স্নাযুকেন্দ্র হতে দূবে নিয়ে যায় এরূপ যে দুটি গতি আছে, তাদের মধ্যে প্রথমটিব শক্তি অধিক হলে দেহেব পরিণতি হয় এবং দ্বিতীয়টির শক্তি অধিক হলে দেহের পরিণতি বাধা পেয়ে থাকে। তিনি লনমানুষ, নিম্নস্তরেল মানৰজাতি, রমণী, শিশু ও নিবোধ ব্যক্তিদের এই তালিকাভুক্ত করেছেন । পক্ষাস্তরে, ৬াব মতে উত্তান ভাব প্রভৃতি স্নাযু-কেঞ ইতে দূরে গমনশীল গাত উচ্চ স্তপের মানবজাতি, পুরুষ ও অতান্ত চতুর পাক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। রমণী স্বভাবত: স্নাযুকেন্দ্র অভিমুগে আকর্ষণকালী গতি প্রকাশ করে । বৃত্তাকারে কোন গতি প্রকাশ করতে চলে পুকষ ঘড়ির কাটার গতির মত ৬ান থেকে খাম দিকে করে, রমণী উণ্ট দিকে করে থাকে । কোন স্ত্রীলোককে যদি পুরুষের কোট পরিয়ে বোতাম দিতে বলা যায়, সে বাম হাত দিয়ে স্নায়ুকেন্ধের ՖԿrԵ-> 24—F. 7 দিকে আকর্ষণকাৰী ভঙ্গী কল্পে বোতাম দেবে এই কারণেই স্থানান্তরে যাবার সময়ে সাধারণতঃ রমণীর বাম পদ এবং পুরুষের দক্ষিণ পদ অাগেই উঠে থাকে। পুরুষের আক্রমণের সাধারণ ভঙ্গ স্নাযুকেশ্রু হতে দূরে গমনশীল ও রমণীর স্বাঙাৰিক ভঙ্গী স্বায়ুকেন্দ্র অভিমুখে আকর্ষণকাৰী । শক্তির ও অঙ্গভঙ্গীর ক্ষিপ্রত ও যtথাগোর ( Precision ) বিষয়ে রমণী পুরুষের চেয়ে নিকৃষ্ট। অামাদেব জীবনের অভিজ্ঞতাও এই কথা বলে। পুরুষের তুলনায় রমণীর রক্তপ্রবাহ ও পেশীতে জলের অংশটা বেশী , অৰশু এটা অনেক সময় ৰায়াম ও পবিবেষ্টনে পার্থক্যের কারণে হয়, দেহের গঠনের পার্থক্যের জন্ত ও এটা হওয়া সম্ভব । অলভ্য জাতিব রমণীদের পৈশিক শক্তির পরীক্ষা করলে জানা যায় যে, সভ্যজাতীয় রমণীদের এই পার্থক্যটা খুব ৰেশী উচ্চারিত নয়। সার্কাস প্রভৃতিতে রমণীর শক্তির পরিচায়ক খেলা আমরা সাধারণতঃ বেশী দেখতে পাই না , কদাচিৎ "একজন এ ধরণেব রমণী খেলোয়াড় দেখা গেলে ও তাদের পুৰষদের মত নিপুণতা থাকেন। রমণীদের ব্যায়াম নিপুণ কবে তোলা যায় কিন। সন্দেহ, কারণ তার এত বিশেষ ধরণের ল্যায়ামে কোনকালেই পুরবের মত লিপ”, হতে পারে ল। *োবাল পেশিক ক্রিয় পুরুষ মানুষকে আর্কষণ করে, লমণীকে করে না। কারণ, তার বিশ্রাম করবার ও শক্তি সঞ্চয় করবার একট। প্রকৃতিগত ঝোক আছে। রমণীর চেয়ে পুকৰেৰ সঞ্চালক গতির বিষয়ে শ্ৰেগুত। মানব জীবনে একটা বিশেষ সত্য কথা । পুরাণ ও রমণীর জীবনে যা কিছু প্রধান, সে সকলের ও উভয়ের মনের গঠনের সছিত এই সঞ্চালক ক্রিয়ার প্রগাঢ় সম্বন্ধ আছে ।