পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: কোরআন মধ্যবৰ্ত্তী স্থানগুলি এত অধিক উৰ্ব্বরা যে, বিনা পরিশ্রমে বা অতি অল্প পরিশ্রমে, এবং অল্প সময়ের মধ্যে অপর্যাপ্ত ফসল উৎপন্ন হইত। ইজরং আদম ও বিবি হাওয়া ক্রমে পূৰ্ব্ব-উত্তরাভিমুখে গমন করিতে করিতে এই উযর ক্ষেত্রে আসিয়া পড়িলেন ; এবং সেখানে জীবিক। অল্পায়াসগন্ধ দেখিয়৷ তথায় বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিলেন। ক্রমে তাছাদের বহু সগুণ-সস্তুতি জন্মগ্রহণ করিল। কিন্তু আল্লার ইচ্ছায় প্রত্যেকবারেই একটী পুত্র ও একটি কথা জন্মগ্রহণ কবিত। প্রথমবার ‘কাবিল' নামক একটী পুত্র ও আকৃলিম নাম্নী একটা কণ্ঠা, দ্বিতীয়বার হাবিলা’ নামক একটা পুত্র ও গাজ নয়। এটি কন্যা জন্মগ্রহণ করিল। এখনকার স্থায় তখন বহু জনসংখ্যা ছিল না ; সুতরাং বিভিন্ন পরিপারে পুল্লকপ্তার বিবাহের সুযোগ ছিল না। এই নিমিও সহোদর ভ্রাত ভগ্নীর মধ্যেই বিপাং-কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে ই ই ৩। চঞ্জরং অধম স্থির করিলেন, জ্যেষ্ঠ পুল কাবিলের সহিত গাজের এবং কনিষ্ঠপুত্ৰ হাবিলের সহিত আকলিমার বিধাই কাৰ্য্য সম্পন্ন করবেন। কিন্তু গাজ অপেক্ষ আকৃলিম অধিকতর রূপলাবণ্যবর্তা ছিলেন বলিয়। কাবিল গাজকে বিবাহ করিতে অস্বীকার করিল। মতাপিত। অনেক বুঝাইলেন। কোণই ফল হইল না। কাবিল আচল অটল। সুতরাং ধৰ্ম্মপ্রাণ অদিম, স্থায় বিচারের মালিক আল্লার উপরে ইছার মীমাংগার ভার অর্পণ করিতে মনস্থ করিয়া, পুত্ৰগণকে বলিলেন, “তোমরা মণি৷ পাছাড়ে কোরবাণী দাও ; যাহার কে রবণ স্বৰ্গীয় অগ্নিতে দুৰ্গীভূত হইবে, তাছার সহিত আকৃলিমার বিবাহ হইবে। উভয়েই মই আনন্দিত । প্রত্যেকেই মনে করিতেছে তাছার বোরবাণীই কবুল হইবে। কিন্তু পথভাবে আমি দেব, রথ ভাবে আমি মূৰ্ত্তি ভাবে আমি দেব-হাসে অস্থানী। উপদেশানুযায়ী মীন পাহাড়ে কোরবাণী দেওয়া হইল। কিন্তু আল্লার মহিমা মানববুদ্ধির অগম্য। হাবিলের কোরবাণী স্বগীয় অগ্নিতে দক্ষ্মীভূত হইল । অতএব হাবিলের সছিতই আকৃলিমার বিবাহ স্থির হইয়া গেল। (এই মীনা পাহাড়ে পরবর্তীকালে .* ++++++ হজরত ইব্রাহিম স্বীয় একমাত্র পুত্র হজরং ইছমাইলকে কোরবাণী করিতে উদ্ধত হইয়াছিলেন। এখনও হজের সময় হাজীগণ এখানে কোরবাণী করিয়া থাকেন। ) নির্দিষ্ট দিনে উদ্বাহ-ক্রিয়া সম্পন্ন চুইল। কিন্তু কালি অহুদিন প্রতিহিংসার আগুনে দগ্ধীভূত হইতে লাগিল। সে কেবল সুযোগ অন্বেষণ করিতে লাগিল কেমন করিয়া তাহর প্রতিদ্বন্দী, তাহার মুখের পথের বণ্টক দূরীভূত হইবে। প্রথম মামল। কূটবুদ্ধি তখনও তাচার হৃদয়কে সম্পূর্ণরূপে অধিকার করে নাই। কিরূপে যে তাছার পরম শত্রুর নিধন সাধন লরিলে, সে জ্ঞান তাছার মাথায় তখনও গজায় নাই। অথচ সে শযনে-স্বপনে, আহারে-বিছরে সকল সময়ই এই চিস্তায় ব্যস্ত। তাছার চিস্তার অবধি নাই। একদিন একটা সৰ্প তাহার প!গ দিয়া গমন করিতেছে, এমন সময় হঠাৎ প্রকাণ্ড এক খণ্ড প্রস্তর কোথা হইতে সবেগে সপের ৬পর পতিত হইল। সৰ্পের মস্তক চুর্ণ বিচুর্ণ হইয়া গেল। সর্প স্থতচেতন হইল। প্রকৃতির নিকট হইতে কাবিল মহা শিক্ষালাভ করিল। তাছার অসদুদেখ সাধনের উপায় নির্ণীত হইল। জুলছজ মাস। আদম সস্ত্রীক হজব্রত সম্পাদন করিতে মক্কায় গমন করিয়াছেন। একদিন ছাবিল পাহাড়ের সাহ্রদেশে গভীর নিদ্রায় অভিভূত। তাছাকে তkবস্থ দেখিয়া কে যেন কাবিলের মনের মধ্য হইতে ডাক দিয়া বলিল—“কাবিল, তোমার জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের একমাত্র আহরায়কে তুমি এই সুযোগে নিঃশেষ কর। পিতা গৃহে ফিরিলে এ সুযোগ আর পাইবে না।” কাধিলের মন ভবিষ্ণুৎ স্বখের সোমালি আশায় কানায় কানায় পূর্ণ হইয়া উঠিল। সে অতি সস্তপণে বৃহৎ এক খণ্ড প্রস্তর লইয়া কম্পিত কলেবরে কনিষ্ঠের মস্তকোপরি সজোরে নিক্ষেপ করিল। বিশাল প্রস্তরের আঘাতে নিদ্রাভিভূত হাবিল মহানিদ্রার ক্রোড়ে অনন্ত কালের জন্ত ঢলিয়া পড়িল। স্বর্গের নিসিদ্ধ বুক্ষের ফল ভক্ষণ করার জন্য যে স্বার্থের তীব্র ছলাহল হজরত আদম ও বিবি হাওয়ার নিষ্কলঙ্ক অন্ত:করণ স্পর্শ করিয়াছিল আজ তাছাই বিষধর আকারে অযুত লেলিহান জিহ্বা বিস্তার করিয়া তাছাদের সস্তান-সন্ততির অস্তরে নগ্নমূৰ্ত্তিতে দেখা २१8७ +++ - - - - - -