পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখন শেষ হইল, তখন জাৰ্ম্মেণী ও অষ্ট্ৰীয়াহাঙ্গের সম্পূর্ণভাবে পরাভূত। রাশিয়া ও ইটালী গৃহবিপ্লবে বিধ্বস্ত, আর গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স শ্রাস্ত ও দরিদ্র। এতবড় একটা যুদ্ধ আরম্ভ হইয়াছিল খুবই সামান্ত একটা কাবণে, অথচ যুদ্ধ ছাড়া কলহের সেই হেতুটাকে মীমাংসা করিবার আর কোন উপায় ছিল না। ইউরোপে তখন এমন কোনই সঙ্ঘ বা প্রতিষ্ঠান ছিল না, যাঙ্গর সম্মুখে অষ্ট্ৰীয়াহাঙ্গেরী তাতার অভিযোগ জানাইতে পারিত এবং যাহার নিরপেক্ষ বিচার সকলেই মানিয়া লইতে পারিত। এই মহাযুদ্ধেব শেষভাগে ( ১৯১৬ খৃ: ) আমেরিকাব যুক্তরাজ্য আসিয়া গ্রেট ব্রিটেনের পক্ষে যোগ দিয়াছিল। তখন যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্ট ছিলেন উড় উইল»z (Woodrow Wilson ) STR (3G ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন লয়েড জর্জ (Lloyd George ) To on इद्देशा যখন সন্ধির কথাবাৰ্ত্তা চলিতে লাগিল, তখন তাহাবা স্থির কপিলেন যে, সন্ধির সাথে সাথে ইউরোপে এমন একটা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিতে হইবে, যাহাব কাছে পৃথিবীর সমস্ত জাতি তাঙ্গাদেব অভাব-অভিযোগ জানাইতে পারে এবং যে প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তাহারা যুদ্ধ না করিয়া তাহাঁদের পরস্পরের কলহবিবাদ মীমাংসা করিয়া লইতে পারে। বিজেতা ও পরাজিত সমস্ত দেশই এই প্রস্তাবে রাজী হইল এবং তখন এক আন্তর্জাতিক সঙ্ঘের ( League of Nations) offsöl to এই আন্তর্জাতিক সঙ্ঘের স্থান হইল শুইজারল্যাণ্ডের অন্তর্গত জেনেভা সহরে । সুইজারল্যাণ্ড পৃথিবীব্যাপী মহাযুদ্ধে কোন •एक्रहे ८गा% ८नम्न नाई, उाश इङ्घ दइ বৎসর ধরিয়া পৃথিবীর সমস্ত দেশ তাহাকে fazvoj“ tsy (Neutral country) বলিয়া স্বীকার করিয়া আসিতেছিল, তাই সকলেই জেনেভাকে আন্তর্জাতিক সঙ্ঘের উপযোগী আদর্শ সত্বর বলিয়া মানিয়া লইল । ইংলণ্ডের লর্ড রবার্ট সিসিল এবং জেনাবেল স্মাট্রস, ফ্রান্সের লিয় বুর্জোয়া প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সঙ্ঘের প্রতি একান্ত অনুরাগী ছিলেন এবং তাহাবা প্রতিনিধিত্ব করিয়াছিলেন। স্তর এরিক ড্রামণ্ড ইহার সৰ্ব্বপ্রথম প্রধান কৰ্ম্মসচিবের পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। এই আন্তর্জাতিক সঙ্ঘের কথা এখন বলিব । পুথিবীর যে কোন স্বাধীন বা প্রায়স্বাধীন দেশ এই সঙ্ঘের সভ্য হইতে পারে এবং সমস্ত সভ্যদের লইয়া যে সভা গঠিত হয়, তাহার নাম হইতেছে এসেমব্লি (Assembly)। এই সভা অনেকটা পাল1মেন্টের মত ; বড় বড় আইনকানুন ও রীতিনীতি এই সভায় আলোচিত হওয়া চাই । এসেমরি হইতে কয়েকজন মাত্র সভ্য লইয়। ছোট একটি কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক সভা গঠিত হয়, তাহার নাম কাউন্সিল ((ouncil)। এই কাউন্সিলে দুই শ্রেণীর সভা থাকেন—স্থায়ী ও অস্থায়ী। বড় বড় দেশগুলি কাউন্সিলের স্থায়ী সভ্য এবং ছোট ছোট দেশগুলি তাহাদের নিজেদের মধ্য হইতে জন কয়েক অস্থায়ী সভ্য কাউন্সিলে পাঠাইতে পারে। এই কাউন্সিলের ক্ষমতা অনেক । আন্তর্জাতিক সঙ্ঘের সভ্য কোন দেশের সাথে যদি অন্য এক দেশের কলহ উপস্থিত হয়, তখন সেই কলহ কাউন্সিলের সম্মুখে উপস্থাপিত করিতেই হইবে এবং তখন যদি বিবাদী দেশ দুইটি বাদে আর সকলে কলহের একটা মীমাংসা করিয়া দেয় তবে, সেই মীমাংস উভয় পক্ষকেই মানিয়া ২১ = ৩