পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাসিমুখেই সামলে গেল। কে বলবে যে প্ৰাণ দিয়ে মহিমের কারবার | সামলাতে নেমে দু’চোখে সে অন্ধকার দেখছে। চারিদিকে দেনার পাহাড়, কারবারের ডুবু ডুবু অবস্থা—সব ছেড়ে দিয়ে একদিন কাশীবাসী হবার সাধটা মাঝে মাঝে বনমালীর প্রাণে উকি দিচ্ছে। : বিজয়ার রাত্ৰি প্ৰভাত হতেই কিন্তু বনমালীর অন্য চেহারা সকলের চোখে | °८ए ।। এবার পূজা হয় নি। বাড়ীতে রকমারি খাবার জিনিষের ছড়াছড়ি নেই। বনমালী হিসেব করে রোজাকার খাবার-দাবার আনিয়েছে, সকলকে খাইয়েছে । মহিম মরেছে। পূজা হল না। জামা কাপড় না পাওয়ার দুঃখ কেউ १ोंftश भाथ नि । গতবার পূজা হলেও ফেলে ছড়িয়ে নষ্ট করে রাজভোগ খাওয়ার সুখ পাওয়া যায় নি, এবারও পাওয়া গেল না। কিন্তু পূজার কদিন নষ্ট না করে গত বারের মতই এবারও যে যত পারে খাওয়াবার নিয়মটা বজায় আছে । বিজয়ার পরদিন সকালেও ঘরের মানুষ এবং বাইরের যত মানুষ বিজয়ী করতে এল সবাই আগের মতই পেট ভরে মিষ্টি খেল । ক্রাইসিস দেখা দিল রাত্রির ভোজনের ব্যাপারে । সব ব্যবস্থা করে দিয়ে বনমালী বার হয়েছিল বিজয়ার নিয়ম রক্ষা করতেব্যক্তিগত নিয়মরক্ষা নয়, ব্যবসার জন্য বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে দরকারী খাতির রক্ষা করতে । সারাদিন তার দেখা নেই । এতগুলি মানুষের রাত্রির খাওয়ার ব্যবস্থা করতে কি ভুলে গিয়েছিল বনমালী ? তেল ঘি চাল ডাল তরকারী সবই আছে কিছু কিছু-চার পাঁচ জনের भङ थioछ !