পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*---------- সান্ধিবিগ্রহিকের নাম ছিল বীরসেন, ইনিই শিবপূজার নিমিত্ত উদয়গিরিতে একটি গুহা নিৰ্ম্মিত করাইয়াছিলেন। বীরসেন নিজেকে “অস্বয়প্রাপ্তসচিবা” বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন অর্থাৎ তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে সচিব-পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। বীরসেন রাজাকে কাচার সহিত যুদ্ধ করিতে হইবে বা কাহার সহিত সন্ধি করিতে হইবে— এই বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। ইহাই ছিল जक्रि७िोश्tिकन्न कर्डदा । ন্যায়বিভাগের উচ্চতম পদাধিকারীর নাম ছিল মহাদগুনায়ক। পুলিশের উচ্চতম কৰ্ম্মচারীর নাম ছিল ‘দওপাশাধিকৃত' । সাধারণ পুলিশের লোকের নাম ছিল ‘দণ্ডপাশক’ , ‘চোঁরোদ্ধরণিকের' কর্তব্য ছিল চোর ধরা । শাসনের সুবিধাব জন্য গুপ্তসামাজাকে কতিপয় ছোট বড় ভাগে বিভক্ত করা ફButfફ્રન , છાક કાનજીનિtજ ‘કૃષ્ક્રિ’ ના হইত ; ভুক্তি'র শাসককে ভোগিক ‘ভোগপতি’, ‘রাজস্থানীয় গোপ্তা", "উপরিকমহারাজ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হইত। এই পদে বিশেষ করিয়া রাজপুত্রদের নিযুক্ত করা হইত। একটি ভুক্তিতে অনেকগুলি বিষয় অন্তৰ্ভুক্ত থাকিত। বিষয়ের শাসনকৰ্ত্তার নাম ছিল বিষয়পতি। এই বিষয়ুপতিকে রাজ্যশাসন সম্বন্ধে সাহায্য করিবাৰ নিমিত্ত একটি সমিতি থাকিত। এই সমিতির সদস্য হইতেন প্রথম বা মুখ্য কায়স্থ অর্থাৎ লেখক, নগরশ্রেষ্ঠ, সার্থবাহ সওদাগর ইত্যাদি। বিষয়ের নীচেই ছিল গ্রাম। গ্রামের শাসন গ্রামিকের অধীনে থাকিত । "গ্রামিক’ ‘পঞ্চমগুলী’ অর্থাৎ পঞ্চায়েতের পরামর্শানুসারে গ্রামের শাসন করিতেন। গ্রামের মাতববর প্রজাদিগকে "মহত্তর' বলা হইত। ইহঁরা বয়োবৃদ্ধ হইতেন ও গ্রামের শাসনপ্রবন্ধ কিরূপ च्चािथs-चलांबल्लप्डौ হওয়া উচিৎ সে বিষয় অনেক পরামর্শ দিতেন। তোমরা এখন বুঝিতে পারিতেচ যে গুপ্তকালীন শাসনব্যবস্থা কিরূপ সুগঠিত ছিল। চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্যের সময়ে সংস্কৃত সাহিত্যের চরমোন্নতি হইয়াছিল। এইরূপ প্রবাদ আছে যে মহাকবি কালিদাস উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিতোর সভার নবরত্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন। অবশ্য এই প্রবাদের মূলে কিছু সত্য থাকিলেও ইহা সৰ্ব্বগা গ্রাহ্য হইতে পারে না, কারণ ইতিহাসের দ্বারা প্রমাণ হয় যে নয়জন | বিদ্বান সকলেই সমকালীন হইতে পারেন না—কারণ নবরত্বের মধ্যে জ্যোতিষের আচার্য্য বরাহমিহিরেরও নাম আছে। তিনি তাহার পঞ্চসিদ্ধাস্তিকা নামক গ্রন্থ ৫০৫ খুষ্টাব্দে সমাপ্ত করিয়াছিলেন। কিন্তু চন্দ্রগুপ্তের ধাজ্যপাল ৪১৯ খৃস্টাব্দের কাছাকাছি সমাপ্ত হইয়াছিল। তাত ১ইলেও প্রবাদটি একেবারে ভিত্তিহীন বলিয়া অগ্রাহ করা যায না। রাজতরঙ্গিণীকার কলণ লিখিয়াছেন যে শকারি বিক্রমাদিত্য বিদ্বানদিগের আশ্রয়দাতা ছিলেন। তোমাদিগকে পুর্বেই বলিয়াছি যে চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয় শকদের শত্রু ছিলেন ও তিনি বিক্রমাদিত্য উপাধিও ধারণ করিয়াছিলেন। অবশ্ব বিক্রমাদের প্রতিষ্ঠাতাও একজন শকারি বিক্রমাদিত্য ছিলেন ; কিন্তু কালিদাসকে এই বিক্রমাদিত্যের সমকালীন মনে করিবার পক্ষে বাধা অনেক। স্বপ্রসিদ্ধ পণ্ডিতদের মতে কালিদাস দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সভারই উজ্জ্বল রত্নস্বরূপ ছিলেন। কালিদাস রঘুবংশ নামক কাবো দিগ্বিজয় বর্ণনা করিয়াছেন। আবার হরিষেণ সমুদ্রগুপ্তের দিগ্বিজয়ের বর্ণনা এলাহাবাদের গুস্তলিপিতে করিয়াছেন এতহভয়ের মধ্যে যথেষ্ট সাপ্ত ২৩২৩ - *