পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমরেশ বলে, আমার ওপর মামার মনটা বিরূপ করে দিচ্ছে, এ কথাটা | না শোনালেই পারতে । শ্ৰীতি নির্বিকার ভাবে বলে, কি হয়েছে তাতে । দরকার হলে খোচা দিয়েও কথা বলতে হয়। গরু দোয়ানো দেখেছিস কখনো ? বঁট টানতে DBB DD BDBDBD D DDBD BBBE uB BDB DDB BDD BDBD না । তোর জন্য টান ছিল জানি তো, তাই একটু উসকে দিলাম, হয়তো কিছু করতে পারে। আগে খেয়াল করেনি, দু’একদিনের মধ্যে সমরেশ টের পায় যে তার ছোটমামার সঙ্গে নন্দিতার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সমস্ত বাড়ীটা যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে, নিশ্চিন্ত হয়েছে । তাদের কবল থেকে নন্দিতা তাকে বাগিয়ে নিতেও পারে, এ আতঙ্ক বাতিল হয়ে গেছে । সেদিন নন্দিতাকে সকলে কেন এত বাড়াবাড়ি রকম সমাদর করেছিল এবার তার মানেট সমরেশের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। প্ৰাণটা জ্বালা করে অনেকক্ষণ । এত সস্তা হিসাব তার আপনজনদের । ভবানীকে দিয়ে কারবারটা শুধরে দেবার প্রসঙ্গে নন্দিত সেদিন বলেছিল, দেখাই যাক না। কন্দ্দূর কি হয়। কথাটায় কেউ তেমন গুরুত্ব দেয় নি। সকলেই ভেবেছিল, ওটা কথার কথা, কাজে কিছুই হবে না । সেদিনের পর থেকেই নন্দিতার মধ্যে কেমন একটা রূপান্তর লক্ষ্য করে সমরেশ । নন্দিতা কেমন যেন হাঙ্ক অথচ আগের চেয়ে রহস্যময়ী হয়ে উঠেছে। কথাবার্তায় আগে যেটুকুও বা নিজেকে ধরা দিত, এখন তাও দেয় না । নিজের মধ্যে নিজেকে যেন পুরোপুরি গুটিয়ে নিয়েছে। RS