পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्राञ्पङ्क छौ=वञ्म আচাৰ্য্য কমলশীল—যাহার নাম ইতঃপূর্বেই মগধ হইতে সর্বত্র প্রচারিত হইয়াছিল— তিব্বতে আসিয়া চৈনিক বৌদ্ধ মত খণ্ডন করিয়া ভারতীয় ধৰ্ম্মের প্রাধান্য স্থাপন করেন। খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীতে তিববতরাজ রপ্পচান বাঙ্গল হইতে বহু বৌদ্ধ পণ্ডিত তাহার রাজধানীতে লইয়া গিযাছিলেন । ই-হারা অনেক সংস্কৃত বৌদ্ধগ্রস্ত তিববতীয় ভাষায় অনুবাদ করিয়াছিলেন। ই তাদেব মধ্যে শাস্তুরক্ষিত, পদ্মসম্ভব (উদয়নবাসা), দীপঙ্কর, তাতার ভ্রাতুষ্পপুত্র দানী, বিমলমিত্র, জিনমিত্র, মুক্তিমিত্র, স্বগতভ্র, দানশীল, সম্ভোগবজ, বিরোচন, মঞ্জঘোষ প্রভৃতি । ভাবত ইতিহাসের এই যুগই আমাদের সৰ্ব্বাপেক্ষ উদ্ভছল। বাঙ্গালী বৌদ্ধগণ যবদ্বীপে যাইয়া তথায় শ্রাবক সম্প্রদায়ের যে উন্নতি করিযtfছলেন, তাহ। ভারতীয় ধৰ্ম্মেৰ ইতিহাসে চিরস্মরণীয। বাঙ্গালী চীন ও জাপানে সাইয়া ধৰ্ম্ম, স্থপতি, ভাস্কৰ্য্য ও চিত্রকলার নেতৃত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন । জাপানের ভরিউজি মন্দিরের বৌদ্ধ পুরোহিতগণ শাস্ত্রগ্রন্থ লিখিবার সময় যে অক্ষর ব্যবহার করেন, ৩াহ1 জাপানী চিত্রাক্ষর নহে, তাহা পাল ও সেনরাজগণের সময়কার প্রাচীন বঙ্গাক্ষর । আমাদের দেশ এক হাজার বা বারশত বৎসর পূৰ্ব্বে বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্মের দস্তুর মত আড়ত ছিল। কিন্তু সে সম্বন্ধে আমরা একেবারে অজ্ঞ ও উদাসীন। এসিযার নানা স্থান হইতে যদি আমরা পুরাতত্ত্ব সন্ধান করি, তবে বাঙ্গালীর অতীত গৌরবের অনেক কথা আবিষ্কৃত হইতে পারে। পণ্ডিত বীৰ্য্য সিংহ বীর্য সিংহ বিক্রমশীলার মঠের একজন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ছিলেন। সেখানে তিনি কয়েকখানি সংস্কৃত ভাষায় লিখিত বৌদ্ধ গ্রস্থের তিববতীয ভাষায় অনুবাদ করেন । যাহাতে সংস্কৃত ভাষায় লিখিত বৌদ্ধ গ্রন্থগুলি তিববতীয় বৌদ্ধদের মধ্যে প্রচারিত হয়, এই জন্যই তিনি ঐ গ্রন্থগুলির অনুবাদ করিয়াছিলেন । তিনি যে সব বই তিববতীয়দের জন্য অনুবাদ করেন. তাতার মধ্যে “মার মনে নির্ণযাণকাৰ নাম সংগীতি”, “কায় বাক-চিত্ত স্থ প্রতিষ্ঠা নাম” প্রভৃতি প্রধান । এইরূপ অনুবাদে তিনি উপাধ্যায দীপঙ্করের সাহায্য গ্রহণ করিযাছিলেন । তাহা হইলে আমরা অনুমান করিতে পারি যে, পণ্ডিত বীৰ্য্য সিংহের আবির্ভাবকাল ৯৮০-১০৫৩ খৃষ্টাব্দের মধ্যে পড়ে। পণ্ডিত বীৰ্য্য সিংহ তিববতে গিয়াছিলেন কি না, তাহা আমরা বলিতে পারি না। যে বইগুলি বীৰ্য্য সিংহ বা অন্যান্য ভারতীয় ও তিববতীয় পণ্ডিতেরা তিববতী ভাষায় অনুবাদ করিয়াছিলেন, তাতার সংস্কৃত ভাষার লিখিত মূল গ্রন্থ প্রাযষ্ট নষ্ট হইয় গিয়াছে। যাহা কিছু বাকী আছে, তাহা তিববতীয় ভাষাতেই আছে। তিববতীয় ভাষায় অনুদিত গ্রন্থগুলি যদি সংস্কৃত বা বাঙ্গালা ভাষায় অনুবাদ করা যায়, তাহা হইলে বৌদ্ধ সংস্কৃত সাহিত্য যে কত বড় বিরাট ছিল, তাহ অনুভব করা যাইতে পারে। Ro 80. -- [D] l