পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

=बाटञ्ट्न्तान्त किठ८२r •• করিয়াছিল। অনেক দিন পর্যান্ত রামস্বামীর মন্দির শূন্য ছিল এবং কাশ্মীরবাসীরা গৌড় নীরগণের যশোগান করিত। কাশ্মীরের হারালক্ষী ললিতাদিতোর পুত্র জয়াপীড় সিংহাসনে আরোহণ করিয়াই কাশ্মীর হইতে এক বৃহৎ সৈন্যদল লইয়া দিগ্বিজয়ে বাহির হইয়াছিলেন। সেই সময়ে তাহার শ্যালক জজ কাশীরের সিংহাসন অধিকার করিয়া লসেন । জয়াপীড়ের সৈন্যগণ ক্রমে তাহাকে পরিতাগে করিতে আরম্ভ করে । তিনি অবশেষে অল্পমাত্র সৈন্য লইয়া প্রয়াগে উপস্থিত হন । পরে সেখান হইতে ছদ্মলেশে গৌড়দেশে আগমন করেন । সেই সময়ে জয়ন্ত নামে গৌড়দেশে এক রাজা ছিলেন। পৌণ্ড পদ্ধন তাহার রাজধানী ছিল। জয়াপীড় পৌণ্ড বদনে উপস্থিত হইয়া গুপ্তভাবে আসিয়া এক সিংহ হত্যা করেন। তাহাতে লোকে তাহার পরিচয় পায়। রাজা জয়ন্ত জয়াপীড়ের পরিচয় পাইয়া তাহার সঠিত নিজ কন্যা কল্যাণ দেবীর বিবাহ প্রদান করেন। জয়াপীড় কল্যাণ দেবীকে পাইয়া মনে করিয়াছিলেন যেন কাশীরের তারালক্ষী আলার ফিরিয়া পাইলেন। তিনি পঞ্চগৌড়ের রাজাদিগকে পরাজিত করিয়া শ্বশুর জয়স্তকে পঞ্চগৌড়েশ্বর করিয়াছিলেন। বাস্তবিক কল্যাণ দেলী যে জয়াপীড়ের পক্ষে কাশ্মীরের তারালক্ষী স্বরূপ হইয়াছিলেন তাহা বলিতে পারা যায়। জয়াপীড় কল্যাণ দেবীকে লইয়া কাশ্মীরে উপস্থিত হইলে তাহার শ্বালক জজ র্তাহার নিকট পরাজিত হইয়া নিহত হন। জয়াপীড় আবার কাশীরের সিংহাসন লাভ করেন। কল্যাণ দেবীর জন্য জয়াপীড়ের এইরূপ কল্যাণ হওয়ায় তাহাকে কাশ্মীরের হারালক্ষী মনে - F. 8-34 --- করা অসঙ্গত নহে । যে যুদ্ধক্ষেত্রে জয়াপীড় জয়লাভ করিয়াছিলেন, তথায় কল্যাণপুর নামে এক নগর স্থাপিত হয়। কোন কোন ঐতিহাসিক জয়াপীড়ের গৌড়বিজয় কাহিনী ইতিহাসমূলক বলিয়া স্বীকার করিতে প্রস্তুত নহেন। র্তাহাদের মতে জয়াপীড় রাজাচুত হইয়া গৌড়দেশে গিয়াছিলেন, কিন্তু তাহার গৌড়বিজয় কাহিনী কাল্পনিক। প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ভিন্সেণ্ট স্মিথ বলেন,—জয়াপীড়ের গৌড়দেশ গমনের কথা সম্পূর্ণরূপে কল্পনা-প্রস্থত । পঞ্চ ব্রাহ্মণ ও পঞ্চ কায়স্থের আগমন বঙ্গদেশে শূববংশ নামে এক রাজবংশের কথা জানা যায়। এই বংশের আদি বা প্রথম রাজা আদিশূব নামেই কপিত হইয়া থাকেন। তাহাকে পঞ্চগৌড়ের অধীশ্বর বলা হয়। কেহ কেহ কল্যাণদেনীর পিতা জয়স্তকে আদিশূর বলিতে চাহেন। কিন্তু সে কথা ঠিক করিয়া বলা যায় না। আমাদের দেশে এই কথা প্রচলিত আছে যে, আদিশূর রাজার সময়ে কান্তকুজ্জ বা কনোজ হইতে পাঁচজন ব্রাহ্মণ ও পাচজন কায়স্থ বঙ্গদেশে আসিয়াছিলেন । সে সময়ে এদেশে ভাল ব্রাহ্মণ ছিলেন না । নাহারা ছিলেন, তাহারা যাগ-যজ্ঞ করিতে জানিতেন না। সেইজন্য আদিশূর যজ্ঞ করিবার জন্য কাংকুক্ত হইতে পাচজন ব্রাহ্মণ লইয়া আসেন। তাহাদের সঙ্গে পাচজন কায়স্তও আসিয়াছিলেন। সেই পাচজন ব্রাহ্মণের নাম ভট্টনারায়ণ, "দক্ষ, ছান্দড়, শ্ৰীহৰ্ষ এবং বেদগর্ভ। আবার কোন কোন মতে তাহাদের নাম ক্ষিতীশ, মেধাতিথি লীক্তরাগ, সুধানিধি ও সৌভার। কেহ কেহ প্রথম পাঁচজনকে শেষের পাঁচজনের পুত্র বলিয়া থাকেন। ף אטא