পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আট নিজের কি ব্যারাম হয়েছে কুমার মা-বোনকেও জানায় নি। সমরেশ প্রশ্ন করেছে, কুমার হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। সমরেশ ভয় দেখিয়েছে, আপনজনের কাছে রোগ গোপন করার, রোগ চেপে যাওয়ার বিপদটা ভেবে দেখেছিস ? আমাকে তো অন্তত জানাতে পারিস !

আমার কোন রোগ হয় নি, তোকে কি জানাব ? একটা রোগের কথা বানিয়ে বলব ?

ঃ এরকম চেহারা হচ্ছে কেন তবে ?

কিরকম খাটতে হয় জানিস না ?

তারপর কুমার বলেছে, একটু মুস্কিল চলছে বৈকি। সেটা রোগ ব্যারাম কিছু নয়। হজমের একটু গোলমাল চলছে। ডিসপেপসিয়া নয়, সব কিছু খেয়েই হজম করতে পারি। কিন্তু খাওয়াটা কমে গেছে-যতটা উচিত সে পরিমাণে খেতে পারি না । এটাকে যদি রোগ বলিস, আমার কোন আপত্তি নেই । সমরেশ জোর দিয়ে বলেছে, এটা রোগ বৈকি! হজম হয়না বলে ঠিকমত খেতে না পেরে রোগ হয়ে যাচ্ছিাস, সেটা ব্যারাম নয় ? ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধপত্র খা না ?

বকিস নে। ডাক্তারের কাছে গেলেই এককঁাড়ি টাকা খরচ করিয়ে ছাড়বে—ফল হবে কচুপোড়া। যেভাবে চলতে হচ্ছে সেটা না পাণ্টাতে পারলে ওষুধ খেয়ে কিছু হবে না । আমি বাড়তি কোন আনিয়ম করি না, যতদূর সম্ভব মেনে আর মানিয়ে চলি কিন্তু অবস্থাটায় দাড়িয়েছে অনিয়মের-উপায় কি !

o Gr)