পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুষ্ঠা গঙ্গায় আগ্ৰীব নিমজ্জিত কৃষ্ণপ্ৰিয়া ঠাকুরাণী চোখ কান রুদ্ধ করিয়া তিনটি ডুব দিয়া পিত্তল-কলসিতে জল পূর্ণ করিতে করিতে বলিলেন, কপাল যখন পোড়ে তখন এমনি করেই পোড়ে । ঘাটে আরো তিন চারিজন স্ত্রীলোক স্নান করিতেছিল, তাহারা সকলেই অবাক হইয়া ঠাকুরাণীর মুখপানে চাহিয়া রহিল। পাড়াকুদুলি কৃষ্ণঠাকরুণকে সাহস করিয়া কোন একটা কথা জিজ্ঞাসা করা, কিম্বা কোনরূপ প্ৰতিবাদ করা, যাহার তাহার সাহসে কুলাইত না। বিশেষতঃ যাহারা ঘাটে ছিল তাহারা সকলেই তাহা অপেক্ষা বয়ঃ কনিষ্ঠ। তাই বলচি বিন্দু, মানুষের কপাল যখন পোড়ে তখন এমনি করেই পোড়ে । যে ভাগ্যবতীকে উদ্দেশ করিয়া বলা হইল তাহার নাম বিন্দুবাসিনী। বিন্দু বড়লোকের মেয়ে, বড়লোকের বেী, সম্প্রতি বাপের বাটী আসিয়াছিল। বিন্দু দেখিল কথাটা তাহাকেই বলা হইয়াছে, তাই সাহসে ভর করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, কেন পিসিমা ? এই হারাণ মুখুয্যের কথাটা মনে পড়ল। ভগবান যেন ওদের মাথায় পা দিয়ে ডুবুচ্চেন।