পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খেলাফতের অবসান শাসন-বিভাগ-শাসন-বিভাগ প্র ধ ন ত : খলিফার নিজের তত্ত্বাবধানে থাকিত। অধীনস্থ ও বিজিত দেশসমূহ শাসন-সুবিধার জন্ত বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করা হইত এবং প্রতি অংশে আমীর নিযুক্ত করা হইত, তাহদের অধীনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৰ্ম্মচারী থাকিত। খলিফা ওমাবই এই বিভাগের বিশেষ উন্নতিসাধন করেন। আমীরগণ প্রতি শুক্রবারে সরকারী মসজিদে নামাজের সময় ইমামের কাজ করিতেন এবং থোৎবা পড়িতেন। আমীরের অধীনে অর্থবিভাগেব জচ্চ দেওযান নামক কৰ্ম্মচারী থাকিতেন, এই দেওযানের দপ্তরে প্রত্যেক দেশবাসীব নাম, ধাম, জমি, জায়গাব একটী বিববণ থাকিত, সেই অনুসালে প্রতি লোকের নিকট হইতে রাজস্ব আদাষ করা হইত। এই বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেচম-বিভাগ ছিল, তাঙ্কালা বেবিলনের খাল, তাইগ্রিগেব ও ইউফ্রেতীসেব বাধ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। নিশবে নীলনদীর অব্যবহৃত , জলধারা ওনাল কর্তৃক পলিস্কৃত হইখছিল। রাজস্ব-বিভাগ-বাজস্ব-বিভাগও খলিফাল তত্ত্বাবধানে ছিল । যে সমস্ত অর্থ সাধাবণ কোমাগাবে লক্ষিত হইত, তাহকে আববী ভাষায ‘বাষ তুলমাল’ বলা হয। নিম্নলিখিত আয় দ্বাবা ‘বায় তুলমাল’ গঠিত হইত— (১) প্রতি মুসলমানের আযেল শতকরা ২॥০ টাকা । (২) যুদ্ধলন্ধ শতকরা ২৪২ টাকা । (৩) জিজিয়া । (৪) ওসাব ও গেরাজ । প্রতি মুসলমানেল সমস্ত বৎসবের খরচেব পর আয়ের উদ্বত্ত অংশের মধ্য হইতে প্রতি শতে ২॥৩ টাকা করিয়া খলিফার কোধাগারের দান-স্বরূপ দিতে হইত। যুদ্ধে শত্রুর নিকট হইতে প্রাপ্ত অর্থের শতকরা ৮০ ভাগ সৈন্তগণ গ্রহণ করিত, এবং বাকী অংশ ২০ ভাগ খলিফাব কোষাগারে নীত হইত। অমুসলমান প্রজাদেব নিকট হইতে জিজিয়া নামক ‘কর’ গ্রহণ করা হইত। কোরাণে ও ‘হাদিসে এই জিজিয়ার উল্লেখ নাই। তথাপি ওমর এইবার প্রথম এইরূপ কব ধাৰ্য্য করেন যে, প্রত্যেক ধনী ব্যক্তি বার্ষিক ১২২, মধ্যবিত্ত ব্যক্তি বার্ষিক ৬০, সাধারণ ব্যক্তি বার্ষিক ৩ হিসাবে কর দিবে। অৰখ স্ত্রীলোক, বালক, বুদ্ধ ও পীড়িত ব্যক্তিগণকে এই জিজিয়া কর দিতে হইত না। --- F. 5 ভারতে আকবর ও জাহাঙ্গীর ব্যতীত সকল মুসলমান সম্রাটুই এই কর গ্রহণ করিতেন। যে সমস্ত অমুসলমান প্রজা খলিফার পক্ষে যুদ্ধ করিতে অস্বীকার করিতেন, তাহাদিগকেও এই জিজিয়া কর দিতে হইত, যেমন নৰ্ম্ম্যানূ যুগে ইংলণ্ডের ব্যক্তিগত সামরিক কাৰ্য্যের বিনিময়ে 'Scutage" দিত। 'ওসাব’ ছিল সেচন-শুদ্ধ, যাহাকে ইংরেজীতে are ‘Irrigation Tax’ I tetro wsa to পয়ঃপ্রণালী দ্বারা সেচিত হইত, তাহার এই কর দিত। এই কর জমির আয়ের দশমাংশের সমান ছিল বলিয়া তাহারা "ওসাব’ (h) দিত। বিজয়ী সৈন্তদেব মধ্যে বণ্টিত ভূমির উপর এই কর ধাৰ্য্য করা হইত। অন্তান্ত জমির উপর ধাৰ্য্য করকে থেরাজ’ বলিত । বায়তুলমালে’ব অর্থ ‘সাধারণের যুদ্ধকাৰ্য্য' জাতি-কর কার্য্য ও কৰ্ম্মচারীর বেতন, বার্ষিক বৃত্তি ও দরিদ্রকে দানের জন্য ব্যয়িত হইত। প্রথম চার খলিফা এই ‘বাধতুলমালে’র কোনও অর্থ নিজের কোন কাজে ব্যয কবেন নাই ; খলিফা হজযাত্রীদের ব্যয়-ভার নিজে গ্রহণ কবিতেন কিংবা তৎপৰিবৰ্ত্তে আমীর-উল-হজ নিযুক্ত হইত। বিচার-বিভাগ-খলিফাদের যুগে এই বিভাগ "কাজী' নামক বিচারপতির হস্তে গুস্ত ছিল, কাজী খলিফা কর্তৃক নিযুক্ত হইত। কাজীগণ অভিযোগ শুনিতেন ও বিচাব করিতেন, মসজিদ ও ওয়াকম্ সম্বন্ধে মীমাংসা করিতেন। নাবালকের জঙ্গ অভিভাবক নিযুক্ত করিতেন। রাস্তাঘাট পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন। তাহদের বিচারের বিরুদ্ধে আপীল হইত। খলিফা আপীল-আদালতের সভাপতি ছিলেন। কাজী আমীর শাসিত প্রদেশে থাকিলেও আমীরের কর্তৃত্বের বাহিরে ছিলেন। খলিফা ওমর প্রথমে বেতনধারী কাজী নিযুক্ত করেন এবং ‘হাকিম’ পদবী দেন। শরিয়তের নিয়ম ও দৃষ্টাস্ত অনুসারে হাকিমকে বিচার কবিতে হইত। এইজষ্ঠ র্তাহাকে হাকিম-উস্ শহেরা বলা হয়। খলিফাদের ন্যায় তাহার জ্ঞান খুব তীক্ষু ও তীব্র ছিল, যথাশক্তি মাহুষের সাধারণ শিক্ষার জন্ত মসজিদের সংলগ্ন ‘মুক্তব’ স্থাপন কবেন। তিনি স্থায় বিচার করিতে চেষ্টা করিতেন। পুলিশের কাজ প্রথমতঃ জনসাধারণের উপর অপিত ছিল। খলিফা 'ওমর'ই রাত্রির জন্য চৌকিদার নিযুক্ত করেন। আলী סל לא