পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i क्रपटऋ*=न >iाब्ष-e→खौ काव्त्र-डन কুমড়ার খোসা—খাইতে বসিয়া দুঃখে কষ্টে চোখ দিয়া জল আসে, খাওয়া হয় না— কিছু ফেলেন কিছু খান, এইরূপে দিন যায়। একদিন ছাগল পাওয়া যায় না, খুল্লন ভয়ে অস্থির, এমন সময়ে কে বলিল, "চণ্ডীপূজা কর, দুঃখের অবসান হইবে।” খুলনা চণ্ডীপূজা করিলেন, চণ্ডী তুষ্ট হইয়া বর দিলেন-ছাগল পাওয়া গেল। খুল্লন আর কোন বর লইলেন না। “মাগো আর কিছু চাই না, শুধু তোমার চরণে, যেন আমার মতি থাকে ” চণ্ডী এদিকে লহনাকে স্বপ্ন দিলেন, লহন ভয়ে খুল্লনাকে ঘরে আনিয়া উচিতমত আদর-যত্ন করিতে লাগিল ; ধনপতিকে স্বপ্ন দিলেন, ধনপতি ত্ববায় গুহে ফিরিলেন। তাহার প্রবাসেব কষ্ট দুব হইল, সঙ্গে সঙ্গে খুল্লনার ছদিনও কাটিল। দেবসভায় কালীয়দমন নৃত্য ; দেবগণ মুগ্ধ হইয়া মালাধরের নৃত্য দেখিতেছেন। সকলে তুষ্ট হইযা মালাধরকে নানা অলঙ্কারে পুরস্কৃত করিলেন, পুরস্কারের নানা অলঙ্কারের মধ্যে শিবের দেওযা হাডের মালা দেখিয়া মালাধর হাসিলেন। শিব তাহাতে রুষ্ট হইয়া শাপ দিলেন, মালাধর পৃথিবীতে আসিয়া খুল্লনার উদরে জন্ম লইলেন। র্তাহাব নাম হইল, শ্ৰীমন্ত। শ্ৰীমস্তের জন্মের পূৰ্ব্বে ধনপতি র্তাহার আত্মীয় কুটুম্ব সকলকে প্রীতিভোজন করাইবার উদযোগ করেন। কিন্তু খাইতে বসিবার পূর্বে সকলে গোলমাল করিয়া উঠে ; বলে যে, খুল্পনা যতদিন ছাগল চরাইয়াছে, ততদিন সে কি ভাবে ছিল কে জানে! সে যে তোমার ঘরে থাকার মত তাহা প্রমাণ করিতে হইবে, পরীক্ষা করিয়া দেখাইতে হইবে। ভাল হইলে তাহার হাতে খাইব, না হইলে খাইব না, তুমিও তাহাকে তাড়াইয়া দিবে। তখনকার দিনে কে - २२२> -- M-- ভাল, কে মন্দ, তাহা পরীক্ষা কারবার জন্য নানারূপ ব্যবস্থা ছিল। সেই ব্যবস্থামত নূতন ঘটে এক বিষধর সপ আনা হইল, সে সপের গর্জন যে শোনে তাহারও ভয হয় ; ঘটের মধ্যে ধনপতি সোনার আংটী ফেলিয়া দিলেন। খুল্লন সাতবার সেই আংটা উঠাইলেন, সাপ তাহার কোনও ক্ষতি করিল না। তাহাতেও হইল না। লোহার সাবল আগুনে পোডাষ্টয়া খুল্লনাৰ সামনে রাখা হইল, কামাব আমিফ1র্তাহার হাতে সেই লাল ডগ ডগে সাবল দিল, খুল্লনা ভক্তিভরে চওঁীকে প্রণাম করিয়া সাবল লইলেন, সাবল হাতে ঘুরিয়া আসিয়া খড়ের গাদায ফেলিলেন, খড় পুডিয়া গেল—তাহার কিছুষ্ট হইল না। শেষে খুল্লনাকে জতুগৃহে দরজা বন্ধ করিয়া আগুন দেওয়া হইল। আগুন আকাশ ছু ইল ; সকলে মনে করিল, খুল্পনা নিশ্চয়ই এবার পুড়িয়া মরিবেন, কিন্তু খুল্পনার কিছুই হইল না। এসকলই চণ্ডীর মাহাত্ম্য। এদিকে রাজবাড়ীতে চন্দন ফুরাইয়াছে, ধনপতিকে চন্দন আনিতে সিংহল যাইতে হইবে। যাওয়ার সকল আয়োজন শেষ, লহনা আসিয়া স্বামীর কাছে লাগাইলেন খুল্লন যেন কোন দেবতা না অপদেবতার পূজা করিতেছেন। শিবের ভক্ত ধনপতি আর কাহাকেও মানেন না ; সাধুর যাত্র ভঙ্গ হইল, তিনি আসিয়া খুল্লনাকে উৎপীড়ন করিলেন, ফলে চণ্ডীর রোষ হইল, যাত্রার সময় শুভ হইল না—অমঙ্গলের মধ্যেই তিনি যাত্রা করিলেন। সাত ডিঙ্গ লইয়া যখন তিনি মগরাতে আসিয়া পৌছিলেন, তখন ঝড়ে তাহার ছয় ডিঙ্গা জলে ডুবিল। এক ডিঙ্গায় সওদাগর সমুদ্রে আসিয়া পড়িলেন, শ্ৰীক্ষেত্র ও সেতুবন্ধ দেখিয়া কালীদহে পৌঁছিলেন। সেখানে মুন্দর দৃশু—দহের মধ্যে পদ্মের উদ্যান-সারস সারসী, খঞ্জন খঞ্জনী, ডাহুক ডাহুকী, সেখানে কমলাসনে ---