পাতা:শুভদা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వి ' प्रद* *च्छ्ि দুর্ভাবনার মূল হইয়াছে এইখানেই। কে একদিন এক টাকা দান করিল, কে আর একদিন দুই টাকা ভিক্ষা দিল, এমন করিয়া কি এমন পরিবার প্রতিপালিত হয় ? ভাবনার কথা কি শুধু ইহাই। মাধবের মুখ দেখিলে ত শরীরের অৰ্দ্ধেক রক্ত জল হইয়া যায় ; তাহার উপর ছলনা । সে দিন দিন বাড়িয়া উঠিতেছে ; বিবাহের সময় হইয়াছে, এমন কি দুই-চারি মাসের মধ্যে হয়ত সে বয়স উত্তীর্ণ হইয়াও যাইতে পারে। এদিকে চাহিলে শুভদ আর কুল-কিনারা দেখিতে পায় না। মাধবের নিকট পার আছে কিন্তু বাঙ্গালীর ঘরে ছলনার নিকট পার নাই। তার মুখ দেখিলে রক্ত জল হইয়া যায়। কিন্তু ইহার মুখ দেখিলে শরীরের অস্থিপঞ্জীর, পৰ্য্যন্ত তরল হইয়া পড়িবার উপক্রম করে। দুর্ভাবনায় দুর্ভাবনায় শুভদা যে প্রতিদিন শুকাইয়া যাইতেছে তাহ। আর কেহ না দেখিতে পাইলেও ললনা দেখিতে পাইত। গঙ্গার ঘাট হইতে এক কলসী জল আনিতে জননী যে হঁপাইতে থাকেন, ললন। তাহা দেখিতে পাইত ; তরকারি কুটিবার সময় আলু পটলের খোসা ছাড়াইতে গিয়া হাত আটকাইয়া বাধিয়া যায়, ললনা, তাহা জানিতে পারিত ; গ্রামে শুভদার মত কেহ সুপারি। কাটিতে পারিত না, সেই শুভদার সুপারি। কাটা আজকাল সরু মোটা হইয়া যায়, ললনা তাহা বুঝিতে পারিত; আহার কমিয়া গিয়াছে, দুইবেলার পরিবর্তে আজকাল বেলা চারিটার সময় একবার দাড়াইয়াছে ; পীড়াপীড়ি করিলে বলে আদতে ক্ষুধা নাই। ললনা এসব দেখিত আর লুকাইয়া চক্ষু মুছিত ; কখন কখন ঘরে দ্বারা দিয়া মাথা কুটিত । ইহাতে ফল হইবার হইলে হইতে পারিত, किस्ड खंड एलीश् श् भों ।