পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভগৱতী - অপরূপ এক সুন্দরী,—বাম হস্তে গজরাজকে ধরিয়া তাঙ্গকে গিলিতেছেন । চারিদিকে বিদ্যাধরীদের নৃত্য! এই দৃশ্ব ধনপতি শুধু দেখিলেন, তা তার সঙ্গী আর কেহ দেখিতে পাইল না। সিংহলের রাজসভায় তাহার পথের এই বিবরণ কেহ বিশ্বাস করিল না— র্তাহাকে সকলে বন্দী কবিয কালীদহে লইয়া চলিল, সত্যই কমলে-কামিনী দেখা যায় কি না পরীক্ষা কবি বাব কন্স। কারাগারেও চণ্ডী তাঙ্গাকে স্বপ্নে দেখা দিয়া বলিলেন, ‘এখনও যদি ভবানীকে এক মনে পূজা কর তবে বাচিযা যাইবে. আমার দেখা পাইবে ।" কিন্স ধনপতি শিবেবই ভক্ত ছিলেন, অন্য দেবদেবীর পূজা করিতে ৰাজী চক্টলেন না—ভবানী তাহার কাছে তখন ডাকিনী । ফলে ধনপতিৰ অশেষ দুৰ্গতি হইল, ধনসম্পত্তি, লোকলস্বৰ সব হ:রাষ্টলেন, তাহাকে কারাগারে পচিতে হইল । এদিকে শ্ৰীমস্তের জন্ম হইয়াছে। ছেলেবেলায শ্ৰীমন্ত খেলিতেছে। তখনকাব দিনে কষ্ণচরিত ছিল খেলার উপদান। কেহ অঘাসুর হইল, কেহ বছর হইল, কেহ বা শ্ৰীকৃষ্ণ সাজিল । আবার কেহ যশোদা সাজিল, কেহ বালক কৃষ্ণ সাজিযা বাধা পডিল। শ্ৰীমন্ত যথারীতি লেখা-পড়া শিখিল, কিন্তু একদিন গুরুব সহিত বিবাদে মনে বড় আঘাত পাইল, মাকে কোনও প্রকারে রাজী করাইয়। সিংহল যাওয়ার অনুমতি আদায় করিয়া লইল । যেমন অনুমতি পাওয়া, অমনি যাত্রার ব্যবস্থা, আর দেরী নাই । অত শীঘ্ৰ ডিঙ্গা ভৈয়ারী করে কে ? চণ্ডী স্বয়ং বিশ্বকৰ্ম্মাকে পাঠাইলেন, বিশ্বকৰ্ম্মাই তো কারিগরদের গুরু। হনুমান বীর বিশ্বকৰ্ম্মার সাহায্য করিলেন, রাতারাতি সাতডিঙ্গা অনায়াসে তৈয়ারী হইল,—মধুকর, রণজয়, ৰণভীমা, ছিল্লোলা, স্বর্ণমালা, তিরামুখী, চন্দ্রকলা । S&○・ cनौकान्नड़े दा नttभद्र दांशाब्र क७ ! চণ্ডীপূজা করিয়া কত উপদেশ পুত্রকে বিদায় দিলেন। শ্ৰীমন্ত যখন মগরায়, তখন বড় জলঝড় হইল। গঙ্গাসাগরে তুর্গম শ্ৰীমন্ত মাতার উপদেশ মনে করিয়া দুর্গ স্মরণ করিল, বিপদ কাটিয়া গেল । পিতার মত শ্ৰীক্ষেত্র, সেতুবন্ধ দেখিয়া বণিক পুত্র কালীদহে আসিয। কমলে কামিনীকে দেখিতে পাইল । পিতার খুল্লনা ग्निग्न মতই মুগ্ধ হইল,—কিন্তু প্রথমে তো সিংহলে \ গিয়া পিতাৰ সন্ধান কৰিতে ইষ্টবে। . সহর কোটালের ভাল মানুষ নহে, সেব লেও তাহাঁদের দুনাম ছিল,—কোi 1ল নানার প প্রশ্ন কবিয়া শ্ৰীমন্তকে দলিল, “তুমি যদি সত্যই সাধু তবে অকাতরে তোমাব এই দামী টোপরটি জলে ফেলিযা দাও দেখি ” শামস্ত তাত ই কবিল, অন্তরীক্ষে চণ্ডী তাঙ্গা দেখিতে পাইলেন এবং তাহা লঙ্কয়া খুল্লনার কাছে পৌঁছাষ্টয়া দিলেন। সিংহলরাজের নিকটে গিয়া আবার সেই কমলে কামিনীর কথা! শ্ৰীমস্তের কথা শুনিয়া রাজা হাসিলেন। সাধুপুত্রের রোখ চাপিল, সে বলিল,—“আচ্ছা, আমার সঙ্গে এস, যদি সত্য না হয় তবে আমার ধনরত্ন লুটিয লইও, আর দক্ষিণ মশানে আমার প্রাণ বধ করিও।” রাজা বলিলেন, আর যদি সত্য হয় তো রাজকন্যা আর অৰ্দ্ধেক রাজত্ব।” সকলের সামনে এমনি একটা অঙ্গীকারপত্র স্বাক্ষরিত হইল। সকলে নির্দিষ্ট স্থানে গেল, কিন্তু কোথায় সেই কমলে-কামিনী! রাজা রাগ করিয়া কোটলের হাতে শ্ৰীমন্তকে দিলেন, দক্ষিণ মশানে তাহার প্রাণ বধ হইবে। মিষ্ট কথায় কোটালকে তুষ্ট করিয়া ঐমস্ত স্নানাদি সারিয়া লইল । পিতামাতার তপণ করিয়া হঠাৎ আঁচলে চণ্ডীর প্রসাদী নিৰ্ম্মল দেখিয়া আসিবার সময় মায়ের উপদেশ মনে পড়িল, ---