পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভদ 89 আলাপ-পরিচয় করা শোভা পায় না, কাজেই তঁাহারা রাস্তার একপাশ ধরিয়া নিঃশব্দে স্ব স্ব প্ৰাসাদ অভিমুখে প্ৰস্থান করিলেন। হারাণচন্দ্ৰও তেঁাহাদের মত বাহিরে আসিলেন ; কিন্তু বাহিরে আসিয়া তঁহার একটু বিভ্ৰাট ঘটিল। কোথা হইতে সেই হতভাগ্য পীড়িত মাধবের মুখখানা মনে পড়িয়া গেল, সঙ্গে সঙ্গে বেদােনর কথাটাও স্মরণ হইল। “অপর সকলের মত তিনি অবশ্য কোন একটা বিশেষ উচ্চপদ লাভ করিয়া বাহিরে আসিয়াছিলেন। কিন্তু মুখপোড়া ছোড়ার মুখখানা সে রাজ্যে বিষম বিশৃঙ্খল ঘটাইয়া দিল। দিল্লীর বাদশা পকেটে হাত দিয়া দেখিলেন রাজকোষ প্ৰায় শূন্য ! অত বড় সম্রাটের চারিটি পয়সা ও একটি গাজার কলিকা ভিন্ন আর কিছুই নাই। বহুত আচ্ছা ! তাহাই সহায় করিয়া তিনি নিকটবৰ্ত্তী একটা গঞ্জিকার দোকানে প্ৰবেশ করিলেন । অধিকারীকে মিষ্ট সম্ভাষণে আপ্যায়িত করিয়া কহিলেন, খুড়ো, চার of TIFF ț8 KB অধিকারী সে আজ্ঞা সত্বর সম্পাদনা করিল। হারাণচন্দ্র তখন মনোমত একটা বৃক্ষতল অন্বেষণ করিয়া লইয়া গঞ্জিকা সাহায্যে বিশৃঙ্খল রাজত্ব পুনরায় শৃঙ্খলিত করিয়া লইলেন। সমস্ত কৰ্ম্ম সম্পন্ন হইলে রাত্রি অনেক হইতেছে দেখিয়া বৃক্ষতল পরিত্যাগ করিয়া উঠিলেন। অনেক দূর গিয়া একটা খোড়ো বাড়ির সম্মুখের দ্বারে আঘাত করিয়া ডাকিলেন, কাত্যায়নী ! 6 कश् छेखद्ध जिब्न मां । আবার ডাকিলেন, বলি কাতু বাড়ি আছ কি ? তথাপি উত্তর নাই । বিরক্ত হইয়া হারাণচন্দ্ৰ চীৎকার করিয়া ডাকিলেন, বলি বাড়ি থাক ত দরজাটা একবার খুলে দিয়ে যাও না !