পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

来...→→→ →→→ → বাকলামুর কথা নানাস্থানে প্রচারিত হইয়াছিল, বঙ্গদেশেও তাহা প্রচারিত হয়। জৈনধৰ্ম্মও প্রাচীনকাল হইতে ভারতবর্ষে ছিল। অহিংস ইতাদের পরম ধৰ্ম্ম । জৈনদিগের শেষ প্রচারক মহাবীর বুদ্ধদেবের সমসাময়িক। জৈনধৰ্ম্ম এখনও ভারতের অনেক স্থানে রহিয়াছে। বাঙ্গলার মুর্শিদাবাদ, কলিকাতা প্রভৃতি স্থানে জৈনগণ বাস করিতেছেন। শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর নামে তাহাদের ছুইটী সম্প্রদায় আছে। বৌদ্ধ ও জৈন ধৰ্ম্ম প্রবল হইয়৷ উঠিলেও, হিন্দুধৰ্ম্ম চিরদিনই এদেশে বিদ্যমান আছে । তাম্রলিপ্ত বন্দর প্ত প্রদেশের কথা তোমরা পূৰ্ব্বে শুনিয়াছ । এখানকার লোকেরা কুরুক্ষেনের যুদ্ধে উপস্থিত হইয়াছিল। এইদেশ সমুদ্রঠীরবর্তী। ইহার প্রধান নগর তামলিপ সমুদ্রের উপকূলেই অবস্থিত ছিল। ইঙ্গ একটা প্রসিদ্ধ বন্দর নামেই অভিহিত হইত। বঙ্গদেশের মধ্যে তামলিপ্তের ন্যায় আর প্রসিদ্ধ বন্দর ছিল না। বৌদ্ধযুগে তামলিপ্ত অত্যন্ত বিখ্যাত হইয়া উঠিয়ছিল। বাঙ্গালীর যে জাহাজ নিৰ্ম্মাণ করিতে পারিত ও জাহাজে চড়িয়া দেশবিদেশে যাইত, সে কথা তোমাদিগকে বলিয়াছি। কেবল তাতাই নহে, বাঙ্গালীরা সেই সকল জাহাজে বাণিজ্য দ্রব্য ও দেশ বিদেশে পাঠাইত ও তাঙ্গ লইয়। আসিত। তাম্রলিপ্ত বন্দর হইতে সেই সকল জাহাজ সমুদ্র-যাত্রা করিত, আবার অন্যান্য দেশের জাহাজও তাম্রলিপ্তে আসিয়া উপস্থিত হইত। তাহারা অন্যান্য দেশের দ্রব্যাদিও বহন করিয়া আনিত এবং বাঙ্গলা হইতে অনেক দ্রবাদি লইয়া যাইত। এইরূপে বাঙ্গলার সহিত অনেক দেশের বাণিজ্য দ্রব্যের বিনিময় جام جهان به سم. হইত। সিংহলের সহিত বাঙ্গলার বাণিজ্য দ্রলোর বিনিময় সৰ্ব্বদাই ঘটিত । সিংহলের ন্যায় ভারত মহা-সাগরের স্বমাত্রা, যব, পলী প্রভূতি দ্বীপেও লাঙ্গলার বাণিজ্য দ্রব্য তাম্রলিপ্ত হইতে জাহাজ বোঝাই হইয়া চলিয়া যাইত। ঐ সকল স্থান হইতে তাম্রলিপ্তে মণিমুক্তাদি ও অসিত। বাঙ্গলার সূক্ষা কার্পাস বস্থ গ্রীস, রোম প্রভৃতির বণিকের ক্রয় করিবার জন্য আসিতেন। ইউরোপের সন্ত্রান্ত বংশীয় নরনারীরা সেই বস্তু আদরের সহিত লালহার করিতেন। গ্রীস ও চীনদেশীয় ভ্রমণকারীরা তামলিপ্ত বন্দর সম্বন্ধে অনেক কথা লিগিয়া গিয়াছেন। তামলিপ্ত এক্ষণে আর লন্দর নহে । সমুদ্র তাহার নিকট ইষ্টতে অনেক দূরে সরিয়া গিয়াছে। তাম্রলিপ্তের বর্তমান নাম তমলুক। ইহা মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত। কর্ণসুবর্ণ রাজ শশাঙ্ক লঙ্গদেশ যে অনেকদিন শুষ্টতে মগপের পা বিহার প্রদেশের রাজাদের অধীন ছিল, সে কথা তোমরা জানিয়াছ । চন্দ্রগুপ্ত, অশোক প্রভৃতি মৌর্য্যবংশীয় রাজাদের পরে আরও কোন কোন বংশের রাজার মগধে রাজত্ব করেন। তাহার পর গুপ্ত বংশীয় রাজগণ প্রবল হইয়া উঠেন। ইহারা অনেক দেশ জয় করিয়াছিলেন। এই বংশের চন্দ্রগুপ্ত সমুদ্রগুপ্ত, স্কন্দগুপ্ত, প্রভৃতি রাজাদের অনেক কীৰ্ত্তির কথা শুনিতে পাওয়া যায়। গুপ্তবংশীয়েরা অনেক দিন ধরিয়া রাজত্ব করিয়াছিলেন। তাহারা হিন্দু ছিলেন। তাহাদের নামাঙ্কিত স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা হইতে তাহ বুঝিতে পারা যায়। ঐ সকল মুদ্রা দেশবিদেশে প্রচলিত হইয়াছিল। এখনও স্থানে স্থানে গুপ্ত বংশীয়দিগের মুদ্রা দেখিতে পাওয়া