পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लिख्)-डांब्रठी ব্যায়ামের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু বিজ্ঞান-চর্চার সঙ্গে সঙ্গে এ ধাবণা দূর হইয়া গেল। এখন লোকে বুঝিল যে, পেশী অপেক্ষ ফুসফুসের শক্তি বাড়ানোই হইতেছে স্বাস্থ্যবান হইবার একমাত্র প্রশস্ত উপায়। বিজ্ঞানসন্মত প্রণালী অনুযায়ী সাতার কাটা নিধুং স্বাস্থ্যলাভের পক্ষে যে শ্রেষ্ঠ উপায়, এখন একথা সকলেই স্বীকার করেন। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সব দেশেই সস্তরণ (swimming)—এই ব্যায়ামটির উপর বিশেষ ভাবে ঝোক পড়িয়াছে। নানা প্রকার ক্রীড়া-কৌতুক ও ব্যায়ামের মধ্যে সাতার কাটা উৎকৃষ্ট ব্যায়াম এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পক্ষে যেমন ভাল, তরুণ ও তরুণীদের পক্ষেও তেমনি ভাল এবং বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা পৰ্য্যস্ত সস্তরণ ব্যায়াম দ্বারা আনন্দলাভ করিতে পারেন । সকলের পক্ষে সমান রুচিকর বলিয়া পৃথিবীর সব দেশের লোকের কাছেই ইহার সমান আদর। তোমরা স্বাস্থ্যের বইতে পড়িয়া আসিতেছ— "কৃ পরিস্কার রাখা স্বাস্থ্য রক্ষা করিবার প্রধান উপায়। কারণ শৰীবের ত্বকৃ বা চামড়া যদি পরিষ্কার না থাকে, তাছা হইলে রোমকৃপসমূহ বন্ধ হইয়া যায় এবং তজ্জন্ত শরীরের যাবতীয় দুষিত ময়লা ঐ রোমকৃপের পথে বাহির হইতে না পাইয়া নানারূপ রোগের স্মৃষ্টি করিয়া থাকে। সাতার কাটিলে শরীবের ত্বক বেশ পবিস্কার থাকে এবং রোমকৃপসকলও উত্তমরূপে পরিস্কৃত হয়।’ আমরা যদি মুক্ত ও বিশুদ্ধ বায়ু সেবন না করি, তাহা হইলে আমরা সহজেই পীড়াগ্রস্ত হইয়া পডি । লস্করণ করিলে বিশুদ্ধ বায়ু শ্বাস-প্রশ্বাসের সহিত গ্রহণ করিবার স্থযোগ ঘটে। সস্তরণ একটি অতি উৎকৃষ্ট ব্যায়াম। কেন উৎকৃষ্ট ব্যায়াম বলিতেছি, তাহার উত্তর শোন । সাতার কাটিবার সময় আমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সম্যকৃ চালনা হয়, সেই চালনার ফলে শরীরের আভ্যন্তরীণ যন্ত্রসমূহ উত্তমরূপে ক্রিয়াম্বিত হইয়া সাধারণ স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি সাধন কবে। এমন কি নিয়মিত সাতার কাটার ফলে কুজ দেহও সোজা হইয়াছে। যাহাদের বুক বেশি চওড়া নয়, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ৰূর্বল তাহাঙ্গের সাতার কাটা একান্ত আৰশুক এমন কি পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিরাও সাতার কাটিয়া সময়ে সময়ে বিশেষ ফল লাভ করিয়াছেন। প্রতি দিন নিয়মিতভাৰে সাতার কাটিয়া অনেকে ছাপানি, সর্দি-কাশি এবং বাতের আক্রমণের হাত হইতে আরোগ্য লাভ করিয়াছেন। নিয়মিতভাবে মান করিলে ও সাতার কাটিলে মস্তিষ্কের ব্যাধি, চুল উঠা এবং মেদাধিক্য বা স্কুলম্ব দূর হইয়া শরীরের গঠন ৰেশ মুন্দর হয়। বুকের প্রসারতা বৃদ্ধি ও স্বন্ধের পেশীর পরিপুষ্টি এবং শক্তি অর্জন করিতে হইলে ছামাটানার মত সাতার কাটা আদর্শ ব্যায়াম ৰলিয়া বিবেচিত হয়। সাতার কাটিলে কেবল যে পেশী পরিপুষ্ট হয় তাহা নহে, ইহা দ্বারা শরীরের কমণীয় ভাবও সম্পূর্ণরূপে স্বরক্ষিত থাকে। উন্ট হামা টানিয়া চিৎ সাতার অভ্যাগ করিলে কটিদেশ হইতে নিম্নাঙ্গের যথেষ্ট পুষ্টি সাধিত হয়। এই ভাবে চিৎ সাতার, কাৎ সাতার ইত্যাদির দ্বারা উরুদেশ ও উরুসন্ধি পরিপুষ্ট হয়। দাড়টানার মত হাতের ভঙ্গী করিয়া সাতার কাটিলে হাতের কঙ্গীতে প্রভূত বল जश्*च श्झ । दिठिन्न ॰वंtि८ब्रह्म नॆां ङीष्टद्रव्र का १।। পরে বলিব । একটা কথা এই যে, ভর পেটে অর্থাৎ পেট ভরিয়া খাওয়া-দাওয়ার পর কখনও সাতার কাটিৰে না। অনেকের মনে এইরূপ ফুল ধারণা আছে যে, অনেকক্ষণ জলে থাকিলে বা সীতার কাটিলে সন্দি-কাশি প্রভৃতি রোগ হইবার সম্ভাবনা বেশি কিন্তু এই ধারণা যে ভ্রান্ত তাহ পরীক্ষিত সত্য। ফলতঃ স্বাস্থ্যৰান ও শক্তিমান হইয়া সুখী হইতে হইলে সাতার যে অস্ততম স্থলীর উপায়, তাছাতে এখন আর কোন সন্দেহ নাই। RX4 °