ব্যয় ইত্যাদি নিৰ্ব্বাহ করিতেন। আর স্বামিজী আপনার মনে কীৰ্ত্তন করিতেন, ‘অভঙ্গ’ রচনা করিতেন এবং গ্রামের লোক ও সাধু-সন্ন্যাসীদের সহিত ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গে কাল অতিবাহিত করিতেন। শিবাজী সময়ে সময়ে তাহাকে যে সব পত্র লিখিতেন, সেগুলির মধ্যে র্তাহার গুরুর প্রতি অসাধারণ ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পাইত। সে সমুদয় চিঠির মধ্যে অনেক চিঠিই হারাইয়া গিয়াছে। সজ্জনগড়ে যে গুই-একখানা চিঠি পাওয়া গিয়াছে, এখানে তাহার একগানা চিঠির অনুবাদ দেওয়া হইল। ১৬৭৮ খ্ৰী: অঃ শিবাজী এই চিঠিখানা গুরু রামদাসকে লিখিয়াছিলেন। স্ত্ররঘুপতি শ্ৰী মারুতি ঐস্বামী, গুরুদেব চবণে, আমি শিবাজী আপনার চরণ বেণু , আপনার নিকট নতমস্তকে একটা আবেদন জানাইতেছি। ছে পরম পূজনীয গুরুদেব ! আপনি আমাকে পবিত্র মন্ত্রদানে দীক্ষিত করিয়াছেন এবং হিন্দুরাজ্য স্থাপন কবিতে উপদেশ দিয়াছেন। ব্রাহ্মণ ও দেবতার পূজা করিতে নির্দেশ কবিয়াছেন। প্রজাদিগের কল্যাণ করিতে এবং তাছাদের দুঃখ-ইন্দশ পূব করিবার জন্যও আদেশ-বাণী আমার উপর অপিত হইয়াছে। আপনি আমাকে উচ্চ আদশে জীবন গঠিত করিয়া কাৰ্য্য কবিতে উপদেশ দিয়াছেন—আপনার আদেশ অনুযায়ী কাৰ্য্য করিলে শ্রীরামচন্দ্র আমাকে প্রত্যেকট কার্য্যে সফল করিবেন—ইহাই আপনার আদেশ। হে আমার আদর্শ মহাপুরুষ ! আপনার এই সমুদয় আদেশ-বাণী শিরোধাৰ্য্য করিয়াই আমি কৰ্ম্মক্ষেত্রে অগ্রসর হইয়াছি। আমি যখন আপনাকে আমার রাজ্য দান করিষাছিলাম, তখন আপনি সেই দান অঙ্গীকার করিলেন বটে, কিন্তু আবাব তাহা আমাকে প্রত্যপণ করিয| বলিলেন যে, রাজ্যের উপর আমার প্রভুত্বের চিহ্নস্বরূপ তোমার সৈন্তদিগের ভগব।' অর্থাৎ গৈবিক পতাকা রাখ, এবং তুমি আমাব প্রতিভূস্বরূপ রাজ্য পবিচালনা কর। আমি আপনার সেই আদেশ পালন কবিতেছি। আমার একটি অনুরোধ এই যে, আপনি আপনার বাসস্থানের নিকট শ্রীরামজীর মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিতে আছুমতি দিবেন। তাই হইলে আমরা সৰ্ব্বদা সেখানে আসিতে পারিব এবং রামদাসী সম্প্রদায়ও বিস্তার লাভ করিবে। হে পরম পূজনীয় গুরুদেৰ ! আমার অপব অনুরোধ এই যে, শ্রীরামচন্দ্রের মন্দিবের ব্যয়নির্বাহের জন্য আমি কিছু ভূসম্পত্তি উৎসর্গ করিতে চাই, সেই সম্পত্তির আয় হইতে মন্দিরের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ, অতিথি-অভ্যাগতের সেবা, ব্রাহ্মণের সেবা, উৎসব-ব্যয়, মন্দির ও অট্টালিকানিৰ্ম্মাণ এবং অন্তান্ত প্রয়োজনীয় ব্যয় ইত্যাদি নিৰ্ব্বাহ হইবে। - o o - তোমরা অনেক সময় মাডোয়ারী সম্প্রদায়ের মধ্যে কিংবা উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল এবং অন্তান্ত স্থানের হিন্দু অধিবাসীদের মধ্যে, বিশেষতঃ মহারাষ্ট্রীয়দেব মধ্যে 'বাম লাম’ বলিমা অভিবাদন স্ত্রীরামদাস স্বামী করিতে দেখ। কথিত আছে যে, এই রীতিও নাকি রামদাসের আদেশে শিবাজী প্রবর্তন করেন। ১৬৮১ খ্ৰীষ্টাব্দে ৭৩ বৎসর বয়সে রামদাস স্বামী সজ্জনগড় দুর্গেই সমাধি প্রাপ্ত হন। এইখানে যে ছবিটি দেওয়া হইল—তাহ সজ্জনগড়েব মূৰ্ত্তির প্রতিচ্ছবি। গুরু রামদাস স্বামীর সম্বন্ধে যে কত অলৌকিক গল্প ও কাহিনী প্রচলিত আছে, তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। এখানে দুই একটি গল্প বলিলাম । ՀՏՀ օ
পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৪৩
অবয়ব