পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতার গায়ে থাকে। মক্ষিক বা অন্য কোন ক্ষুদ্র প্রাণী ইহাদের উপর বমিলেই তাহার পেট, বুক, পাখা প্রভৃতি আঠায় আটকাইয়া শিশিরপঞ্জী যায় ; ছাড়াইতে যতই চেষ্টা করে ততই আরও জড়াইয়া পড়ে। এইরূপে ক্রমে দমবন্ধ হইয়া সে মারা পড়ে। ইতিমধ্যে হজমী কাৰ্য্য ४१ २* শিকার . আরম্ভ হইয়া যায় ও পাচক রসে ক্রমশঃই দ্রবীভূত করিয়া গাছ ধৃত প্রাণীকে পরিপাক করে । . যে দেশে এই গাছগুলি প্রচুর পরিমাণে জন্মে সেখানকার কৃষকের ইহাদের পাতা তাহাদের ঘরে ঝুলাইয়া রাখে। ইহাতে মাছি মশার উপদ্রব বহুল পরিমাণে কমিয়া যায়। কারণ এক একটী পাত বহু সংখ্যক মক্ষিকা ধরিতে পারে। আমাদের দেশে এই জাতীয় শিকারী গাছ না থাকিলেও লাল-ভেরাণ্ডা ও তামাক গাছের কাণ্ডের উপর বহুসংখ্যক গ্ৰন্থি থাকে যাহারা চটচটে রস নিঃস্তত করে। ইহাদের গায়ে হাত দিয়া দেধিও হাতে আঠা লাগিয়া যাইবে । আর লক্ষ্য করিলে দেখিতে পাইবে বহু পোক ইহাদের গায়ে আটকাইয়া মরিয়া আছে। এই গাছগুলি মাংস খাওয়ার জন্য প্রাণী শিকার করে কি না তাহা আজও সঠিক ভাবে জানা যায় নাই। তবে অনেকেই মনে করেন ইহারা আংশিক ভাবে মাংসাশী । শিকারী উদ্ভিদের কথা এইখানেই শেষ করিলাম, সারা পৃথিবীতে ইহাদের জাতি হিসাবে মোট সংখ্যা পাচ শতের কিছু উপর হইবে, পৃথিবীর সর্বত্রই ইহারা আছে।

r -- * -- **