পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: বেচারার শরীরের অবস্থাটা কিরকম ছিল একবার ভাবে । ওই শরীর নিয়ে বড়ি খেয়ে খেয়ে বেঁচে থেকে মানুষ আর কিছু পারে ? বেচারা নিজেকে যে ক’টা বছর বঁচিয়ে রেখেছিল। তাই ঢের । দুপুরবেলা তুমি হঠাৎ ?

আগের মামীর কাছেও বেশীর ভাগ দুপুরবেলাতেই আসতাম। দেখতে এলাম তুমি কি করছ আর শুনতে এলাম কি ভাবছ।

ननेिडी श्igन न ।

তা হলে দয়া করে বসুন। কিছু খাবেন কি ? ঘরে অজস্র খাবার তৈরী হয়, ট্র্যাডিশনটা বজায় রেখেছি।
খাব-খুব কম কিন্তু ।

নন্দিতা গলা বেশী না চড়িয়েই ডাকে, বনার মা ? মাঝবয়সী বিধবা বনার মা এসে দাড়ায় । সুন্দরীকে তাড়িয়ে নন্দিতা নতুন লোক রেখেছে। খাবার আসে। অল্প-দোকানের টাটকা সন্দেশ আর সিঙারা । তারপর আসে চা ৷ বাচ্চাটাকে ঘুম পাড়িয়ে নন্দিতা ততক্ষণে তার লেখার টেবিলে গিয়ে KGB তাকে উপেক্ষা করেই ! টেবিলে স্তুপাকার প্রাফ। জিজ্ঞাসা না করেই সমরেশ বুঝতে পারে নন্দিতার চার অথবা পাচ নম্বরের বই ছাপা হচ্ছে। বিড়ি কিনে এনেছিল, চা-খাবার খেয়ে তারই একটা ধরিয়ে সমরেশ বলে, চিরদিনের মত সোজাসুজি কথা বোলো, মামী হয়েছ বলে প্যাচ ক’ষে না । নন্দিত হেসে বলে, প্যাচ একটু কষতেই হবে । সোজা কথা বলতে ভুলে গেছি । SOS