পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| f_iஅ.குt ன் م۔ م۔م۔م۔م۔ مم--م--م۔اے۔ ۔ ۔ --ممتمم নদীর মোহনায় সমুদ্রের মুখে সে সমুদয় বন্দর অবস্থিত ছিল । ভারতবর্ষের উপকূলে উপসাগর বেশি নাই। পশ্চিম দিকে সিন্ধু নদের মোহন হইতে কিছুদূরে কাথিওয়ার একটি উপদ্বীপ। এই উপদ্বীপের উত্তরে কচ্ছ উপসাগব । এই উপসাগর অগভীব—ইহাতে অতি অল্প জল আছে। দক্ষিণে কাস্বে উপসাগৰ । এই যে সমুদ্রেব কথা বলিলাম, প্রাচীন কালে সমুদ্র ভারত পষেব তেমন কোন উপকাবে লাগে নাই । সেকালে ভারতবর্মের যে সকল বাণিজ্য-তরী দেশ-বিদেশে যাতায়ত করিত, তাঙ্গার সঠিত বৰ্ত্তমান কালের অর্ণবপোতের তুলনাই ঠাইতে পারে না। প্রায পাচশত বৎসর কাল হইতে ভারতবর্ষের লোকের সহিত সমুদ্র-পথ দিয়া পৃথিবীর অন্যান্য জাতির সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছে এবং ব্যবসায়-বাণিজ্য চলি , তছে । অষ্টাদশ শতাব্দীতে পর্তুগীজ জাতি ভৰতবর্ষে আসিয়াছিল। তাহাদের পর একে একে ওলন্দাজেব, ফরাসী ও ইংবাজের এই জলপথ দিয়াচ ভার বর্ষে আসিয়াছিলেন। তোমাদের কাছে হিমালয় পৰ্ব্বতের কথা বলিয়াছি। উত্তর দিকে হিমালয়ের মত ছর্ভেদ্য পৰ্বৰত শ্রেণী থাকায উত্তর দিক দিয়া ভারতের সর্কিত কোন জাতির ব্যবসায়বাণিজ্য লা সংবাদ আদান-প্রদান করা ও চলা-ফেরা বড় সহজ ছিল না। ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত হইতে যাহাতে কোন প্রবল-জাতি এদেশে আসতে না পাবে, সেজন্য ত্রিটিশ রাজশক্তি পেশোয়াব ও কোয়েটায দুইটি স্বধৃঢ় দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়াও সৈন্য স্থাপন করিযী দেশটিকে সুরক্ষিত করিয়াছেন । এই সকল অত্যুচ্চ পর্বত শ্রেণীর মধ্য দিয়া যে পথ আছে তাহাকে গিরিসঙ্কট (pass) বলে। খাইবার fosłoś (Khyber pass) s oss oth -- (Tochi pass) দিয়া আফগানিস্থানে যাওয়া যায। উহার দক্ষিণে রহিয়াছে গোমাল গিরিপথ (Gomal pass)। তাছাড়া বোলান, জালাপ্ল গিরিপথ দুইটিও উল্লেখযোগ্য। এই সব গিরিপথে বেলুচিস্থানে যাওয়া যায়। অতি প্রাচীনকালে ইরাণ ও তুরাণের অধিবাসীরা এই পার্বত্য পথেষ্ট ভারতবসে প্রবেশ করিযাছে । সিংহল ও ব্রহ্মদেশ L সিংগুল বা লঙ্কা দ্বীপ ভৌগোলিক হিসাবে ভারতবর্ষেব অতি নিকটে অবস্থিত হইলেও ইহাকে ভারতেব অংশ ললিয়। মনে করা হয না। প্রাচীনকালে ভারতের সঠিত ইহার সম্বন্ধ থাকিলেও বর্তমান হাষ্ট্ৰীয় হিসাবে উহ। ভারত-সম্রাজ্যেব বর্হিভূত। ভাৰতবর্ষেব বড়লাট বা ভাবত-সচিলের শাসনসম্পর্কে ইতাব সহিত কোন ও সম্বন্ধও নাই । ব্ৰহ্মদেশ সংযুক্ত থাকিলেও ভৌগলিক হিসাবে কিংবা অধিবাসিগণের জাতির দিক দিয়া ইঠার সহিত ভারতের সম্বন্ধ অতি অল্প । ধৰ্ম্মের দিক দিয কিন্তু ব্ৰহ্মদেশের উপর ভারতের প্রভাব বিদ্যমান আছে। ভারতবর্ষের প্রাকৃত্তিক বিভাগ ভারতবর্ষকে ব্রহ্মদেশ ছাড়িয়া দিলে প্রধানত: তিন ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। উত্তর দিকের পর্বত্য ভূভাগ । ভারতবর্ষের উত্তরে হিমালয় পর্বতশ্রেণী দুর্ভেদ্য প্রাচীরের ন্যায় দাড়াইযা আছে। কবি কালিদাস হিমালয় পর্নাতকে ‘নাগাধিরাজ' এবং পৃথিবীর মানদণ্ডস্বরূপ বলিয়া বর্ণন করিয়াছেন। হিমালয়ের শোভা ও সৌন্দর্য্য অতুলনীয়। কত কবি, কত বৈজ্ঞানিক যে হিমালয়ের সৌন্দর্য্য ও বিবিধ সম্পদ সম্বন্ধে বর্ণনা করিয়াছেন, তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না।—এই পৰ্ব্বতশ্রেণীর -- ՀՀ8Ն ·回