পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুলিশপ্রথা শৃঙ্খলাবদ্ধ ও প্রহরীগণকে সঙ্ঘবদ্ধ করেন। মুহম্মদের মক্কা হইতে মদিনা গমনের সময় হিজরী বা মুসলমানের ‘সন গণনা করার প্রথা ওমর প্রচলিত করেন। মুসলমানগণ চন্দ্রের গতির দ্বার দিনকাল নিয়মিত করেন। তুর্কী আলবেরুণী পারশী ওমরখৈয়াম ও ভারতীয় আকবর এই চাঙ্গমাসের প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। শাহজাহান এই আকবরের সৌরমাসের পরিবর্তন কবিঘা পুনরায় চাঙ্গমাস প্ৰবৰ্ত্তন করেন। সংবাদ আদান-প্রদান-বিভাগ-ইহাকে পররাষ্ট্র-ৰিভাগ বলা যাইতে পাবে। ইসলামেব তদানীন্তন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিত আলীব উপব এই বিভাগের ভার ছিল। তাহাব উপব পরাজিত যুদ্ধেব বন্দীর পর্য্যবেক্ষণ এবং যুদ্ধেব 'Ranson' নির্ণয়ের ভার ছিল ( মুক্তি-কব ) । যুদ্ধ বিভাগ-আরবী মুসলমানগণ সাধারণত: যুদ্ধজীবী ও যুদ্ধব্যবসায়ী ছিল। প্রত্যেক আববীয়কে বাচিয়া থাকিতে হইলে তাহাকে শক্রর হস্ত হইতে নিজেকে রক্ষা করিতে হইত ; সুতরাং যুদ্ধের জন্ত সৈন্ত সংগ্রহ করা খলিফার পক্ষে কোন অসুবিধা ছিল না। সাধারণ বিভিন্ন tribe (গোষ্ঠ ) হইতে সৈন্ত সংগ্রহ করা হইত। সৈন্তগণ সাধারণত: তিন৩াগে বিভক্ত ছিল—আখৰাহিণী, উর্দুবাহিনী ও পদাতিক । উঃবাহিনী সাধারণত: মাল সরবরাহ করিত। অশ্বারোহিগণ ঢাল, আসি ও বশী ব্যবহার করিত। পদাতিকের চাল, বর্শা এবং অসির পরিবর্তে তীর ব্যবহাব কবিত। অশ্বারোষ্টিগণ লোহার কৰ্ম্ম ও শিরস্ত্রাশ ব্যবহার করিত। -डांज्ञउँौ ... ------- পদাতিকগণ বর্তমানকালের পায়জামার মতন চিলা জামা পরিধান করিত। সাধারণতঃ যুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতা দ্বারা আরম্ভ হইত, যেমন ফারদৌসীর সোরাব ও রোস্তামের গল্পে জানা যায় যে যুদ্ধের পূৰ্ব্বে তাহারা কোরাণের আয়াং উচ্চারণ করিয়া যুদ্ধে অগ্রসব হইত। সৈনিকগণ ঢোল ও কানাড়া নামক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার কবিত। সৈন্যদের কোনও নির্দিষ্ট আবাসস্থান ছিল না। তাল ও খেজুরের পাতাদ্বারা তৈয়ারী কুটীরে বাস করিত। পরে ওমর চিরস্থায়ী সামরিক আবাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করেন এবং বিজিত দেশসমূহে দুর্গ স্থাপন কবিতে আরম্ভ করেন। সৈন্তগণ ইচ্ছা করিলে তাছাদের স্ত্রী-পুত্র লইয়া সৈনিকাবাসেব নির্দিষ্ট প্রকোষ্ঠে বাস কবিতে, পরিত। বিবাহিত সৈনিকগণ সাধারণতঃ একাদিক্রমে চাবিমাস থাকিত। তারপব পবিবাবেব নিকট প্রত্যাবর্তন করিবার অনুমতি পাইত। সৈন্তগণ যুদ্ধের সময় রেশম ইত্যাদি স্বঙ্গবন্ত্র ব্যবহার কবিতে পাইত না। স্বর্ণাঙ্গুবী প্রভৃতি বিলাসদ্রব্য বজ্জনীয ছিল। মাদকতাব জন্য শাস্তি ছিল আশীটী বেত্ৰাঘাত। শাসন ও নিয়ম কঠোব ভাবে প্রচলিত ছিল। যুদ্ধবিজিত দেশের লুষ্ঠিত দ্রব্যের শতকর। ষাট ভাগ সৈন্তদিগের প্রাপ্য ছিল। যাচারা শক নিপাত করিয়া যুদ্ধে জয়ী হইত, তাহাদিগকে গাজী' ও যাচাবা যুদ্ধে "হত" হইত তাঙ্গাদিগকে ‘শহিদ বলা হইত। শহিদ ও গাজী উভয়েই স্বৰ্গলাভ কবিত। এইরূপ ধৰ্ম্মের প্রেরণাই ইসলামের পৃথিবীজয়ের একটা প্রধান কারণ। ২১১৪