পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:


মনে ধরিল। তিনি তখন পিতাকে সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলেন, “পিত:, আপনার জামার মধ্যে ছুরি ও রশি কেন ? পিতা এখন তার উদ্বেগু গোপন করিতে পারিলেন না। তিনি বললেন, "বাছা, গত রান্ধিতে আমি তোমাকে আল্লার উদ্দেশে কোরবাণী করিলার জন্ত স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হইয়াছি, তাই তোমাকে কোরবাণী কবিবার জন্য রশি ও ছুরিকা সহ এই নিৰ্জ্জন স্থানে আসিয়াছি।” এই বলিয় পুল্লস্নেতে দরদর ধারে অশ বিসৰ্জ্জন করিতে লাগিলেন। ইছমাইলও লালাকাল হইতেই পিতার ন্যায় পরম ভক্ত হইয়া উঠিয়াছিলেন। তিনি পিতাকে আশ্বাস দিয়া বলিলেন, “পিত: আশ্বস্ত হউন, আপনিই বলেন 'আল্লার উপর সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর করাই ইছলাম’। সুতরাং আমি অকুষ্ঠিত চিত্তে সেই মঙ্গলময় একমাত্র আল্লার উপর সম্পূর্ণরূপে আত্মসমপণ করিলাম। র্ততার আদেশানুসারী কার্য হউক।” এই বরিয়া তিনি শয়তানকে লক্ষ্য বরিখ পুনরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করিলেন। ইছলামের আদিগুরু হজরত ইব্রাহিম ও হজরং ইছমাইলের পুণ্যস্থতি রক্ষার জন্য এখনও ছাজাগণ উক্ত তিন স্থানে শয়তানকে লক্ষ্য করিয়া কঙ্কর নিক্ষেপ করিয়া থাকেন। অতঃপর মক্কা হইতে পূৰ্ব্বদিকে ছয় মাইল দূরে মীন নামক পাহাড়েব নিকটবৰ্ত্তী এক নিৰ্জ্জন উপত্যকায় পুলের হস্তপদ বন্ধনপুৰ্ব্বক, পুত্র-স্নেহ যাহাতে এই সৎকার্যোর প্রতিবন্ধক হইতে না পারে ওজন্ত তাহাকে মুক্তিকাভিমুখী করিয়া শোওয়াইয়া নিজ চক্ষু বস্ত্রাবৃত করত: পুত্রের গ্রীবাদেশে তীক্ষধার ছুরিকা দিয়া আঘাত করিলেন। ছুরিকা চৰ্ম্মভেদ করিতে পারিল না। দ্বিতীয়বার আবার সজোরে ছুরিকা চালনা করিলেন। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য! তাঙ্গুধার ছুরিকা গ্রীবার একট পশমও কাটিতে পারিল না। আল্লার আদেশ পালনে বাধা হইতেছে দেখিয়া ভক্ত প্রবর ইব্রাহিম রাগন্বিত হইল ছুরিকা দূরে নিক্ষেপ করিলেন। এদিকে পুল অপার হইয়া পিতাকে পুন:পুন: তাগিদ দিতেছেন। ইএাচিম চুবিকা আনিবার জন্ম চক্ষু খুলিয়া দেখিলেন, তীক্ষুধার ছুরি অদূরে পাছাড়ের গায়ে পড়িয়া পমাণ ভেদ করিয়া দ্বিখণ্ডিত করিয়াছে। আজিও মীন পাছাড়ে সেই দ্বিধাবিভক্ত পাষণখণ্ড प्रतिङ्गठ र ११ग्न प्रश्मिरथ् । श्छद्र९ रेंडशिग

    • - - - - - + +++

শিশু-ভারতী লজ্জিত বদনে আবার ছুরিকা হাতে লইয়৷ পূৰ্ববং চক্ষু আবৃত করিয়া পুলের গ্রীবায় আঘাত করিতে যাইবেন এমন সময় দৈবদেশ চইল, “ইত্ৰাছিম, তোমার কোরবাণী কবুল হইয়াছে। পুত্রকে আর কোরবাণী করিতে হইলে না। চক্ষু খেল, পুত্রের পরিবর্তে দুম্বা কোরবাণী বর ” হজরত ইব্রাহিম চক্ষু খুলিয়া যাহা দেখিলেম তাছাতে র্তাহার হৃদয় গভীর কৃতজ্ঞতার ভরিয়া উঠিল । নদী যেমন তার সমস্ত জলধারা সিন্ধুর চরণে ঢালিয় দেয়, হজরত ইব্রাহিমও আজ উছার হৃদয়ের এই অপৰিমেয় কৃতজ্ঞতার সলিল-ধারা, সমস্ত ভক্তি র, সমস্ত তার আধার, অসম আন্নার পারে, পরম আগ্রহে । bালিয়া দিবার জগু নদীর ষ্ঠায় ছেজার অপশ৩ । হইলেন। কোরবাণী করিয়া গুহে দিরিলেন। এই প্রথার অযুকরণ করথা আজিও ছাত্ৰীগণ জুল'জ নাসের § ००ठे, s»झे, •२६ ७ ४७झे ५{*** *ौमtभ ऐं Z মোছলেম জগং এই কয়দিন ধপির এই প্রাচীন প্রথহ্যায়ী কোর বাণ করিম থাকেন। কো-আনের বিধানত্বাধী প্রত্যেক সঙ্গতিপন্ন ব্যক্তির পক্ষে কোরবণ করা "ওয়াজেধ' । ৭ জনে মিলিয়া একটী গরু বা উট পোরবণা করিতে পালে কিন্তু ছাগল, মেষ, ছুম্বা প্রভৃতি প্রত্যেক ব্যক্তির জঙ্ক একটা করিয়া কোরপণ কবিতে হয়। কোরবাণীর পশুর মাংস দীন দরিদ্রদিগকে দান করিতে হয়। সুতরাং কোরবাণী দরিদের সেলার একটা উৎকৃষ্ট বিধান। বিদ্রের সেলাই ধৰ্ম্ম । শুধু পশুবলিই কোরধাণীর উদ্বেগু নহে। হজরত ইব্রাহিম শত শত উট কোরবাণী করিয়াছেন কিন্তু তাছা গৃষ্ঠীত হয় নাই। অবশেষে যখন স্বীয় প্রিয়তন পুত্রকে কোরবাণ করিতে উদ্যত হইলেন, ७५नड़े डेश कदूल श्रहेन। ३श् श्झे८ठ »8हे উপলব্ধি হয় যে পশুবলিই কোরবাণীর উদেশ নছে। মাচুষের অন্ততর উপাদান 'পশুদ্ধ'। এই পশুত্বকে কোরবাণ করাই কোরবাণীর মুখ্য উদেশু। স্বার্থই এই পশুত্ব। ক্রমবিবৰ্ত্তনের মধ্য দিয়া নিকৃষ্ট পদার্থ হইতে প্রাণীজগতের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট জীব মানবের উদ্ভব হষ্টয়াছে। এই মানুষের মধ্যে চন্দ্রের কলঙ্কবং পশুত্বরূপ যে কলঙ্ক বিদ্যমান রহিয়াছে, স্ৰষ্টার এই বাঞ্ছিত প্রাণী মানব, সেই কলঙ্ক হইতে २१९५ অত:পর পুত্র সমeিব্যাঙ্গারে দুম্বা ।

k