পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভারতী হয় এবং ইছাদের মধ্যে প্রয় অধিকাংশই আবহাওয়ার পরিবর্তন অতি আশ্চৰ্য্যরূপে পরিতে পারে। অনেক সময় বিজ্ঞানের আশ্চৰ্য্য ক্ষমতায় যে সকল যঙ্গের স্মৃষ্টি হইয়াছে, তাছাও ভুল সংবাদ দান করে কিন্তু এই সকল পশুপক্ষীবা তাহীদের সহজাত স্বাভাবিক জ্ঞানে প্রায সমস্ত সময়ই আবহাওয়ার সঠিক পবিচয় প্রদান করে। সুতরাং তোমব। যদি একটু মনোযোগ দিয়া ইছাদের গতি-বিধি লক্ষ্য কর, তাত হইলে দেখিলে, ইহাবা আবহাওয়ার কিরূপ সঠিক বিবরণ দান করে। আমাদের সকলের মধ্যেই অল্প-বিস্তর অতুভব কলিবাব শক্তি রহিয়াছে । আমলা হঠাৎ হধত একজন অপরিচিত লোককে দেখিম! ভাবি, 'ৰা:, এল সঙ্গে আমাব নিশ্চয়ই খুব ভাব হইবে। লোকটি তো বেশ ।” অথচ পূৰ্ব্বে কোন দিনও চহাব সঙ্গে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হয় নাই। এখানে আমাদেব মনের অনুভব-শক্তি বলিয়া দিল যে, লোকটি এই বকমেব হইবে। আবাল হলত কাছাকেও দেখিযা আমাদেব একেপালেই ভাল লাগিল না। এবং সেই ক্ষেত্রেও আমাদের মনের অনুভব শক্তি আমাদের সেই কথাই জানাইয দিল। এইরূপ পশুপক্ষীদের মধ্যেও গছু ভৰ-শক্তি রহিয়াছে এবং এই শক্তি দ্বাবা তাহদেব মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই আবহাওয়াল পবিবৰ্ত্তন পুব ভাল ভাবে বুঝিতে পারে, যাহা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা একেবারে সাধ্যাতীত । এর কারণ নির্ণয কবাও খুব সোজা। মামুগ সব সময নিজ দেহকে বস্ত্রদ্ধাব। আচ্ছাদিত করিষা বাপে। স্বতরাং এই কৃত্রিম আবরণের ভিতব দিযা আমরা যাহা অতু তব করিতে পারি। না, পশু এবং পক্ষীরা তাহীদের রুমি আববণ-হীন-দেছে তাঙ্গ সহজেই উপলব্ধি করিতে পাবে। তোমরা শুনিলে আশ্চৰ্য্য হইবে যে অসভ্য বৰ্ব্বব জাতির আবহাওয়া সম্বন্ধে সুসভ্য মানব অপেক্ষ অধিক জ্ঞানবান। ইহার কারণ হইতেছে এই যে, এই সকল অসভ্য জাতির প্রকৃতির কোলে মাতুয এবং কত্রিম বসন-ভুষণেব প্রাচুর্য্য ইছ'দের প্রকৃতি হইতে বিচ্ছিন্ন কবিয়া দেয় নাই । সুতরাং প্রকৃতির নানা পরিবর্তন ইহারা পশুপক্ষীদের মত সহজাত অনুভব শক্তির বলে সহজেই বুঝিতে পারে। অসভ্য মাকুমদের কথা ছাড়িয়া, তোমাদের পশুপক্ষীদের আবহাওয়া সম্বন্ধে সাধারণ জ্ঞানের কথাই বলি। পশুপক্ষীরা সাধারণতঃ শুস্ক এবং সুন্দর আবহাওয়া, বৃষ্টি বা ঝড় হইবে কি না, ইহার পূৰ্ব্বাভাষ দিতে পাবে এবং সব চাইতে আশ্চর্ঘ্যের বিষয হইতেছে এই যে, ইহাদের মধ্যে যে সকল প্রাণী সৰ্ব্বাপেক্ষাণিকৃষ্ট, তাছারাই শুষ্ক ও সুন্দব আবহাওয়া কখন হইবে, তাহা ঠিক বলিতে পারে। তাহদের অপেক্ষ যাহার একটু বেশি উন্নত তাহারা বৃষ্টি হইবে কি না, তাহার ভবিষ্ণুৎ বাণী এবং পশুপক্ষীদেব মধ্যে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান যাহার, যেমন কুকুর বিড়াল এবং ঘোড়া কেবলমাত্র ইহারাই প্রবল ঝড এবং বজপাতের পূর্লাভাষ দিতে পারে। আর একটি জিনিস লক্ষ্য করিবার বিষয়—এই সকল পশুপক্ষীরা যে ঝড়-বৃষ্টিব পূৰ্ব্বাভাষ দেয়, তাছা শীত অপেক্ষা গ্রীষ্মকালেই বেশি ঠিক হয়। স্বতবাং তোমরা যদি পশুপক্ষী দেখিযা আবহাওয়া নির্ণব কবিবাব ইচ্ছা কব, তবে গ্রীষ্মকালেই তাহা আবম্ভ কবিও। সরীস্বপ এবং কীট-পতঙ্গেরাই পবের দিন শুষ্ক বা স্বন্দর আবহাওয়া হইবে কি না, তাছার সর্বাপেক্ষা সঠিক বিবরণ দান করিতে পারে। যদি সন্ধ্যাবেলা দেখিতে পাও ঝিঁঝি পোকা উড়িতেছে কিংবা মশার বাঁকি দল বাধিয়া বাতাসে কিংবা গাছের নীচের অন্ধকারে ঝোপে ঝাড়ে উড়িতেছে, তাহা হইলে পরদিন যে বেশ ভাল দিন হইবে, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ থাকিও । এই নিশ্চয়তার কারণ হইতেছে এই যে, বাতাসে জলকণা থাকিলে কীট-পতঙ্গের তাহাতে উড়িবার সুবিধা পায় না, কিন্তু শুষ্ক আবহাওয়ায় সহজেই উড়িতে পারে। সেক্সপিয়র এই বিযয় লক্ষ্য করিয়াছিলেন এবং তিনি তাহার 'Comedy of Errors' ato afforts লিখিয়াছেন— “When the sun shines, let foolish gnats make sport ; But Creep in Crannies, when he hides his beams.” কীট-পতঙ্গদের ক্ষুদ্র পাথায় পক্ষীদের মত তৈলাক্ত পদার্থ নাই। ঐ তৈলাক্ত পদার্থই কিন্তু পার্থীদের বর্ষাতির কাজ করে। তাহা নাই বলিয়াই কীট-পতঙ্গালি বৃষ্টি হইলে উড়িতে পারে না। २**७