পাতা:শিশু-ভারতী - সপ্তম খণ্ড.djvu/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিটার প্যান ডান হাতখানি থোয়া গিয়াছিল তাই এক মজার কাহিণী। একদিন পিটার প্যানের চক্রস্তে এই দম্বাসর্দারকে বড় বিপদে পঢ়িতে হইয়াছিল। পিটার চালাকি করিয়া একবার এই দম্য-সর্দারকে তাছার জাহাজ হইতে জলে ফেলিয়া দেয় । জলে পড়িতে না পড়িতেই সেবারে একট প্রকাগু কুমীর তাহার ডান হাতখানা গ্ৰাস করিয়াছিল। তবে সেবার কোন রকমে সদার তাছার প্রাণ লইয়া বৃক্ষ পাইয়াছিল। সপ্তারের হাত খান খাইয়। কুমীরটার এত ভাল লাগিয়াছিল যে সেই কুমীরট। সেদিন হইতে ক্রমাগত সদারের সন্ধানে সন্ধানে ફિન્નિષ્ઠ ! દાફાત્ર ફેક્કા યાત્ર fને દૂરું ન:ફ-વિષ્ઠ মিষ্টি আর অত উপাদেয় হাত অতটুকু খাইয়া তাহার সােধ শিটে নাই। সেইজন্ত যখনই সদার জ:ত:জে করিয়া ডাকাতি করিতে বাহির হইত তখনই সেই কুমারট সদরের গন্ধে গন্ধে সেখানে অ’পিয়া ছুটিয়া জাহাজের পিছু লইত। কুমারটা কত স্বল্পষ্ট না দেণ্ডিত ! সে ভাবিত, “হয়, এমন দিন কি আসবে না যেদিন আমি ঐ সদারের সমস্ত শরীরটা গিলতে পারবো ?" সর্দার তাচার কাটা ডানচাতে সব সময়ে একটা আঁকশি বাধিয়। লখিত। উহার সাহায্যে সে অনেক কাজ করিত। ঐ ডাকাত-সন্দাব বেশ জনিত যে সেই কুমীরটা সব সময় তাহার অনুসরণ কবিয়া ফিরিতেছে । কারণ–একদিন হঠাৎ জাহাজ হইতে হাত ফস্কাইয়া সেই ডাবfত-সদ্ধারের একটা এলবুস্ ঘড়ি সমুদ্রের জলে পড়িয়া যায়। ওদিকে কুমারট জলের তলায় গা-ঢাকা দিয়া জাহাজের সঙ্গ লইয়া চলিতেছিল। সদরে যখন জ:১াজের যেদিকে যায় কুমারটাও গন্ধে গন্ধে সেইদিকে ছোটে । সেদিন ঐ ঘড়িটা ঝপ, করিয়া জলে পড়িয়া যাইব৷ মাত্র কুমীরটা ভাবিল যে এই বুঝি তাছার স্বপ্ন ফলিল—বুঝিবা সদরই জলে পড়িল । ইহা ভাবিয়া সে টপ করিয়া জল হইতে মূখ তুলিয়া ঘড়িটাকেই গিলিয়া ফেলিয়ছিল। যেদিন ডাকাত-সর্দার বুঝিতে পারিয়াছিল মে কুমারটা যমদূতের মত এখনও তাহার সঙ্গে সঙ্গে আছে—সেদিন ভয় পাইয়া গে চীৎকার করিয়া উঠিয়ছিল,—“ও বাবা! সেই কু-কু-কু-কুমীর ।” ভাগ্যিস সেদিন সেই কুমীরটা যদ্বারের এলাবৃক্ষ


ঘড়িটা গিলিয়ছিল । তাই ত সেদিন হইতে সর্দার জাহাজের উপর হইতেই স্পষ্ট টের পাছত যে কুমীরটা তাহার সঙ্গে সঙ্গে অাছে কি মা। কারণ, সেদিন হইতে সেই ঘড়িটার টিকটিক শব্দ কুমীরটর পাকস্থলী, গায়ের চামড়া আর জল ভেদ করিয়া সদারের কানে অসিত । ঐ শব্দ সর্দারের কানে আসিলেই সে বুঝিতে পারিত যে, সেই সৰ্ব্বদেশে কুমীরটা তাহাকে গিলিবার জন্ত নিকটেই আছে । কিন্তু সর্দারের একটা মস্ত ভয় ছিল এই যে কোনদিন হয়ত কুমীরটা তার পেটের মধ্যকার ঐ ঘড়িটাকে হজম করিয়া ফেলিবে । তখন ত আব কুমীরের কাছে-আস। সেই সর্দার টের পাইবে না, তখন যদি সে অষ্টম-স্ব ভাবে ভুলিয়া জলে নামে, তাছা হইলে ত তাতার আর রক্ষী থাকিবে মা ! সদারের সবিদ; একরকম আতঙ্কে আতঙ্কে পাকার মূল কারণ ঘটষ্টয়াছিল পিটার। কাজেই পিটারের উপর ডাকাত-সর্দার, একেবারে হাড়ে হাড়ে চটিয়াছিল। পিটার ডাকাত-সর্দারের যে অশিষ্ট করিয়াছিল তাছার প্রতিশোধ লইয়া পিটারকে মারিয়া ফেলিবার জন্ত সেদিন সে দলবল লইয়া ওtহাকে আক্রমণ করিতে আসিয়াছিল—সে পণ করিয়া আসিয়াছিল যে সেদিন সে পিটারকে উচিত শিক্ষা দিয়া তারপর তাঙ্গাকে হত্যা করিবে । একদল রেড ইণ্ডিয়ান ছেলেদের বড় ভালবাসিত। তাহারা রোজ বনের ধীরে থাকিয়া উহাদের পাহারায় থাকিত । সেদিনও তাঙ্গার প্রতিদিনকার মত পরীরাজ্যের সব বলকদিগকে পাহারা দিতেছিল । কিন্তু দলবল লইয়া সেই ডাকাত-সদার তাহদের আক্রমণ করিয়া খুবই কাবু করিয়া ফেলিল এবং লেচারীদের অনেকে ডাকাতের হাতে প্রাণ হারাইল। ডাকাতের রেড, ইণ্ডিয়ান পাহারাওলাদের হারাইয়া দিয়া সে তল্লাট হইতে একেবারে তাড়াইয় দিয়া তাহারা নিজেরাই সেই পাহারাওয়ালীদের মত পরীরাজ্যের চারিদিকে ঘিরিয়া দাড়াইল । কোথাও দিয়া বাহির হইবার এতটুকু জায়গা তীক্ষার রাখে নাই। তাছাদের মতলব ছিল এই যে পরীরাজ্যের ছেলেগুলো আর পিটার প্যান যখন সেই পথে সেই পরীরাজ্যের ২৭৭৩